স্বালাতে মুবাশ্‌শির জামাআত আবদুল হামীদ ফাইযী
জামাআতের নামায দেরীতে হলে

আওয়াল-অক্তে একাকী নামায পড়ার চাইতে একটু দেরীতে জামাআত সহ্‌ নামায পড়া উত্তম। বিশেষ করে রাতের এশার নামায দেরীতে হলে একাকী আওয়াল অক্তে নামায পড়ে শুয়ে পড়া উত্তম নয়। মহানবী (ﷺ) বলেন, “নামাযে সবচেয়ে সওয়াব বেশী তার, যাকে (মসজিদের পথে) হাঁটতে হয় বেশী। আর যে ব্যক্তি অপেক্ষা করে ইমাম ও জামাআতের সাথে পড়ে সে ব্যক্তির সওয়াব তার থেকে বেশী, যে (একাকী) নামায পড়ে নিয়ে ঘুমিয়ে যায়।” (বুখারী ৬৫১নং)

অবশ্য ইমাম যদি খুব ঢিলে হন এবং খুব দেরী করে নামায পড়েন, তাহলে তার নির্দেশ ভিন্ন। মহানবী (ﷺ) একদা আবূ যার (রাঃ)-কে বললেন, “কি করবে তুমি, যখন এমন কিছু আমীর হবে, যারা যথা সময় থেকে নামায দেরী করে পড়বে?” আবূ যার বললেন, ‘আমাকে আপনি কি আদেশ করেন? বললেন, “তুমি তোমার নামায যথাসময়ে পড়ে নাও। অতঃপর যদি সেই নামায তাদের সাথে পাও, তাহলে পুনরায় তাদের সাথে (জামাআতে) পড়ে নাও। এটা তোমার জন্য নফল হয়ে যাবে।” (মুসলিম, সুনানু আরবাআহ (আবূ দাঊদ, তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবনে মাজাহ্‌)