প্রশ্ন ৩৪: হাদীছ এবং বক্তব্য শোনার জন্য ঋতুগ্রস্ত অবস্থায় কাবা শরীফে কোন মহিলার অবস্থানের বিধান কি?

উত্তরঃ কাবা ঘর অথবা অন্য কোন মসজিদে ঋতুবতীর অবস্থান জায়েয নয়। তবে প্রয়োজনে মসজিদের ভেতর দিয়ে যেতে পারে এবং প্রয়োজন মিটাতে পারে। রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-কে “খুমরা”[1] আনতে বললে তিনি বলেন, ওটা তো মসজিদে আছে, আর আমি ঋতুগ্রস্ত। তখন রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, “তোমার ঋতুস্রাব তো তোমার হাতে লেগে নেই।”[2] সুতরাং মসজিদে রক্তবিন্দু পড়বে না মর্মে আশংকামুক্ত থাকা অবস্থায় ঋতুবতী মসজিদ দিয়ে গেলে কোন সমস্যা নেই। তবে যদি সে মসজিদে ঢুকে বসতে চায়, তাহলে তা জায়েয হবে না। কেননা রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মহিলাদের -তরুণী, কুমারী এবং ঋতুবতীদের- ঈদগাহে যেতে বলেছেন। তবে তিনি ঋতুবতীদেরকে নামাযের স্থান ত্যাগ করতে আদেশ করেছেন।[3] এ হাদীছ প্রমাণ করে যে, কুরআন-হাদীছ বা বক্তব্য শোনার জন্য মসজিদে অবস্থান করা ঋতুবতীর জন্য জায়েয নয়।

1. ‘খুমরা’ হচ্ছে জায়নামায-যার উপর মুছল্লী সেজদা করে থাকে। আর এটাকে খুমরা (আচ্ছাদন) বলা হয় এই কারণে যে, উহা সেজদার সময় চেহারা ঢেকে রাখে।

1. মুসলিম, 'ঋতুস্রাব' অধ্যায়, 'ঋতুবতী তার স্বামীর মাথা ধুয়ে দিতে পারে এবং চিরুনি করে দিতে পারে' অনুচ্ছেদ হা/১১, ২৯৮।

2. বুখারী, 'ঈদায়েন' অধ্যায়, 'সাধারণ এবং ঋতুবতী মহিলাদের ঈদগাহে যাওয়া' অনুচ্ছেদ, হা/৯৭৪. মুসলিম, 'ঈদায়েন' অধ্যায়, 'দুই ঈদে মহিলাদের ঈদগাহে যাওয়া' অনুচ্ছেদ, হা/১০, ৮৯০।