আর রশীদ ‘আলমাছার’ (المسار) নামক কিতাবে লিখেছেন- “যার তিনশত ষাটখানা রুটি, একটিন তেল এবং একহাজার ছয়শত খেজুর (অর্থাৎ পূর্ণ এক বছরের খোরাক) আছে কেউ তাকে গোলাম বানাতে পারবে না।”

একদা আমাদের এক ধাৰ্মিক পূর্বসূরী বলেছিলেন- “যে ব্যক্তি শুকনো রুটি ও পানিতে তৃপ্ত থাকবে সে আল্লাহর গোলামী ছাড়া অন্য সকলের গোলামী থেকে মুক্ত থাকবে।”

“এবং তার প্রতি কারো অনুগ্রহের প্রতিদানে নয়।” (৯২-সূরা আল লাইলঃ আয়াত-১৯)

একজন কবি বলেন- “আমার লোভ-লালসা আমাকে দাস বানিয়েছে, কেননা আমি ওগুলোর আনুগত্য করেছি। আর যদি আমি পরিতুষ্ট থাকতাম তবে আমি স্বাধীন থাকতাম।”

যারা সুখের উপায় হিসেবে সম্পদ ও পদমর্যাদা পেতে চায় অবশেষে তারা জানতে পারবে যে, তাদের চেষ্টা কতটা ব্যর্থ ও নিস্ফল ছিল।

“এবং তোমরাতো অবশ্যই (সঙ্গী-সাথী ও সহায় সম্বলহীন অবস্থায়) একেবারে একাকী আমার নিকট ঠিক সেরূপ অবস্থায় এসেছো যেরূপে আমি প্রথম বার তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছিলাম এবং আমি যা তোমাদেরকে দান করেছিলাম তা তোমরা পিছনে ফেলে এসেছ।” (৬-সূরা আল আন’আমঃ আয়াত-৯৪)

“বরং তোমরা দুনিয়ার জীবনকে প্রাধান্য দিচ্ছ, অথচ পরকাল উত্তম ও স্থায়ী।” (৮৭-সূরা আল আ'লাঃ আয়াত-১৬-১৭)