রাহে বেলায়াত চতুর্থ অধ্যায় - বিষয় সংশ্লিষ্ট যিকর ও দু’আ ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহ.)

আমরা পূবের্র কোনো কোনো হাদীসে অসুস্থ মানুষকে দেখতে যাওয়া, সান্ত্বনা প্রদান ও সেবা করার অফুরন্ত সাওয়াবের কথা জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে অনেক সহীহ হাদীস বর্ণিত হয়েছে। একটি হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সা.)বলেছেনঃ যদি কোনো মুসলিম তার কোনো অসুস্থ ভাইকে দেখার জন্য পথ চলে তাহলে যতক্ষণ সে পথ চলে ততক্ষণ সে জান্নাতের বাগানের মধ্যে বিচরণ করতে থাকে। যখন সে উক্ত অসুস্থ মানুষের পাশে বসে তখন সে আল্লাহর রহমতের মধ্যে ডুবে যায়। যদি সে সকালে অসুস্থকে দেখতে যায় তাহলে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৭০ হাজার ফিরিশতা তার জন্য দু‘আ করতে থাকেন। আর যদি সে সন্ধ্যায় বের হয় তাহলে সকাল পর্যন্ত ৭০ হাজার ফিরিশতা তার জন্য দু‘আ করতে থাকে।” হাদীসটি সহীহ।[1]


যিকর নং ১৫৭ : রোগী দেখার দু’আ-১

لا بأس طهور إن شاء الله


উচ্চারণঃ লা- বা'সা, ত্বাহূরুন ইন শা- আল্লা-হ।

অর্থঃ “কোনো অসুবিধা নেই, আল্লাহর মর্যিতে এই অসুস্থতা পাবিত্রতা (এর কারণে আল্লাহ আপনার পাপরাশি ক্ষমা করে আপনাকে পবিত্র করবেন)।

রাসূলুল্লাহ (সা.) কোনো অসুস্থকে দেখতে গেলে এই কথাগুলি বলতেন।[2]


যিকর নং ১৫৭ : রোগী দেখার দ‘আ-২ (৭ বার)

أَسْأَلُ اللَّهَ الْعَظِيمَ رَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ أَنْ يَشْفِيَكَ


উচ্চারণ: আসআলুল্লা-হাল ‘আযীম, রাব্বাল ‘আরশিল ‘আযীম আইঁ ইয়াশফিইয়াকা

অর্থ: আমি প্রার্থনা করছি মহামর্যাদাময় আল্লাহর নিকট, যিনি মহামর্যাদাময় আরশের প্রভু, তিনি যেন তোমাকে সুস্থতা প্রদান করেন।


ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যদি কোনো মুসলিম কোনো অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যেয়ে এই কথাগুলি ৭ বার বলেন তাহলে তার মৃত্যু উপস্থিত না হলে সে সুস্থতা লাভ করবেই।” হাদীসটি হাসান।[3]

[1] সুনানুত তিরমিযী ৩/৩০০, নং ৯৬৯, সুনানু ইবনি মাজাহ ১/৪৬৩, নং ১৪৪২, হাকিম ১/৫০১।

[2] সহীহ বুখারী ৩/১৩২২, ৫/২১৪১, ২১৪৩, ৬/২৭১৭, নং ৩৪২০, ৫৩৩২, ৫৩৩৮, ৭০৩২।

[3] সুনানুত তিরমিযী ৪/৪১০, নং ২০৮৩।