প্রকৃতিগতভাবে মহিলার গোঁফ হয় না। কিন্তু অস্বাভাবিকভাবে তা যদি হয়েই থাকে, তাহলে তা তুলে ফেলা বৈধ; যেমন এ কথা পূর্বে আলোচিত হয়েছে।
স্বামীর দৃষ্টি ও মন আকর্ষণের জন্য ঠোঁট-পালিশ (লিপ্স্টিক), গাল-পালিশ প্রভৃতি অঙ্গরাগ ব্যবহার বৈধ; যদি তাতে কোন প্রকার হারাম বা ক্ষতিকর পদার্থ মিশ্রিত না থাকে।[1]
প্রকাশ থাকে যে, কোন কোন প্রসাধন কোম্পানী গর্ভচ্যুত ভ্রূণ ও আরশোলা (তেলেপোকা) দ্বারা মেয়েদের প্রিয় অঙ্গরাগ ‘লিপ্স্টিক’ প্রস্ত্তত করে থাকে। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও ইন্টারনেটে প্রকাশিত খবরটি অনেকের অবিশ্বাস্য হলেও, তা কিন্তু সত্য। সুতরাং ঠসকী (ছলাকলাকারিণী) ও ভাবুনী (প্রসাধনপ্রিয়া) মা-বোনেরা সাবধান হবেন কি? নাকি সেই বরাঙ্গীর (সুন্দর দেহের অধিকারিণী) মত বলবেন- যে বরাঙ্গীর ঘরে আগুন লাগলে সে তার সাজ-সজ্জায় ব্যস্ত ছিল এবং এক মহিলা যখন তাকে বলল, ‘বরাঙ্গী লো, বরাঙ্গী! তোর ঘর পুড়ছে যে!’ তখন তার উত্তরে সে বলল, ‘পুড়ুকগে, আমার বরাঙ্গ তো পুড়েনি!’
দাঁতের যত্ন নেওয়ার ব্যাপারে পুরুষের মত মহিলারও দাঁতন করার বিধান রয়েছে ইসলামে।
রূপচর্চায় দুই দাঁতের মধ্যবর্তী স্থান ঘষে ফাঁক-ফাঁক করে চিরনদাঁতীর রূপ আনা বৈধ নয়। এমন নারীও রসূল (ﷺ) এর মুখে অভিশপ্তা।[1]
অবশ্য কোন দাঁত অস্বাভাবিক ও অশোভনীয় রূপে বাঁকা বা অতিরিক্ত (কুকুরদাঁত) থাকলে তা সিধা করা বা তুলে ফেলা বৈধ।[2] যেমন মহিলার জন্য সোনার দাঁত ব্যবহার করা বৈধ।
[2]. তামবীহুল মু’মিনাত ২৮পৃঃ, ফাতাওয়া মারআহ ৯৪পৃঃ
মহিলাদের ঘাড়ের অলঙ্কার হিসাবে হার ও মালা পরার প্রথা আল্লাহর রসূল (ﷺ) এর যুগেও প্রচলিত ছিল।[1] সুতরাং তা আজও মহিলার সৌন্দর্যবর্ধক এক শ্রেণীর অলংকার।
প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য যে, মহিলার গলার আওয়াজ বেগানা পুরুষের জন্য শোনা বৈধ হলেও তার কণ্ঠস্বরে যেন মিষ্টতা ও আকর্ষণীয় ভঙ্গিমা না থাকে। রোগা মনের পুরুষ যাতে তার কোমল কণ্ঠে প্রলুব্ধ না হয়ে যায়, তার জন্য কুরআনে এ বিধান দেওয়া হয়েছে। (সূরা আহযাব-৩৩:৩২ আয়াত)
নারীর প্রকৃত সৌন্দর্য গোপন থাকে তার বুকের মাঝে। সেহেতু বক্ষঃস্থল তার একান্ত গোপনীয় অঙ্গ। লেবাসের ভিতরেও এ অঙ্গ আকর্ষণীয় (উঁচু) করে রাখা বোরকা-ওয়ালীদের জন্যও বৈধ নয়।
কেবল স্বামীর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ব্রা ব্যবহার বৈধ। অন্যের জন্য ধোকার উদ্দেশ্যে তা অবৈধ।[1]
বক্ষের ভিতরে আছে হৃদয়। এই হৃদয় হল মানুষের মূল। হৃদয় ভালো হলে, তার সব ভালো। নচেৎ তা খারাপ হলে সব খারাপ।
উল্লেখ্য যে, বাহ্যিক দেহে সৌন্দর্য আনার আগে হৃদয়-মনে সৌন্দর্য আনতে হবে। দেহের সৌন্দর্য নিবেদন করার সাথে সাথে হৃদয়ের সৌন্দর্যও নিবেদন করতে হবে স্বামীকে। তবেই হবে সৌন্দর্যের প্রকৃত মূল্যায়ন।
আসলে আত্মার সৌন্দর্য মানুষকে পরিপূর্ণতা দান করে। আর সত্যিকারের সৌন্দর্য মনের চোখ দিয়েই দেখা যায়।
মেহেন্দি লাগিয়ে হাত রঙিয়ে রাখাই মহিলার কর্তব্য। যাতে মহিলার হাত থেকে পুরুষের হাত পৃথক বুঝা যায়। রাসুল (ﷺ) এর যুগে মহিলারা মেহেন্দি দ্বারা রঙিয়ে রাখত।
হাতের চুড়ি প্রচলিত ছিল তখনও। অবশ্য তা বিবাহিত মহিলা চিহ্নরূপে প্রচলিত ছিল না। বলাই বাহুল্য যে, বিবাহিত মহিলার হাতে চুড়ি রাখা জরুরী ভাবা, চুড়ি খুললে স্বামীর কোন ক্ষতি হবে ধারণা করা অথবা হাত খালি করতে নেই মনে করা শির্ক ও বিদআত।
যেমন বেগানা পুরুষের হাতে চুড়ি পরা মুসলিম মহিলার জন্য হারাম ও অতি ধৃষ্টতার পরিচয়। হারাম হল চুড়ির ঝন্ঝনানি দ্বারা পর-পুরুষের মন ও দৃষ্টি আকর্ষণ করা।
হাতের বাজুতে বাজুবন্দ বা আর্মলেট, হাতে ঘড়ি বা ব্রেসলেট ব্যবহার অবৈধ নয়। তবে তা বেগানা পুরুষের চোখের সামনে গোপন করতে হবে।
অনেকের মতে মহিলার কব্জি পর্যন্ত উভয় হাতও গোপনীয় অঙ্গ। অতএব তা বেগানা পুরুষের সামনে বোরকা বা চাদর দ্বারা অথবা হাত মোজা বা দস্তানা দ্বারা পর্দা করা ওয়াজেব। আল্লাহর রসূল (ﷺ) এর যুগে মহিলারা দস্তানা ব্যবহার করত। তাই ইহরামের সময় তা পরতে নিষেধ করা হয়েছে।
হাতের চামড়া দেগে বা সূচিবিদ্ধ করে নকশা করা বা উলকি অাঁকা বৈধ নয়। এমন যে করে ও করায় সে অভিশপ্তা।
হযরত ইবনে মসঊদ (রাঃ) বলতেন, ‘(হাত বা চেহারায় সুচ বিদ্ধ করে) যারা উলকি-নকশা করে দেয় অথবা করায়, চেহারা থেকে যারা লোম তুলে ফেলে (বা ভ্রূ চাঁছে), সৌন্দর্য আনার জন্য যারা দাঁতের মাঝে ঘসে (ফাঁক ফাঁক করে) এবং আল্লাহর সৃষ্টি-প্রকৃতিতে পরিবর্তন ঘটায় (যাতে তাঁর অনুমতি নেই) এমন সকল মহিলাদেরকে আল্লাহ অভিশাপ করুন।’
বনী আসাদ গোত্রের উম্মে ইয়াকূব নামক এক মহিলার নিকট এ খবর পৌঁছলে সে এসে ইবনে মাসউদ (রাঃ) কে বলল, ‘আমি শুনলাম, আপনি অমুক অমুক (কাজের) মহিলাদেরকে অভিশাপ করেছেন।’ তিনি বললেন, ‘যাদেরকে আল্লাহর রসূল (ﷺ) অভিশাপ করেছেন এবং যার উল্লেখ আল্লাহর কিতাবে রয়েছে তাদেরকে অভিশাপ করতে আমার বাধা কিসের?’ উম্মে ইয়াকূব বলল, ‘আমি (কুরআন মাজীদের) আদ্যোপান্ত পাঠ করেছি, কিন্তু আপনি যে কথা বলছেন তা তো কোথাও পাইনি।’ ইবনে মসঊদ (রাঃ) বললেন, ‘তুমি যদি (গভীরভাবে) পড়তে, তাহলে অবশ্যই সে কথা পেয়ে যেতে। তুমি কি এ আয়াত পড়নি?’
وَمَا آتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوا
অর্থাৎ, রসূল তোমাদেরকে যা(র নির্দেশ) দেয় তা গ্রহণ (ও পালন) কর এবং যা নিষেধ করে তা হতে বিরত থাক।’’[1]
উম্মে ইয়াকূব বলল, ‘অবশ্যই পড়েছি।’ ইবনে মসঊদ (রাঃ) বললেন, ‘তাহলে শোন, তিনি ঐ কাজ করতে নিষেধ করেছেন।’ মহিলাটি বলল, ‘কিন্তু আপনার পরিবারকে তো ঐ কাজ করতে দেখেছি।’ ইবনে মসঊদ (রাঃ) বললেন, ‘আচ্ছা তুমি গিয়ে দেখ তো।’
মহিলাটি তাঁর বাড়ি গিয়ে নিজ দাবী অনুযায়ী কিছুই দেখতে পেল না। পরিশেষে ইবনে মসঊদ (রাঃ) তাকে বললেন, ‘যদি তাই হত তাহলে আমি তার সাথে সহবাসই করতাম না।[2]
[1]. সূরা হাশর-৫৯:৭
[2]. বুখারী তাওহীদ পাবঃ হা/৪৮৮৬, মুসলিম আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা হা/২১২৫, আসহাবে সুনান
রাসুল (ﷺ) এর যুগে মহিলারা আংটি ব্যবহার করত। তবে লোহার আংটি ব্যবহার বৈধ নয়। বৈধ নয় পয়গামের আংটি। যেমন কোন বালা-মসীবত দূর করার জন্য কোন আংটি ব্যবহার করা শির্ক।
কোন বিকৃত অঙ্গে সৌন্দর্য আনয়নের জন্য অপারেশন বৈধ। কিন্তু ত্রুটিহীন অঙ্গে অধিক সৌন্দর্য আনয়নের উদ্দেশ্যে অস্ত্রোপচার করা বৈধ নয়।[1] পক্ষান্তরে অতিরিক্ত আঙ্গুল বা মাংস হাতে বা দেহের কোন অঙ্গে লটকে থাকলে তা কেটে ফেলা বৈধ।[2] কোন আঙ্গিক ত্রুটি ঢাকার জন্য কৃত্রিম অঙ্গ ব্যবহার দূষণীয় নয়। যেমন, সোনার বাঁধানো নাক, দাঁত ইত্যাদি ব্যবহার করা যায়।[3]
[2]. যীনাতুল মারআতিল মুসলিমাহ ১২২ পৃঃ
[3]. ফাতাওয়া ইবনে উষাইমীন ২/৮৩৩
মহিলাদের পায়ের অলঙ্কার রসূল (ﷺ) এর যুগেও প্রচলিত ছিল। বর্তমানেও পায়ের মল, নুপুর বা তোড়া যদি বাজনাহীন হয় এবং বেগানা পুরুষ থেকে গুপ্ত রাখা হয়, তাহলে তা বৈধ।
মহিলার পায়ে ঘুঙুর ও বাজনাবিশিষ্ট নুপুর স্বামী ও এগানা ছাড়া অন্যের কাছে প্রকাশ পাওয়া হারাম। যেহেতু প্রত্যেক বাজনার সাথে শয়তান থাকে। আর সেই শয়তান পর-পুরুষের মন ও দৃষ্টিকে ঐ ভাবুনী মহিলার দিকে আকৃষ্ট করে। সে মহিলা হয়তো বা নিজে পর-পুরুষের দিকে আকৃষ্ট হয় এবং পর-পুরুষকেও নিজের দিকে আকৃষ্ট করে। তাইতো সৃষ্টিকর্তা মহিলাদেরকে সতর্ক করে বলেন,
وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِنْ زِينَتِهِنَّ
অর্থাৎ, তারা যেন তাদের গোপন আভরণ প্রকাশের উদ্দেশ্যে সজোরে পদক্ষেপ না করে----।[1]
অনেকের মতে মহিলাদের জন্য বেগানার সামনে পায়ের পাতা ঢাকাও ওয়াজেব। আর তার জন্য পা-মোজা ব্যবহার করা কর্তব্য।
মহিলাদের জন্য হিল তোলা জুতা ব্যবহার বৈধ নয়। বিশেষ করে পেনসিল হিল জুতা মুসলিম মহিলাদের জন্য পরাই উচিত নয়।
হাই হিল জুতা পরা একাধিক কারণে নিষিদ্ধ
(ক) নিজেকে লম্বা দেখাবার উদ্দেশ্যে এই জুতা পরার মানে হল, আল্লাহর সৃষ্টি আকৃতির ব্যাপারে অসন্তুষ্টি প্রকাশ।
(খ) লম্বা ও উঁচু দেখানোর উদ্দেশ্যে পরলে লোককে ধোকা দেওয়া হয়।
(গ) এই জুতা পরে মহিলার পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা খুব বেশী থাকে। আর যদি কোন লোকমাঝে পড়ে, তাহলে তার উপর হাততালি ও উপহাসের পাথর বর্ষণ করা হয়। আর বেকায়দায় বা খারাপ জায়গায় পড়লে বেপর্দা হয় অথবা দেহে আঘাত খায়।
(ঘ) এই জুতা পরে আকর্ষণীয় আওয়াজ এবং চলনে দৃষ্টি-আকর্ষী আজব ভঙ্গিমা সৃষ্টি হয়। তাতে পুরুষের দৃষ্টি ও মন আকৃষ্ট ও প্রলুব্ধ হয়।[1]
(ঙ) এই জুতা পরলে পশ্চিমা নারীদের সাদৃশ্য অবলম্বন করা হয়।
(চ) এই জুতা পরে মনে মনে গর্ব ও অহংকার সৃষ্টি হতে পারে।
(ছ) এই জুতা পরে স্বাস্থ্যগত অনেক ক্ষতির আশঙ্কা আছে। যেমনঃ পিঠে ব্যথা হয়, পায়ের রলার পেশী শক্ত হয়ে যায় ইত্যাদি।
আসলে এই শ্রেণীর দৃষ্টি ও মন আকর্ষনীয় জুতা পরে যে মহিলা প্রদর্শন করে বেড়ায়, সে আসলে সেই মহিলাদের দলভুক্ত হতে পারে, যাদের সম্পর্কে রাসুল (ﷺ) বলেছেন, ‘‘--এরা (পর পুরুষকে নিজের প্রতি) আকৃষ্ট করবে এবং নিজেরাও (তার প্রতি) আকৃষ্ট হবে; তাদের মাথা হবে হিলে যাওয়া উটের কুজের মত। তারা জান্নাত প্রবেশ করবে না এবং তার সুগন্ধও পাবে না। অথচ তার সুগন্ধ এত-এত দূরবর্তী স্থান হতে পাওয়া যাবে।’’[2]
অতএব ঐ শ্রেণীর অন্ধ মেয়েরা দৃষ্টি ফিরে পাবে কি?
[2]. মুসলিম আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা হা/২১২৮
নখ কেটে ফেলা মানুষের এক প্রকৃতিগত রীতি। প্রতি সপ্তাহে একবার না পারলেও ৪০ দিনের ভিতর কেটে ফেলতে হয়।[1] কিন্তু এই প্রকৃতির বিপরীত করে কতক মহিলা নখ লম্বা করায় সৌন্দর্য আছে মনে করে। অথচ সভ্য দৃষ্টিতে তা পশুবৎ লাগে এবং ঐ নখে নানা ময়লা জমা হতে থাকে। নিছক পাশ্চাত্যের মহিলাদের অনুকরণে অসভ্য লম্বা ধারালো নখে নখ-পালিশ লাগিয়ে বন্য সুন্দরী সাজে। কিন্তু ‘‘যে ব্যক্তি যে জাতির অনুকরণ করে সে সেই জাতিরই দলভুক্ত।’’[2]
প্রকাশ থাকে যে, কৃত্রিম নখ ব্যবহারে উলামাগণ অনুমতি দেন না। যেহেতু তাতে ক্ষতির আশঙ্কা আছে।
নখে নখপালিশ ব্যবহার অবৈধ নয়, তবে ওযুর পূর্বে তুলে ফেলতে হবে। নচেৎ ওযু হবে না।[3] অবশ্য এর জন্য উত্তম সময় হল মাসিকের কয়েক দিন। তবে গোসলের পূর্বে অবশ্যই তুলে ফেলতে হবে।
মহিলাদের চুলে, হাতে ও পায়ে মেহেদী ব্যবহার মাসিকাবস্থাতেও বৈধ। বরং মহিলাদের নখ সর্বদা মেহেদী দ্বারা রঙ্গিয়ে রাখাই উত্তম।[4] এতে এবং অনুরূপ আলতাতে পানি আটকায় না। সুতরাং না তুলে ওযু-গোসল হয়ে যাবে।[5]
[2]. আহমাদ, আবূ দাঊদ, আদাবুয যিফাফ ২০৫পৃঃ
[3]. ইলা রাববাতিল খুদূর ১০১পৃঃ
[4]. আবূ দাঊদ, মিশকাত হা/৪৪৬৭
[5]. ফাতাওয়াল মারআহ ২৬পৃঃ
পূর্বেই বলা হয়েছে যে, মহিলার দেহের প্রায় সবটাই হল লজ্জাস্থান। সুতরাং সেই লজ্জাস্থানকে গোপন করে লজ্জাশীলতা আনয়ন করা মহিলার একটি প্রকৃতিগত স্বভাব। আর এই প্রকৃতিগত লজ্জাশীলতা ও গোপনীয়তায়ই রয়েছে মহিলার প্রকৃত সৌন্দর্য। আর সে সৌন্দর্য দেখার অধিকারী হল একমাত্র স্বামী।
লজ্জাস্থানের লোম পরিষ্কার ব্যাপারে পুরুষের মতই মহিলারও বিধান রয়েছে। অবশ্য পুরুষের চেয়ে মহিলাই এ বিষয়ে অধিক তৎপর।
প্রকাশ থাকে যে, গুপ্তাঙ্গের লোম আদি (বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে) পরিষ্কার করতে কোন মহিলার কাছেও লজ্জাস্থান খোলা বৈধ নয়।[1]
মহিলাদের জন্য খতনার বিধান আছে ইসলামে। তবে পুরুষের মত জরুরী হিসাবে নয়। মুস্তাহাব হিসাবে তা কেউ চাইলে করতে পারে। কথিত আছে যে, সর্বপ্রথম বিবি হাজার (হাজেরা) খতনা করেছিলেন।[2]
[2]. আল-বিদায়াহ অন-নিহায়াহ ১/১৫৪