কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে জামা‘আতে সালাত আদায় [বিধান, ফযীলত, ফায়েদা ও নিয়ম-কানূন] ইসলামহাউজ.কম ৮ টি অধ্যায় ৬৪ টি অনুচ্ছেদ সম্পূর্ণ বইটি একসাথে পড়ুন
অধ্যায় ও অনুচ্ছেদ তালিকা
ভূমিকা অনুচ্ছেদ ১ টি ভূমিকা জামা‘আতে সালাত আদায়ের অর্থ অনুচ্ছেদ ১ টি জামা‘আতে সালাত আদায়ের অর্থ জামা‘আতে সালাত আদায়ের বিধান অনুচ্ছেদ ২ টি জামা‘আতে সালাত আদায়ের বিধান - ১ জামা‘আতে সালাত আদায়ের বিধান - ২ জামা‘আতে সালাত আদায়ের ফায়েদাসমূহ অনুচ্ছেদ ১ টি জামা‘আতে সালাত আদায়ের ফায়েদাসমূহ জামা‘আতে সালাত আদায়ের ফযীলত অনুচ্ছেদ ৩ টি জামা‘আতে সালাত আদায়ের ফযীলত - ১ জামা‘আতে সালাত আদায়ের ফযীলত - ২ জামা‘আতে সালাত আদায়ের ফযীলত - ৩ জামা‘আতে সালাত আদায় করতে যাওয়ার ফযীলত অনুচ্ছেদ ১৪ টি ১. সর্বদা মসজিদে গিয়ে জামা‘আতে নামাজ পড়তে ব্যাকুল ব্যক্তি কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলার আর্শের নিচে ছায়া পাবে: ২. জামা‘আতে সালাত আদায়ের জন্য মসজিদে যাওয়া মসজিদগামী ব্যক্তির মর্যাদা বৃদ্ধি, গুনাহ মাফ ও অধিক সাওয়াব লাভের একটি বিশেষ মাধ্যম। ৩. জামা‘আতে সালাত আদায়ের জন্য মসজিদে গেলে যেমনিভাবে মসজিদগামী ব্যক্তির মসজিদে যাওয়ার প্রতিটি কদম তার আমলনামায় লেখা হবে তেমনিভাবে তার মসজিদ থেকে ঘরে ফেরার প্রতিটি কদমও তার আমলনামায় লেখা হবে। ৪. ভালোভাবে অযু করে জামা‘আতে সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে মসজিদে গেলে মসজিদগামী ব্যক্তির সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়: ৫. যে ব্যক্তি জামা‘আতে সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে সকাল-সন্ধ্যা মসজিদে আসা-যাওয়া করে আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য জান্নাতে সকাল ও সন্ধ্যায় এক বিশেষ আপ্যায়নের ব্যবস্থা করবেন: ৬. ভালোভাবে অযু করে জামা‘আতে সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে মসজিদে গেলে জামা‘আত না পেলেও জামা‘আতের সাওয়াব অবশ্যই পাওয়া যাবে: ৭. কেউ নিজ ঘরে অযু করে জামা‘আতে সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে মসজিদে গেলে তাকে সালাতরত বলেই গণ্য করা হবে যতক্ষণ না সে আবার নিজ ঘরে ফিরে আসে: ৮. কেউ নিজ ঘর থেকে পবিত্রতার্জন করে জামা‘আতে সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে মসজিদে গেলে তাকে একজন ইহরামরত হাজীর সাওয়াব দেওয়া হবে: ৯. জামা‘আতে সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে নিজ ঘর থেকে বের হওয়া ব্যক্তি সর্বদা আল্লাহ তা‘আলার জিম্মায় থাকেন: ১০. জামা‘আতে সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে মসজিদের দিকে পায়ে হেঁটে যাওয়ার আমলটুকু দ্রুত লেখা ও আকাশের দিকে নিয়ে যাওয়া নিয়ে আল্লাহ তা‘আলার নিকটবর্তী ফিরিশতাগণ পরস্পর প্রতিযোগিতা করে, উহার মর্যাদা ও ফযীলত নিয়ে পরস্পর কথোপকথন করে এবং তা নিয়ে তারা মানুষের সাথে ঈর্ষা করে: ১১. জামা‘আতে সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে মসজিদগামী হওয়া দুনিয়া ও আখিরাতের সমূহ কল্যাণ প্রাপ্তির এক বিশেষ মাধ্যম। ১২. নিজ ঘরে অযু করে জামা‘আতে সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে মসজিদে আগমনকারীকে আল্লাহ তা‘আলা বিশেষভাবে সম্মানিত করেন: ১৩. জামা‘আতে সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে কেউ ভালোভাবে অযু করে মসজিদে গেলে আল্লাহ তা‘আলা তাকে দেখে অত্যন্ত খুশি হোন যেমনিভাবে দীর্ঘ দিন অনুপস্থিত ব্যক্তিকে দেখে তার পরিবার খুশি হয়: ১৪. জামা‘আতে সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে অন্ধকারে মসজিদের দিকে রওয়ানা করলে কিয়ামতের দিন প্রয়োজনের সময় পরিপূর্ণ আলোর সন্ধান মিলবে: জামা‘আতে সালাত আদায় করতে যাওয়ার নিয়ম-কানূন অনুচ্ছেদ ১৬ টি ১. নিজ ঘর থেকেই ভালোভাবে অযু করে নিবে: ২. মসজিদে আসার আগে দুর্গন্ধময় যে কোনো জিনিস খাওয়া বা ব্যবহার করা থেকে অবশ্যই দূরে থাকবে: ৩. সাধ্য মতো সুন্দর পোশাক-পরিচ্ছদ পরেই মসজিদে আসবে: ৪. ঘর থেকে বের হওয়ার দো‘আগুলো পড়ে নিবে এবং শুধুমাত্র সালাতের নিয়্যাতেই ঘর থেকে বের হবে: ৫. মসজিদের দিকে যাওয়ার সময় আঙ্গুলগুলোর একটিকে অপরটিতে ঢুকিয়ে দিবে না এমনকি সালাতেও নয়: ৬. ধীরে-সুস্থে মসজিদের দিকে রওয়ানা করবে: ৭. মসজিদে ঢুকার আগে নিজের জুতা-জোড়া ভালোভাবে দেখে নিবে এবং তাতে নাপাক দেখলে মাটি দিয়ে ঘষে নিবে: ৮. মসজিদে ঢুকার সময় ডান পা আগে বাড়িয়ে দিবে এবং নিম্নোক্ত দো‘আগুলো পড়ে নিবে: ৯. মসজিদে ঢুকে আশপাশের লোকগুলো শুনতে পায় এমন স্বরে তাদেরকে সালাম করবে: ১০. মসজিদে ঢুকার সময়টি কোনো ফরয সালাতের সময় না হয়ে থাকলে অন্ততপক্ষে দু’ রাকাত তাহিয়্যাতুল-মাসজিদের সালাত পড়ে নিবে: ১১. মসজিদে ঢুকে পায়ের জুতা জোড়া পা থেকে খুলে ফেললে তা দু’ পায়ের মাঝখানে কিংবা জুতা রাখার নির্দিষ্ট জায়গায় রাখবে: ১২. সালাত আদায়কারীদের প্রথম সারিতে বিশেষ করে ইমাম সাহেবের ডান দিকে বসার যারপরনাই চেষ্টা করবে। তবে এতে করে কোনো মুসলিমকে সামান্যটুকুও কষ্ট দিবে না: ১৩. ক্বিব্লামুখী হয়ে বসে কুর’আন মাজীদ তিলাওয়াত কিংবা যিকির-আয্কার করবে: ১৪. ইমাম সাহেব আসা পর্যন্ত সালাতের অপেক্ষার নিয়্যাতেই বসে থাকবে। এমন সময় দীর্ঘক্ষণ অযু রাখারই চেষ্টা করবে: ১৫. কোনো ফরয সালাতের ইক্বামত দেওয়া হলে তখন শুধু উক্ত ফরয সালাতই আদায় করতে হবে। অন্য কোনো সুন্নাত বা নফল সালাত নয়: ১৬. মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় বাম পা আগে বাড়িয়ে দিবে অথচ ঠিক এরই বিপরীতে মসজিদে ঢুকার সময় ডান পাই আগে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিলো: জামা‘আত সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ মাসায়েল অনুচ্ছেদ ২৬ টি সর্বনিম্ন শুধু দু’ জন দিয়েই জামা‘আত সংঘটিত হয়। একজন ইমাম ও একজন মুক্তাদি। চাই উক্ত মুক্তাদি কোনো নাবালক ছেলেই হোক অথবা কোনো মাহরাম মহিলা: প্রয়োজনবশতঃ একজন পুরুষ ও একজন মহিলা নিয়ে যে কোনো সালাতের জামা‘আত সংঘটিত হয়: কেউ কোনো সালাতের একটি রাকাত জামা‘আতের সাথে পেলেই সে পুরো জামা‘আত পেয়েছে বলে ধরে নেওয়া হবে। তবে রুকু’ পেলেই কোনো রাকাত পেয়েছে বলে ধরে নেওয়া হয়। নতুবা নয়: কেউ ইমাম সাহেবের সাথে প্রথম জামা‘আতে সালাত আদায় করতে না পারলে তার জন্য উক্ত মসজিদেই দ্বিতীয় জামা‘আত করা বৈধ: একবার কোনো ফরয সালাত একাকী আদায় করলে তা দ্বিতীয় বার জামা‘আতের সাথে নফলের নিয়্যাতে আদায় করা যায়: কেউ ইমাম সাহেবের সাথে পুরো সালাত না পেলে যতটুকু পেয়েছে তা পড়ে নিবে। যা তার শুরু সালাত বলেই বিবেচিত হবে। আর বাকি অংশটুকু সে সালামের পর পুরো করে নিবে: মসজিদে এসে ইমাম সাহেবকে যে অবস্থায়ই পাবে সে অবস্থায়ই তাঁর সাথে সালাতে শরীক হবে। আগের রাক্’আতের সাজ্দাহ শেষ হওয়া পর্যন্ত এমনিতেই দাঁড়িয়ে থাকবে না: কাউকে জামা‘আতে সালাত আদায় করতে বাধা দেওয়া যাবে না: জামা‘আতের কাতার সোজা করা সুন্নাত কিংবা ওয়াজিব: রুকু, সাজদাহ, উঠা-বসা ইত্যাদিতে ইমাম সাহেবের আগে যাওয়া, সাথে সাথে যাওয়া অথবা অনেক পরে যাওয়া চলবে না। বরং যে কোনো কাজ ইমাম সাহেবের একটু পরেই করতে হবে। মুসল্লীদের কাতারগুলোর পেছনে একাকী দাঁড়িয়ে একই জামা‘আতে সালাত আদায়ের বিধান: ইমাম সাহেবের বরাবর পেছন থেকেই জামা‘আতের কাতারগুলো শুরু করতে হয়: মসজিদে ঢুকে তাতে দাঁড়ানোর কোনো জায়গা না পেলে যা করতে হয়: ইমাম সাহেবকে শেষ বৈঠকে পেলে যা করতে হয়: মসজিদে ঢুকে ইমাম সাহেবকে রুকু’ অবস্থায় পেলে যা করতে হয়: কেউ জামা‘আতের সাথে ছুটে যাওয়া বাকি সালাত একা পড়তে গেলে ইমাম সাহেবের সুত্রাহ আর তার জন্য সুত্রাহ থাকে না: কোন ইমাম সাহেব তাঁর নিজ মসজিদে এবং কোনো ঘরের মালিক তার ঘরে ইমামতির সর্বোচ্চ অধিকারী: যে ইমাম ভালোভাবে ক্বিরাত পড়তে পারেন না তাঁর ব্যাপারে যা করণীয়: বিদ‘আতী ইমামের পেছনে সালাত আদায়ের বিধান: যাদুকর, শির্কী তাবিজদাতা ও গায়েবের দাবিদার ইমামের পেছনে সালাত আদায়ের বিধান: ফাসিকের পেছনে সালাত আদায়ের বিধান: সালাতের ক্বিরাত লম্বা বা খাটো হওয়ার মানদণ্ড: নফল পড়ুয়ার পেছনে ফরয পড়ার বিধান: কোনো ইমাম সাহেব যদি তার অযু নষ্ট হওয়ার দরুন কোনো মাস্বূককে তথা যে ব্যক্তি ইমাম সাহেবের সাথে সালাতের শুরুর কিছু অংশ পায় নি তাকে ইমাম বানিয়ে দেন তখন বাকি মুসল্লীদের যা করণীয়: কোনো মুসাফির যে কোনো ইমাম সাহেবের সাথে চার রাকাত বিশিষ্ট সালাতের শুধু শেষের দু’ রাকাত পেলে তার জন্য যা করণীয়: যে যে কারণে জামা‘আতে সালাত পড়া ছাড়া যায়: