কিয়ামতের আলামত আব্দুল্লাহ্ শাহেদ আল-মাদানী ৫৫ টি
কিয়ামতের আলামত আব্দুল্লাহ্ শাহেদ আল-মাদানী ৫৫ টি
২৯) পরিচিত লোকদেরকেই সালাম দেয়া হবে

কিয়ামত নিকটবর্তী হওয়ার অন্যতম আলামত হচ্ছে মুসলমানেরা কেবল পরিচিত লোকদেরকেই সালাম দিবে।[1] এ বিষয়টি বর্তমান যামানায় সুস্পষ্ট হয়ে দেখা দিয়েছে। অনেক লোকই পরিচিত ব্যতীত অন্য কাউকে সালাম দেয়না। এটি সুন্নাত বিরোধী কাজ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পরিচিত-অপরিচিত সকল মুসলিমকেই সালাম দিতে বলেছেন। কেননা সালাম বিনিময় করা মুসলমানদের ভিতরে ভালবাসা সৃষ্টির অন্যতম মাধ্যম। তিনি বলেনঃ ‘‘তোমরা ঈমানদার না হয়ে জান্নাতে যেতে পারবেনা। আর একে অপরকে ভাল না বাসলে ঈমানদার হতে পারবেনা। আমি কি তোমাদেরকে এমন বিষয়ের সন্ধান দেবনা যা করলে তোমরা একে অপরকে ভালবাসতে পারবে? তোমরা বেশী করে সালামের প্রচলন করো’’।[2]

[1] - মুসনাদে আহমাদ। আহমাদ শাকের সহীহ বলেছেন।

[2] - মুসলিম, অধ্যায়ঃ কিতাবুল ঈমান।
৩০) বেপর্দা নারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে

কিয়ামতের অন্যতম আলামত হচ্ছে মহিলারা ইসলামী পোষাক পরিত্যাগ করে এমন পোষাক পরিধান করবে যাতে তাদের সতর ঢাকবেনা। তারা মাথার চুল ও সৌন্দর্য্যের স্থানগুলো প্রকাশ করে ঘর থেকে বের হবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ ‘‘কিয়ামতের আলামত হচ্ছে মহিলাদের জন্য এমন পোষাক আবিস্কার হবে যা পরিধান করার পরও মহিলাদেরকে উলঙ্গ মনে হবে’’।[1] অর্থাৎ তাদের পোষাকগুলো এমন সংকীর্ণ ও আঁট-সাট হবে যে, তা পরিধান করলেও শরীরের গঠন ও সৌন্দর্যের স্থানগুলো বাহির থেকে সুস্পষ্ট বুঝা যাবে।

এই হাদীছটিতে নবুওয়াতের সুস্পষ্ট মু'জেযা রয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আজ থেকে প্রায় দেড় হাজার বছর পূর্বে যা বলেছেন তা আজ হুবহু বাস্তবায়িত হয়েছে।

[1] - ইমাম হায়ছামী বলেনঃ ইমাম বুখারী এই হাদীছের বর্ণনাকারীদের থেকে হাদীছ গ্রহণ করেছেন, মাজমাউজ্ জাওয়ায়েদ, (৭/৩২৭)।

কিয়ামতের অন্যতম আলামত হচ্ছে আখেরী যামানায় মুমিন ব্যক্তির স্বপ্ন মিথ্যা হবেনা; বরং ঘুমন্ত অবস্থায় সে যা স্বপ্নে দেখবে তা সত্যে পরিণত হবে। যার ঈমান যত মজবুত হবে তার স্বপণও তত বেশী সত্য হবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

إِذَا اقْتَرَبَ الزَّمَانُ لَمْ تَكَدْ رُؤْيَا الْمُسْلِمِ تَكْذِبُ وَأَصْدَقُكُمْ رُؤْيَا أَصْدَقُكُمْ حَدِيثًا وَرُؤْيَا الْمُسْلِمِ جُزْءٌ مِنْ خَمْسٍ وَأَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ وَالرُّؤْيَا ثَلَاثَةٌ فَرُؤْيَا الصَّالِحَةِ بُشْرَى مِنَ اللَّهِ وَرُؤْيَا تَحْزِينٌ مِنَ الشَّيْطَانِ وَرُؤْيَا مِمَّا يُحَدِّثُ الْمَرْءُ نَفْسَهُ فَإِنْ رَأَى أَحَدُكُمْ مَا يَكْرَهُ فَلْيَقُمْ فَلْيُصَلِّ وَلَا يُحَدِّثْ بِهَا النَّاسَ

‘‘যখন কিয়ামত নিকটবর্তী হবে তখন মু’মিন ব্যক্তির স্বপ্ন মিথ্যা হবেনা। যে মু’মিন মানুষের সাথে কথা-বার্তায় সত্যবাদী হবে তাঁর স্বপ্ন বেশী সত্যে পরিণত হবে। মু’মিনের স্বপ্ন নবুওয়াতের পয়তাল্লিশ ভাগের একভাগের সমান। স্বপ্ন তিন প্রকার। (১) মু’মিনের সত্য স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ হতে সুসংবাদ স্বরূপ। (২) যে সমস্ত স্বপ্ন মনের ভিতর দুশ্চিন্তা আনয়ন করে তা শয়তানের পক্ষ থেকে। (৩) আর এক প্রকারের স্বপ্ন অন্তরের কল্পনা মাত্র। সুতরাং তোমাদের কেউ যদি স্বপ্নে অপছন্দনীয় কিছু দেখে সে যেন বিছানা থেকে উঠে নামাযে দাঁড়িয়ে যায় এবং স্বপ্নের কথা কারো কাছে প্রকাশ না করে’’।[1]

ইবনে আবি হামজাহ বলেনঃ ‘‘আখেরী যামানায় মু’মিনের স্বপ্ন সত্য হওয়ার অর্থ এই যে, অধিকাংশ সময় স্বপ্নে যা দেখেছে তাই বাস্তবে পরিণত হবে। স্বপ্নের ব্যাখ্যার প্রয়োজন হবেনা। অথচ ইতিপূর্বে তা অস্পষ্ট হওয়ার কারণে ব্যাখ্যার প্রয়োজন হতো। ফলে কখনও ব্যাখ্যার বিপরীত হতো’’।

শেষ যামানায় স্বপ্ন সত্যে পরিণত হওয়ার কারণ এই যে তখন মুমিন লোকের সংখ্যা কমে যাবে। ফলে সে সময় মুমিন ব্যক্তি কোন সহযোগী

ও শান্তনা দানকারী খুঁজে পাবেনা। তাই সত্য স্বপ্নের মাধ্যমে তাকে শান্তনা দেয়া হবে।[2]

কোন্ যামানায় মুমিনের স্বপ্ন সত্যে পরিণত হবে তার ব্যাপারে আলেমদের কয়েক ধরণের বক্তব্য রয়েছেঃ

ক) এটি হবে কিয়ামতের পূর্বে যখন ইল্মে দ্বীন উঠিয়ে নেয়া হবে, ইসলামী শরীয়তের নাম-নিশানা মিটে যাবে এবং ফিতনা-ফাসাদ ও যুদ্ধ-বিগ্রহ সংঘটিত হবে।

খ) আখেরী যামানায় যখন মুমিনের সংখ্যা কমে যাবে এবং কুফর, পাপাচারিতা ও মূর্খতা ছড়িয়ে পড়বে তখন মুমিনের স্বপ্ন সত্যে পরিণত হবে। মুমিন লোকের সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণে এক সময় তারা একাকীত্ব অনুভব করবে এবং নিজেদেরকে অসহায় মনে করবে। অন্য একজন মুমিনের সাথে বসে কথা বলার এবং মনের ভাব বিনিময় করার মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে। এহেন কঠিন পরিস্থিতে স্বপ্নের মাধ্যমে মু’নিদেরকে শান্তনা প্রদান করা হবে।

গ) এটি হবে আখেরী যামানায় ঈসা (আঃ) আকাশ থেকে নেমে আসার পর। কারণ খোলাফায়ে রাশেদার যুগের পর ঈসা (আঃ)এর যামানা হবে সর্বোত্তম যামানা। সে যুগের মানুষ অত্যন্ত সত্যবাদী হবে। কাজেই তাদের স্বপ্নও সত্য হবে। (আল্লাহই ভাল জানেন)

[1] - মুসলিম, অধ্যায়ঃ কিতাবুত তা’বীর।

[2] - ফাতহুলবারী, (১২/৪০৬)
৩২) সুন্নাতী আমল সম্পর্কে গাফিলতী করবে

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ ‘‘তোমাদের কেউ যখন মসজিদে প্রবেশ করবে সে যেন বসার পূর্বে দুই রাকাত নামায পড়ে নেয়’’।[1] কিছু সংখ্যক লোক ব্যতীত কিয়ামতের পূর্ব মুহূর্তে মুসলমানেরা এই গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাতটির উপর আমল ছেড়ে দিবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ ‘‘কিয়ামতের আলামত হচ্ছে লোকেরা মসজিদের ভিতরে প্রবেশ করবে কিন্তু তাতে দু’রাকাত নামায পড়বেনা’’।[2]

[1] - মুসলিম, অধ্যায়ঃ মুসাফিরের নামায।

[2] - সহীহ ইবনে খুজায়মা। ইমাম আলবানী হাদীছটিকে সহীহ বলেছেন। সিলসিলায়ে সাহীহা হাদীছ নং- ৬৪৯।
৩৩) নতুন মাসের চাঁদ উঠার সময় বড় হয়ে উদিত হবে

মাসের প্রথম দিন আমরা চাঁদকে একেবারে চিকন ও সরু অবস্থায় উঠতে দেখি। কিন্তু কিয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে চাঁদ প্রথম দিনেই অনেক বড় হয়ে উদিত হবে। দেখে মনে হবে এটি দুই দিন বা তিন দিনের চাঁদ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ ‘‘কিয়ামত নিকটবর্তী হওয়ার আলামত হচ্ছে, চন্দ্র মোটা হয়ে উদিত হবে। বলা হবে এটি দুই দিনের চাঁদ’’।[1]

[1]- তাবরানী। ইমাম আলবানী হাদীছটিকে সহীহ বলেছেন, সহীহুল জামে আস্ সাগীর, হাদীছ নং- ৫৮৯৯।
৩৪) মিথ্যা কথা বলার প্রচলন বৃদ্ধি পাবে

কিয়ামতের পূর্বে ব্যাপকভাবে মিথ্যা কথা বলার প্রচলন ঘটবে। এমনকি এক শ্রেণীর লোক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর নামে মিথ্যা হাদীছ রচনা করে মানুষের মাঝে প্রচার করবে। বাস্তবে তাই হয়েছে। ইসলাম প্রচার ও তাবলীগের নামে বানোয়াট কিচ্ছা-কাহিনী ও জাল হাদীছ তৈরী করে এক শ্রেণীর লোক মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ ‘‘আখেরী যামানায় আমার উম্মাতের কিছু লোক তোমাদের কাছে এমন কথা বর্ণনা করবে, যা তোমরাও শুননি এবং তোমাদের বাপ-দাদারাও শুনেনি। তোমরা তাদের থেকে সাবধান থাকবে। তারা যেন তোমাদেরকে বিভ্রান্ত করতে না পারে’’।[1]

হাদীছের ভাষ্য সত্যে পরিণত হয়েছে। বর্তমানকালে মানুষের মাঝে মিথ্যা কথা বলার অভ্যাস ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যদি বলা হয় বর্তমানে একজন সত্যবাদী খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন তাতেও অতিরঞ্জিত হবেনা বলে মনে হয়। যাচাই-বাছাই না করেই মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্যে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করতে লোকেরা মোটেও দ্বিধাবোধ করেনা। প্রচার মাধ্যমগুলো অনবরত মিথ্যা সংবাদ প্রচার করার কারণে সত্য-মিথ্যার মাঝে পার্থক্য করা কঠিন হয়ে যায়।

[1] - মুসলিম, মুকাদ্দিমা।
৩৫) মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়ার প্রচলন ঘটবে

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

إِنَّ بَيْنَ يَدَيِ السَّاعَةِ شَهَادَةَ الزُّورِ وَكِتْمَانَ شَهَادَةِ الْحَقِِّ

‘‘কিয়ামতের পূর্বে মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়ার প্রচলন ঘটবে এবং সত্য সাক্ষ্য গোপন করা হবে’’।[1] বর্তমান সমাজে সামান্য স্বার্থের বিনিময়ে মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়ার প্রচলন ব্যাপকভাবে দেখা দিয়েছে। অপর পক্ষে সত্যের সাক্ষী দেয়ার লোক খুব কমই পাওয়া যায়।

[1] - মুসনাদে আহমাদ। আহমাদ শাকের সহীহ বলেছেন।
৩৬) মহিলার সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং পুরুষের সংখ্যা কমে যাবে

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

مِنْ أَشْرَاطِ السَّاعَةِ أَنْ َتَكْثُرَ النِّسَاءُ وَيَقِلَّ الرِّجَالُ حَتَّى يَكُونَ لِخَمْسِينَ امْرَأَةً الْقَيِّمُ الْوَاحِد

‘‘কিয়ামতের আলামত হচ্ছে, মহিলার সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং পুরুষের সংখ্যা কমে যাবে। এমনকি পঞ্চাশ জন মহিলার দেখা-শুনার জন্য মাত্র একজন পুরুষ থাকবে’’।[1]

এই হাদীছের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে যে, কিয়ামতের পূর্বে ফিতনার সময় ব্যাপক যুদ্ধ হবে। যুদ্ধে যেহেতু কেবল পুরুষেরাই অংশগ্রহণ করে থাকে তাই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে পুরুষেরা অকাতরে নিহত হবে। ফলে পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।

ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী (রঃ) এই মতটিকে প্রত্যাখ্যান করে বলেনঃ হাদীছের প্রকাশ্য অর্থ হলো কোন কারণ ছাড়াই শুধু কিয়ামতের আলামত হিসেবে নারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। আল্লাহ তাআলা আখেরী যামানায় পুরুষের তুলনায় বেশী নারী সৃষ্টি করবেন। বর্তমানেও এ আলামতটি প্রকাশিত হয়েছে। কোন কোন দেশে জরিপ করে দেখা গেছে পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা অনেক বেশী। ভবিষ্যতে আরো বৃদ্ধি পাবে। মোটকথা স্বভাবগত ও যুদ্ধ উভয় কারণে পুরুষের সংখ্যা কমতে পারে।

[1] - বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুল ইলম।
৩৭) হঠাৎ মৃত্যুর বরণকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ ‘‘কিয়ামতের অন্যতম আলামত হচ্ছে হঠাৎ করে মৃত্যুবরণকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে’’।[1]

বর্তমানে এরকম ঘটনা প্রায়ই শুনা যায়। দেখা যায় একজন মানুষ সম্পূর্ণ সুস্থ। হঠাৎ শুনা যায় সে মৃত্যু বরণ করেছে। সুতরাং মানুষের উচিৎ মৃত্যু আসার পূর্বেই আল্লাহর কাছে তাওবা করা এবং সকল প্রকার পাপ কাজ থেকে বিরত থাকা।

[1] - মাজমাউয্ যাওয়ায়েদ (৭/৩২৫) সহীহুল জামে আস্ সাগীর, হাদীছ নং- ৫৭৭৫)।
৩৮) আরব উপদ্বীপ নদ-নদী এবং গাছপালায় পূর্ণ হয়ে যাবে

বর্তমানে আরব উপদ্বীপে কোন নদী-নালা নেই। গাছপালার সংখ্যা খুবই কম। চাষাবাদের উপযোগী ভূমির পরিমাণ অতি নগণ্য। কিয়ামতের পূর্ব মুহূর্তে আরব উপদ্বীপের পরিবেশ পরিবর্তন হয়ে যাবে এবং তা গাছপালা ও নদী-নালায় পরিপূর্ণ হয়ে যাবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تَعُودَ أَرْضُ الْعَرَبِ مُرُوجًا وَأَنْهَارًا

‘‘ততদিন পর্যন্ত কিয়ামত প্রতিষ্ঠিত হবেনা যে পর্যন্ত না আরব উপদ্বীপ গাছপালা ও নদী-নালায় পূর্ণ হবে’’।[1]

হাদীছের প্রকাশ্য বর্ণনা থেকে বুঝা যাচ্ছে যে আরব দেশসমূহে কিয়ামতের পূর্বে পানির অভাব হবেনা। তাতে প্রচুর পরিমাণ নদী প্রবাহিত হবে। ফলে গাছ-পালা ও নানা উদ্ভিদ উৎপন্ন হবে এবং বন-জঙ্গলে ভরে যাবে।

[1] - মুসলিম, অধ্যায়ঃ কিতাবুয্ যাকাত।
দেখানো হচ্ছেঃ ৩১ থেকে ৪০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৫৫ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ « আগের পাতা 1 2 3 4 5 6 পরের পাতা »