শারহু মাসাইলিল জাহিলিয়্যাহ ২২. দীনকে খেল-তামাশা হিসাবে গ্রহণ করা শাইখ ড. ছলিহ ইবনে ফাওযান আল ফাওযান
দীনকে খেল-তামাশা হিসাবে গ্রহণ করা

দীনকে খেল-তামাশা হিসাবে গ্রহণ করেছে।

..............................................

ব্যাখ্যা: প্রমোদ (اللهو) হলো প্রত্যেক এমন বাতিল বিষয় যা হক্ব থেকে মানুষকে বিরত রাখে। আর তামাশা (اللعب) হলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের বিপরীত যাতে কোন উপকারীতা নেই। সুতরাং খেল-তামাশাকে দীন হিসাবে গ্রহণ করে তার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা জাহিলী দীন। সূফীদের মাঝেও এটা বিদ্যমান আছে। দ্বফ বা তবলা বাজানো ও গান করাকে সূফীরা আল্লাহর ইবাদত হিসাবে গ্রহণ করেছে। এসবের মাধ্যমে তারা আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে চায়। আর গান ও বাদ্যযন্ত্র খেল-তামাশা যা নির্দিষ্ট সীমা রেখা ছাড়া হারাম। তাহলে কিভাবে এটাকে আল্লাহর ইবাদত হিসাবে গ্রহণ করা হয়? বর্তমানে সূফীরা সঙ্গীতকে ইসলামী গানের সাথে তুলনা করে তা গ্রহণ করে। তারা এটাকে আল্লাহর দিকে দাওয়াতের মাধ্যম নির্ধারণ করেছে। যেমন তারা বলে, এভাবে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়া দীনের মধ্যে গণ্য। (তাদের ধারণা) এটা গান, গুঞ্জন ও শব্দের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে না যা দ্বারা আত্না মজা পায়।

মানুষ আল্লাহর স্মরণ ও কুরআন তেলাওয়াত ছেড়ে দিয়ে তাতে ব্যস্ত থাকে। এটা দলীয় পদ্ধতির নিদর্শন মাত্র যা দাওয়াতের মাধ্যম নয়। কেননা দা‘ওয়াত দেয়ার বিধান নির্ধারিত। আর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিতাব ও সুন্নাহর মাধ্যমে মানুষকে দা‘ওয়াত দিতেন, উপদেশ দিতেন ও সঠিক পথ দেখাতেন। তিনি উত্তম পন্থায় মানুষের সাথে তর্ক করতেন। কোন দলের সঙ্গীতকে তিনি দা‘ওয়াতের মাধ্যম হিসাবে গ্রহণ করেননি।

মুশরিকদের প্রতিহত করা ও ইসলামকে রক্ষা করার জন্য উত্তম কবিতা রচনা করা হতো, যা দোষনীয় নয়। যেমন হাসান ইবনে সাবিত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর রচিত কবিতা দোষমুক্ত ছিল অথবা ভাল আমলের প্রতি উৎসাহিত করা এবং সফরে বের হওয়ার জন্য কবিতা রচনা করা হত, যা বর্তমানে ব্যবহৃত দলীয় সঙ্গীতের মত ছিল না। তাই কবিতার সাথে সঙ্গীতকে তুলনা করা যাবে না। কেননা দু’টির মাঝে স্পষ্ট পার্থক্য বিদ্যমান।