জামহূর তথা অধিকাংশ আলেমগণের মতটি এখানে বিশুদ্ধ। কারণ; এর উপর দলীল প্রমাণাদি রয়েছে; তন্মধ্যে:

১- আরাফার দিন ও মুযদালিফার রাতে সকলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে দু’সালাতকে একত্রিত করে পড়া জায়েয হওয়া। আর তা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অকাট্যভাবে সাব্যস্ত হওয়া। যেমনটি বর্ণিত হয়েছে জাবের রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বর্ণিত দীর্ঘ হাদীসসহ অন্যান্য হাদীসে। [মুসলিম, হাদীস নং ১২১৮]

২- অসংখ্য হাদীসে বর্ণনা এসেছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বিভিন্ন সফরে একত্রে সালাত আদায় করেছেন। তন্মধ্যে অন্যতম হাদীস হচ্ছে:

  • আবদুল্লাহ ইবন উমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বর্ণিত হাদীস,

"كان النبي صلى الله عليه وسلم يجمع بين المغرب والعشاء إذا جدّ به السير"

“নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাগরিব ও ইশার সালাতকে একসময়ে পড়তেন, যখন সফর চলমান হতো”। [বুখারী, ১০৫৫; মুসলিম, ৭০৩]

  • সাঈদ ইবন জুবাইর রহ. বলেন, ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন,

"أن رسول الله صلى الله عليه وسلم جمع بين الصلاة في سفرة سافرها في غزوة تبوك، فجمع بين الظهر والعصر، والمغرب والعشاء". قال سعيد: فقلت لابن عباس: ما حمله على ذلك، قال: أراد أن لا يحرج أمته

“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাবুকের যুদ্ধের এক সফরে সালাতকে জমা (একত্রিত) করে আদায় করেছেন। সুতরাং তিনি যোহর ও আসর এবং মাগরিব ও ইশাকে একত্র করে আদায় করেছেন। সা‘ঈদ বলেন, তখন আমি ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমাকে জিজ্ঞেস করলাম, তাকে একাজ করতে কিসে উদ্বুদ্ধ করল? তিনি বললেন, তিনি চেয়েছেন তাঁর উম্মত যেন সংকীর্ণতায় না ভোগে।” [মুসলিম, ৭০৫]

বস্তুত সালাতকে একত্রে পড়ার বিধানের দ্বারা ইসলামের সহজ হওয়া এবং মহানুভবতার প্রমাণ। জমা করার হাদীসগুলোকে প্রতিটি সালাত তার নির্দিষ্ট সময়ে আদায় করার পক্ষে আগত দলীল দ্বারা পরিত্যাগ করার কোনো কারণ নেই। কারণ সফর অবস্থায় সালাত একত্রে আদায় করা সাধারণ মূলনীতির বিপরীতে একটি প্রমাণিত পদ্ধতি। তাছাড়া তখন উভয় সময় সালাত আদায়ের সময়ে পরিণত হয়ে যায়।