কিয়ামতের দিন বান্দাদের মধ্যে ফয়সালা করার জন্য আল্লাহ তাআলা সেভাবেই নেমে আসবেন, যেভাবে নামা তাঁর বড়ত্ব ও মর্যাদার জন্য শোভনীয়

৯- ذكر مجيئ الله سبحانه وتعالى لفصل القضاء بين عباه على ما يليق بجلاله

৯- কিয়ামতের দিন বান্দাদের মধ্যে ফয়সালা করার জন্য আল্লাহ তাআলা সেভাবেই নেমে আসবেন, যেভাবে নামা তাঁর বড়ত্ব ও মর্যাদার জন্য শোভনীয়:

আল্লাহ তাআলা বলেন,

﴿هَلْ يَنظُرُونَ إِلَّا أَن يَأْتِيَهُمُ اللَّهُ فِي ظُلَلٍ مِّنَ الْغَمَامِ وَالْمَلَائِكَةُ وَقُضِيَ الْأَمْرُ ۚ وَإِلَى اللَّهِ تُرْجَعُ الْأُمُورُ﴾

‘‘তারা কেবল সেই সময়ের অপেক্ষায় বসে আছে, যখন মেঘমালার ছায়াসহ স্বয়ং আল্লাহ তাদের সামনে আগমণ করবেন, বিপুল পরিমাণ ফেরেশতাগণও তাদের সামনে আসবেন। তখন সবকিছুর ফয়সালা হয়ে যাবে। শেষ পর্যন্ত সকল বিষয় তো আল্লাহর সামনেই উপস্থাপিত করা হবে’’। (সূরা বাকারাঃ ২১০) আল্লাহ তাআলা বলেন,

﴿هَلْ يَنظُرُونَ إِلَّا أَنْ تَأْتِيَهُمْ الْمَلَائِكَةُ أَوْ يَأْتِيَ رَبُّكَ أَوْ يَأْتِيَ بَعْضُ آيَاتِ رَبِّكَ يَوْمَ يَأْتِي بَعْضُ آيَاتِ رَبِّكَ لَا يَنفَعُ نَفْسًا إِيمَانُهَا لَمْ تَكُنْ آمَنَتْ مِنْ قَبْلُ أَوْ كَسَبَتْ فِي إِيمَانِهَا خَيْرًا قُلْ انتَظِرُوا إِنَّا مُنتَظِرُونَ﴾

‘‘তারা শুধু এ বিষয়ের দিকে চেয়ে আছে যে, তাদের কাছে ফেরেশতা আগমণ করবে কিংবা তোমার পালনকর্তা আগমণ করবেন। অথবা তোমার পালনকর্তার কোন নিদর্শন আসবে। যে দিন তোমার পালনকর্তার নিদর্শন এসে যাবে তখন এমন ব্যক্তির ঈমান উপকারে আসবেনা যে পূর্ব থেকে ঈমান আনয়ন করেনি কিংবা স্বীয় বিশ্বাস অনুযায়ী সৎকাজ করেনি। হে নবী! তুমি বলোঃ তোমরা অপেক্ষা করতে থাকো। আমরাও অপেক্ষা করতে থাকলাম’’।[1] (সূরা আনআমঃ ১৫৮) আল্লাহ তাআলা আরো বলেন,

﴿كَلَّا إِذَا دُكَّتِ الْأَرْضُ دَكًّا دَكًّا وَجَاءَ رَبُّكَ وَالْمَلَكُ صَفًّا صَفًّا وَجِيءَ يَوْمَئِذٍ بِجَهَنَّمَ ۚ يَوْمَئِذٍ يَتَذَكَّرُ الْإِنسَانُ وَأَنَّىٰ لَهُ الذِّكْرَىٰ يَقُولُ يَا لَيْتَنِي قَدَّمْتُ لِحَيَاتِي﴾

‘‘কখনই নয়, পৃথিবীকে যখন চূর্ণবিচূর্ণ করে বালুকাময় করে দেয়া হবে এবং তোমার রব এমন অবস্থায় আসবেন, যখন ফেরেশতারা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকবে। সেদিন জাহান্নামকে সামনে আনা হবে৷ সেদিন মানুষ বুঝবে কিন্তু তার বুঝতে পারায় কী লাভ? সে বলবে, হায় আফসোস! যদি আমি নিজের জীবনের জন্য কিছু আগাম ব্যবস্থা করতাম!। (সূরা ফাজরঃ ২১) আল্লাহ তাআলা আরো বলেন,

﴿وَيَوْمَ تَشَقَّقُ السَّمَاءُ بِالْغَمَامِ وَنُزِّلَ الْمَلَائِكَةُ تَنزِيلًا﴾

‘‘সেদিন আকাশ ফুড়ে একটি মেঘমালার উদয় হবে এবং ফেরেশাতাদেরকে দলে দলে নামিয়ে দেয়া হবে’’। (সূরা ফুরকানঃ ২৫)


ব্যাখ্যা: إِلَّا أَن يَأْتِيَهُمُ اللَّهُ هَلْ يَنظُرُونَ তারা কেবল সেই সময়ের অপেক্ষায় বসে আছে, যখন আল্লাহ তাআলা আসবেনঃ শয়তানের পদাঙ্কা অনুসরণকারী যেসব কাফের ইসলামে প্রবেশ করেনি, এখানে তাদের জন্য হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে। ينظرون অর্থ অপেক্ষা করছে। نظر এবং انتظر শব্দদ্বয় একই অর্থে ব্যবহৃত হয়। কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা মানুষের মধ্যে ফয়সালা করার জন্য আগমণ করবেন। তারা শুধু সেই দিনের অপেক্ষায় বসে আছে, যেদিন আল্লাহ বিচার করবেন এবং প্রত্যেককে আমল অনুযায়ী বদলা দিবেন।

فِي ظُلَلٍ مِّنَ الْغَمَامِ মেঘমালার ছায়াসহঃ ظلل শব্দটি ظلة -এর বহুবচন। যা আপনাকে ছায়া দেয়, তাকেই যুল্লাহ বলা হয়। আর হালকা-পাতলা সাধা মেঘমালাকে বলা হয় গামাম। মেঘমালাকে غمامহিসাবে নাম রাখার কারণ হলো, মেঘমালা তার নীচের প্রত্যেক বস্ত্ত বা ব্যক্তিকে ঢেকে ফেলে। মূলতঃغم يغم অর্থ হচ্ছে ستر يستر অর্থাৎ ঢেকে রাখা। কিয়ামতের দিন ফেরেশতাগণ মেঘমালার সাথে আগমণ করবেন।

وَقُضِيَ الْأَمْرতখন সবকিছুর মীমাংসা হয়ে যাবেঃ অর্থাৎ তাদের ধ্বংসের ব্যাপারটি নিস্পত্তি হয়ে যাবে।

هَلْ يَنظُرُونَ إِلَّا أَنْ تَأْتِيَهُمْ الْمَلَائِكَةُ তারা শুধু এ বিষয়ের দিকে চেয়ে আছে যে, তাদের কাছে ফেরেশতা আগমণ করবেঃ অর্থাৎ তাদের রূহ কবয করার জন্য ফেরেশতাগণ আগমণ করবে। এখানে মৃত্যুর ফেরেশতা উদ্দেশ্য। অথবা তোমার রব তাঁর বান্দাদের মধ্যে ফয়সালা করার জন্য স্বয়ং চলে আসবেন।

أَوْ يَأْتِيَ بَعْضُ آيَاتِ رَبِّكَ অথবা তোমার পালনকর্তার কোন নিদর্শন আসবেঃ এখানে নিদর্শন বলতে আখেরী যামানায় পশ্চিম দিকে সূর্য উদয় উদ্দেশ্য। আখেরী যামানায় সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উঠবে। এটি কিয়ামতের অন্যতম একটি বড় আলামত। যখন সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উদিত হবে, তখন তাওবার দরজা বন্ধ হয়ে যাবে এবং তখন কারো তাওবা কবুল হবেনা।

كلا কখনই নয়ঃ এটি এমন একটি অব্যয়, যা তার পূর্বে উল্লেখিত বিষয় হতে ধমক দেয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ ইয়াতীমের সাথে সম্মানজনক ব্যবহার না করা ঠিক নয় এবং মিসকীনকে খাদ্য প্রদান করার উৎসাহ না দেয়া ঠিক নয়। সেই সাথে মীরাছের ধন-সম্পদ সম্পূর্ণরূপে খেয়ে ফেলা এবং মালকে প্রচুর ভালবাসাও ঠিক নয়।

إِذَا دُكَّتِ الْأَرْضُ دَكًّا دَكًّا পৃথিবীকে যখন চূর্ণবিচূর্ণ করে বালুকাময় করে দেয়া হবেঃ অর্থাৎ যখন পৃথিবীকে প্রকম্পিত করা হবে এবং উহাকে পরপর খুব জোরে ধাক্কা দেয়া হবে। ফলে পৃথিবীর উপরস্থ সকল নির্মিত বস্ত্ত ধ্বংস হয়ে যাবে এবং বালুকণায় পরিণত হবে।

وَجَاءَ رَبُّكَ وَالْمَلَكُ صَفًّا صَفًّا তোমার রব এমন অবস্থায় আসবেন, যখন ফেরেশতারা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকবেঃ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা নিজেই বান্দাদের মধ্যে বিচার-ফয়সালা করার জন্য নেমে আসবেন। এখানে ফেরেশতা বলতে সকল ফেরেশতা উদ্দেশ্য। صفا صفا হাল হিসাবে মানসুব হয়েছে। অর্থাৎ তারা কাতারের পর কাতারবন্দী অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকবে। তারা সকল জিন-ইনসানকে ঘিরে ফেলবে। প্রত্যেক আসমানের ফেরেশতাগণ একেক কাতারে দাঁড়িয়ে পৃথিবী এবং উহার সকল দিক থেকে ঘিরে ফেলবে। কিয়ামতের দিন সাত আসমানের ফেরেশতাদের মোট সাতটি কাতার হবে।

وَيَوْمَ تَشَقَّقُ السَّمَاءُ بِالْغَمَامِ সেদিন আকাশ ফুড়ে একটি মেঘমালার উদয় হবেঃ অর্থাৎ কিয়ামতের দিন আকাশ ফেটে যাবে। আকাশ ফেটে নূরের এমন একটি বিরাট মেঘমালার উদয় হবে, যা দৃষ্টিসমূহকে ধাঁধিয়ে ফেলবে।

وَنُزِّلَ الْمَلَائِكَةُ تَنزِيلًا ফেরেশতাদের দলে দলে নামিয়ে দেয়া হবেঃ ফেরেশতাদেরকে সেদিন দলে দলে পৃথিবীতে নামানো হবে। তারা নেমে এসে হাশরের ময়দানে সমস্ত সৃষ্টিকে ঘিরে ফেলবে। অতঃপর আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের মধ্যে ফয়সালা করার জন্য নেমে আসবেন।

উপরোক্ত আয়াতগুলো প্রমাণ করছে যে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা স্বীয় সত্তাসহ (নিজেই) আগমণ করবেন। যেভাবে আগমণ করা তাঁর মর্যাদা ও বড়ত্বের জন্য শোভনীয়, বান্দাদের মধ্যে বিচার-ফয়সালা করার জন্য তিনি সেভাবেই নেমে আসবেন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার নেমে আসা তাঁর কর্মগত সিফাতের অন্তর্ভূক্ত। প্রকৃতভাবেই ইহাকে আল্লাহর জন্য সাব্যস্ত করা আবশ্যক। আল্লাহর আগমণ করাকে তাঁর আদেশ ও রহমত আসার মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা বৈধ নয়। যেমন করে থাকে আল্লাহর সিফাতকে অবিশ্বাসকারী সম্প্রদায়। তারা বলে থাকেوَجَاءَ رَبُّكَ তোমার রব আসবেন অর্থ হচ্ছে তোমার রবের আদেশ আসবে। এই ব্যাখ্যা আল্লাহর আয়াতকে পরিবর্তন করার শামিল।

ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রঃ) বলেনঃ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার দিকে যেই আগমণ ও আসার সম্বন্ধ করা হয়েছে, তা দুই প্রকার। একটি হচ্ছে مطلق (সাধারণ ও কোন কিছু ছাড়াই) আগমণ করা। আরেকটি হচ্ছে مقيد (কয়েদযুক্ত তথা কোন কিছু নিয়ে) আগমণ করা। আল্লাহর আগমণ দ্বারা যদি তাঁর রহমত, আযাব এবং অনুরূপ অন্য কিছু আসা উদ্দেশ্য হয়, তখন সেই আগমণকে কয়েদযুক্ত করা হয়। যেমন হাদীছে এসেছে,حتى جاء الله بالرحمة والخير পরিশেষে আল্লাহর রহমত ও কল্যাণ আগমণ করল। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

﴿وَلَقَدْ جِئْنَاهُم بِكِتَابٍ فَصَّلْنَاهُ عَلَىٰ عِلْمٍ هُدًى وَرَحْمَةً لِّقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ﴾

‘‘আমি এদের কাছে এমন একটি কিতাব নিয়ে এসেছি, যাকে পূর্ণ জ্ঞানের ভিত্তিতে বিশদ ব্যাখ্যামূলক করেছি এবং যা ঈমানদারদের জন্য হেদায়াত ও রহমত স্বরূপ’’। (সূরা আরাফঃ ৫২)আর আল্লাহর দিকে যেই মুতলাক (সাধারণ) আগমণের সম্বন্ধ করা হয়েছে, তা দ্বারা সরাসরি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার আগমণ উদ্দেশ্য। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেছেনঃهَلْ يَنظُرُونَ إِلَّا أَن يَأْتِيَهُمُ اللَّهُ فِي ظُلَلٍ مِّنَ الْغَمَامِ ﴾ ﴿‘‘তারা কেবল সেই সময়ের অপেক্ষায় বসে আছে, যখন মেঘমালার ছায়াসহ স্বয়ং আল্লাহ তাদের সামনে আগমণ করবেন? আল্লাহ তাআলা আরো বলেনঃوَجَاءَ رَبُّكَ وَالْمَلَكُ صَفًّا صَفًّا﴾ ﴿‘‘তোমার রব এমন অবস্থায় আসবেন, যখন ফেরেশতারা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকবে’’।

[1] - এখানে উল্লেখিত শব্দগুলো চিন্তার যথেষ্ট খোরাক যোগায়। এর ফলে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে। দুনিয়ায় মানুষের পরীক্ষা কেবল একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে চলছে। ঈমানের বিষয়গুলো স্বচক্ষে না দেখে মানুষ বিশ্বাস করে কি না, আল্লাহ তাআলা এটিই পরীক্ষা করতে চান। কাজেই মহান আল্লাহ নবী প্রেরণ, আসমানী কিতাব অবতরণ এমন কি মুজিযা সমূহের ক্ষেত্রেও বুদ্ধি-বিবেকের পরীক্ষা ও নৈতিক শক্তি যাচাই করার ব্যবস্থা রেখেছেন। কখনো তিনি সত্যকে এমনভাবে আবরণমুক্ত করে দেননি যার ফলে মানুষের পক্ষে তাকে মেনে নেয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকেনা। কেননা এরপর তো আর পরীক্ষার কোন অর্থই থাকেনা এবং পরীক্ষায় সাফল্য ও ব্যর্থতা অর্থহীন হয়ে পড়ে। তাই এখানে বলা হচ্ছে, সেই সময়ের অপেক্ষায় থেকো যখন আল্লাহ ও তাঁর রাজ্যের ফেরেশতাগণ সামনে এসে যাবেন। কারণ তখন তো সমস্ত ব্যাপারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে। ঈমান আনা ও আনুগত্যের মস্তক অবনত করার মূল্য ও মর্যাদা ততক্ষণই দেয়া হবে যতক্ষণ প্রকৃত সত্য মানুষের ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য হবেনা। কিন্তু মানুষ শুধুমাত্র যুক্তি-প্রমাণের মাধ্যমে তাকে গ্রহণ করে নিজের ঈমানী শক্তির প্রমাণ দেবে। অন্যথায় যখন প্রকৃত সত্য সকল প্রকার আবরণ মুক্ত হয়ে সামনে এসে দাঁড়াবে, মানুষ স্বচক্ষে আল্লাহকে দেখবে, তাঁর মহাপ্রতাপ, সীমাহীন ও বিশ্ব সংসারের বিশাল রাজত্ব তাঁর নির্দেশে পরিচালিত হতে দেখবে, ফেরেশতাদের দেখবে আকাশ ও পৃথিবীর ব্যবস্থাপনায় প্রতি মুহূর্তে সক্রিয় এবং মানুষের এ সত্তাকে আল্লাহর প্রচন্ড শক্তির আগ্রাসনে একান্ত অসহায় দেখতে পাবে- এসব কিছু চর্মচক্ষে প্রত্যক্ষ করার পর যদি কেউ ঈমান আনে ও সত্যকে মেনে চলতে আগ্রহী হয় তাহলে তার এ ঈমান আনার ও সত্যকে মেনে চলার কোনো দামই থাকবেনা। সে সময় কোন পাক্কা কাফের ও নিকৃষ্টতম অপরাধীও অস্বীকার করার সাহস দেখাবেনা। আবরণ উন্মোচন করার মুহূর্ত আসার আগে ঈমান আনার ও আনুগত্য করার সুযোগ রয়েছে। আর যখন সে মুহূর্তটি এসে যাবে তখন আর পরীক্ষা থাকবেনা এবং পরীক্ষার সুযোগও থাকবেনা। বরং তখন চূড়ান্ত মীমাংসা ও ফায়সালার সময়।