দ্বিতীয় প্রকার: কাজের মাধ্যমে দা'ওয়াত ও তাবলীগ

এখানে কাজের মাধ্যমে মন্দ কাজ দূর করাই আমাদের উদ্দেশ্য। আর কখনো কোন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভাল কাজ করা যেতে পারে। যেমনঃ মসজিদ, মাদ্রাসা নির্মাণ। যার দ্বারা আল্লাহর শরীয়ত কায়েম করা সহজ হয়। ইহা নিরব দাওয়াতের ভূমিকা পালন করে। এর মূল হচ্ছে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর বাণী:

مَنْ رَأَى مِنْكُمْ مُنْكَرًا فَلْيُغَيِّرْهُ بِيَدِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِقَلْبِهِ وَذَلِكَ أَضْعَفُ الْإِيْمَانِ

“তোমাদের যে কেউ যে কোন মুনকার (অসৎকর্ম) দেখবে তা হাত দ্বারা প্রতিহত করবে। যদি সম্ভব না হয় তবে মুখ দ্বারা। যদি তাও সম্ভব না হয় তবে অন্তর দ্বারা ঘৃণা করবে।” [মুসলিম]

এখানে উপরে উল্লেখিত যে সকল নিয়ম বর্ণনা করা হয়েছে। তার প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। সাথে সাথে ইহাও প্রয়োজন যে, অন্যায় প্রতিহত করার মত শক্তি থাকতে হবে এবং সর্বদা লাভ ও ক্ষতির পরিমাণের প্রতি দৃষ্টি রাখতে হবে। মন্দ কাজকে ঘৃণা করা অপরিহার্য এ ব্যাপারে কোন প্রকার ছাড় নেই; কারণ মু'মিন বান্দা আল্লাহ্ যা পছন্দ করেন তাই পছন্দ করবে আর যা ঘৃণা করেন তাই ঘৃণা করবে। কেউ যদি অন্তর দিয়েও ঘৃণা না করে তবে জানতে হবে সে বেঈমান। প্রয়োজনে যে কোন জায়েজ জিনিস দ্বারা সহযোগিতা নেওয়া যেতে পারে। এ জন্যই ইসলামে অন্তর নরম করার ব্যাপারে জাকাতের একটি খাত রেখেছে। কোন প্রকার উপহার দিয়েও মুনকার (অসৎকর্ম) থেকে বিরত রাখা যেতে পারে।