৩. ২. ২৪. তেত্রিশ হাজার ও ছত্রিশ হাজারের বৈপরীত্য

শলোমনের মন্দিরকে ইংরেজিতে ‘temple’, বা ‘temple of the LORD’ বলা হয়।  কেরির অনুবাদে মন্দির, সদাপ্রভুর মন্দির বা ধর্মধাম । আরবি বাইবেল ও আরবি ইহুদি-খ্রিষ্টান পরিভাষায় একে ‘হাইকাল’ ‘হাইকালুর রাবব’ বা ‘হাইকাল সুলাইমান’ বলা হয়। ইসলামি পরিভাষায় একে ‘মাসজিদুল আকসা’ বলা হয়। বাংলা ‘কিতাবুল মোকাদ্দস’-এ একে ‘বায়তুল মোকাদ্দস’ বলা হয়েছে। এতে অর্থ বিকৃতি ঘটেছে, কারণ আরবি ভাষায় ‘বাইতুল মুকাদ্দাস’ বা ‘কুদস’ বলতে জেরুজালেম নগরীকে বুঝানো হয়।

এ মন্দির (বায়তুল মোকাদ্দস!) নির্মাণের কাহিনী রাজাবলি/ বাদশাহনামা ও বংশাবলি/ খান্দাননামা পুস্তকদ্বয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে। তবে উভয় বর্ণনার মধ্যে অনেক বৈপরীত্য! একটা বৈপরীত্য কর্মকর্তাদের সংখ্যা প্রসঙ্গে। শলোমনের মন্দির, ধর্মধাম বা মসজিদুল আকসা (বায়তুল মোকাদ্দস!) তৈরির সময় শলোমনের কর্মকর্তা কতজন ছিলেন। রাজাবলি বলছে তেত্রিশ শত, কিন্তু বংশাবলি বলছে ছত্রিশ শত!

১ রাজাবলির ৫/১৬ বলছে: ‘‘এছাড়া সোলায়ামানের কাজের লোকদের উপর কর্তৃত্বকারী তিন হাজর তিন শত প্রধান কার্যাধ্যক্ষ্য ছিল।’’ অথচ ২ বংশাবলি ২/২ বলছে: ‘‘ও তাদের নেতা হিসেবে তিন হাজার ছয় শত লোক নিযুক্ত করলেন।’’