শাখা-৪০. পোশাক ও সাজসজ্জা বিষয়ে সতর্কতা

সহীহ আল বুখারী ও সহীহ মুসলিমে আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে, নবী করীম (সা.) বলেছেন,

من لبس الحرير في الدنيا فلن يلبسه في الآخرة

“যে ব্যক্তি দুনিয়ায় রেশমজাত কাপড় চোপড় পরবে সে আখিরাতে তা পরতে পারবে না।'[১]

একবার হুযাইফা (রাঃ) পানি পান করতে চাইলে এক অগ্নি উপাসক তাঁকে রূপার গ্লাসে পানি এনে দেয় পান করার জন্য। তখন তিনি বললেন, আমি আল্লাহর রাসূল (সা.)-কে বলতে শুনেছি,

لا تلبسوا الحرير ولا الديباج ولا تشربوا في آنية الذهب والفضة ولا تأكلوا في صحافها فإنها لهم في الدنيا وهي لكم في الآخرة

‘তোমরা মিহি কিংবা মোটটা রেশমী কাপড় পরবে না, সোনা-রূপার পাত্রে পানাহার করবে না। কারণ এসব দুনিয়াতে তাদের (অর্থাৎ কাফিরদের) জন্য এবং আখিরাতে তোমাদের জন্য।[২]

সহীহ মুসলিমে ইবনু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসে বলা হয়েছে, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেন,

إن الله جميل. يحب الجمال الكبر بطر الحق وغمط الناس

‘আল্লাহ্ সুন্দর, তিনি সুন্দরকে পছন্দ করেন, অহংকার মানুষকে সত্য-বিমুখ করে এবং লোকদের কাছে হেয় করে।[৩]

আবু বুরদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, একবার আয়িশা (রাঃ) একটি পশমী চাদর ও একটি মোটটা কাপড়ের পাজামা দেখিয়ে বললেন, আল্লাহর রাসূল (সা.) এগুলো রেখে গেছেন।[৪]

আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রাঃ) বর্ণিত হাদীসে বলা হয়েছে, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেন,

لَا يَنْظُرُ اللَّهُ إِلَى مَنْ جَرَّ ثَوْبَهُ خُيَلَاءَ

“যে ব্যক্তি অংহকার বশত পায়ের গোড়ালীর গিটের নিচে কাপড় ঝুলিয়ে পরবে আল্লাহ্ কিয়ামতের দিন তার দিকে তাকিয়েও দেখবেন না।[৫]

[১]. সহীহ আল বুখারী, পোশাক পরিচ্ছদ অধ্যায়; সহীহ মুসলিম, পোশাক ও সাজসজ্জা অধ্যায় (হাদীস-৫২৫২)

[২]. সহীহ আল বুখারী, পোশাক পরিচ্ছদ অধ্যায়; সহীহ মুসলিম, পোশাক ও সাজসজ্জা অধ্যায়, (হাদীস-৫২২৬)।

[৩]. সহীহ মুসলিম।

[৪]. সহীহ্ আল বুখারী; সহীহ মুসলিম।

[৫]. সহীহ আল বুখারী; সহীহ মুসলিম; নাসাঈ।