নৈতিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা:

বর্তমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যে সব শিক্ষা দেওয়া হয়, তা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাস্তবতা ও নৈতিকতা বিবর্জিত। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে নৈতিক শিক্ষার খুবই অভাব। এ ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার করে তাতে দ্বীনি শিক্ষা ও বাস্তবধর্মী শিক্ষার ব্যবস্থা করতে পারলেই, যুব সমাজের অবক্ষয় রোধ করা সম্ভব। যুব সমাজের অবক্ষয় রোধে সঠিক আকীদা, হারাম হালাল, মানুষের সাথে লেন-দেন, পারিবারিক জীবন ব্যবস্থা, আচার-ব্যবহার ইত্যাদি নৈতিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা বর্তমানে সময়ের অন্যতম দাবী।

মসজিদ, মাদ্রাসা ইত্যাদির সভা সেমিনারে যুবকদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য উন্মুক্ত আলোচনার ব্যবস্থা করা এবং প্রশ্ন উত্তরের মাধ্যমে তাদের শিক্ষার দানের ব্যবস্থা করা, যাতে তারা তাদের সমস্যাগুলির সমাধান ও তাদের পথ চলার গতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা লাভ করতে সক্ষম হয়। মুসলিম যুব সমাজকে সংশোধনের ক্ষেত্রে আলেম-ওলামা, বুদ্ধিজীবী ও জ্ঞানীদের দায়িত্ব ও কর্তব্য অনেক। কিন্তু বর্তমানে মুসলিম যুব সমাজের মাঝে আর আলেম-ওলামা, বুদ্ধিজীবী ও জ্ঞানীদের মাঝে বিশাল দূরত্ব ও ফাটল পরিলক্ষিত। এটি কোনো সুফল ভয়ে আনতে পারে না এবং শুভ লক্ষণও নয় বরং এটি যুব সমাজের অবক্ষয় ও পতনের অন্যতম কারণ। এর জন্য শুধু যুবকদের দোষারোপ করে বসে থাকলে চলবে না, আলেমদেরই তাদের সংশোধন করা ও ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে আসতে হবে।