উপদেশ ২৬. কবরের শাস্তি আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ

عَنْ اَنَسٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتْبَعُ الْمَيّتَ ثَلَاثَةُ فَيَرْجِعُ اِثْنَانِ وَيَبْقَى مَعَهُ وَاحِدٌ يَتْبَعُهُ اَهْلُهُ وَمَالُهُ وَعَمَلُهُ فَيَرْجِعُ اَهْلُهُ وَمَالُهُ وَيَبْقى عَمَلُهُ.

আনাস (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, মৃত ব্যক্তি যখন কবর স্থানে যায় তার সাথে তিনটি জিনিস যায়। দু’টি জিনিস ফিরে আসে আর একটি জিনিস তার সাথে থেকে যায়। তার সাথে যায় তার পরিবারের সদস্য, সম্পদ ও তার আমল। তার পরিবারের সদস্য ও তার সম্পদ ফিরে আসে, আর তার আমল তার সাথে থেকে যায় (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৫১৬৭)। অত্র হাদীছ দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, মানুষ যেদিন নিরুপায় হবে, সে দিন মানুষের কোন সহযোগী থাকবে না, সে দিন তার সহযোগী হবে একমাত্র তার আমল।

عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ جَاءَتْ يَهُوْدِيَّةٌ فَاسْتَطْعَمَتْ عَلى بَابِىْ فقَالَتْ اَطْعِمُوْنِىْ اَعَاذَكُمُ اللهُ مِنْ فِتْنَةِ الدَّجّالِ وَمِنْ فِتْنَةِ عَذَابِ الْقَبْرِ فَلَمْ اَزَلْ اَحبِسُها حَتَّى اَتَى رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ يَارسولَ اللهُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ! مَا تَقُوْلُ هَذِه الْيَهُوْدِيَّةُ؟ قَالَ وَمَا تَقُوْلُ قُلْتُ تَقُوْلُ اَعَاذَكُمُ اللهُ مِنْ فِتْنَةِ الدّجَّالِ ومِنْ فِتْنَةِ عَذَابِ القَبْرِ فَقَامَ رَسولُ اللهِ فَرَفَعَ يَدَيْهِ مَدًا يَسْتَعِيْذُ بِاللهِ مِنْ فِتْنَةِ الدَّجَّالِ وَمِنْ فِتْنَةِ عَذَابِ القَبْرِ.

আয়েশা (রাঃ) বলেন, একজন ইহুদী মহিলা আমার দরজায় এসে খেতে চাইল, সে বলল, আমাকে খেতে দিন, আল্লহ আপনাদেরকে দাজ্জালের ফিতনা ও কবরের আযাবের ফেতনা হ’তে পরিত্রাণ দিবেন। তখন আমি রাসূল (সা.) বাড়ী আসা পর্যন্ত তাকে ধরে রাখলাম। রাসূল (সা.) যখন আসলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (সা.) ! এ ইহুদী মহিলা কি বলে? নবী করীম (সা.) বলেন, সে কি বলছে? আমি বললাম, সে বলছে আল্লাহ আপনাদেরকে দাজ্জালের ফেতনা ও কবরের আযাবের ফেতনা হ’তে রক্ষা করুন। তখন রাসূল(সা.) দাঁড়ালেন এবং হাত তুলে দে‘াআ করলেন, এ সময় তিনি দাজ্জালের ফিতনা এবং কবরের আযাবের ফেতনা হ’তে পরিত্রাণ চাচ্ছিলেন (আহমাদ হা/২৪৯৭০; তাফসীর দুররুল মানছূর ৫/৩৪ পৃঃ, হাদীছ ছহীহ)। অত্র হাদীছ দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, পূর্বের লোকেরাও কবরের আযাবকে ভয় করত এবং পরিত্রাণ চাইত। নবী করীম (সা.) কবরের শাস্তি হ’তে পরিত্রাণ চাওয়ার সময় হাত তুলে প্রার্থনা করেন এবং প্রার্থনায় কবরের আযাব হ’তে পরিত্রাণ চাইলেন। পাঠক-পাঠিকাদের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে অত্র বিষয়টি পাঠ করার পর কবরের আযাবকে বিশ্বাস করে আল্লাহর ভয়-ভীতি মনে নিয়ে কবরের আযাব হ’তে হাত তুলে প্রার্থনা করে পরিত্রাণ চাইবেন। আল্লাহ সকল মুসলিম নারী-পুরুষকে কবরের শাস্তি হতে রক্ষা করুন।