শরহুল আকীদাহ আল-ওয়াসেতীয়া আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা সৃষ্টির উপরে এবং মাখলুকের সাথে থাকার ব্যাপারে যা বিশ্বাস করা আবশ্যক, তিনি আসমানের উপরে থাকার অর্থ ও উহার দলীলসমূহ ডঃ সালেহ ফাওযান [অনুবাদ: শাইখ আব্দুল্লাহ শাহেদ আল-মাদানী]
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা সৃষ্টির উপরে এবং মাখলুকের সাথে থাকার ব্যাপারে যা বিশ্বাস করা আবশ্যক, তিনি আসমানের উপরে থাকার অর্থ ও উহার দলীলসমূহ

مايجب اعتقاده في علوه ومعيته سبحانه وتعالى ومعنى كونه سبحانه وتعالى في السماء وأدلة ذلك

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা সৃষ্টির উপরে এবং মাখলুকের সাথে থাকার ব্যাপারে যা বিশ্বাস করা আবশ্যক, তিনি আসমানের উপরে থাকার অর্থ ও উহার দলীলসমূহ:

শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমীয়া (রঃ) বলেন,

وَكُلُّ هَذَا الْكَلَامِ الَّذِي ذَكَرَهُ اللَّهُ مِنْ أَنَّهُ فَوْقَ الْعَرْشِ وَأَنَّهُ مَعَنَا حَقٌّ عَلَى حَقِيقَتِهِ لَا يَحْتَاجُ إِلَى تَحْرِيفٍ وَلَكِنْ يُصَانُ عَنِ الظُّنُونِ الْكَاذِبَةِ مِثْلِ أَنْ يُظَنَّ أَنَّ ظَاهِرَ قَوْلِهِ : (فِي السَّمَاءِ) أَنَّ السَّمَاءَ تُظِلُّهُ أَوْ تُقِلُّهُ ، وَهَذَا بَاطِلٌ بِإِجْمَاعِ أَهْلِ الْعِلْمِ وَالْإِيمَانِ فَإِنَّ اللَّهَ قَدْ (وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ) وَهُوَ الذي (يُمْسِكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ أَنْ تَزُولَا (وَيُمْسِكُ السَّمَاءَ أَنْ تَقَعَ عَلَى الْأَرْضِ إِلَّا بِإِذْنِهِ) (وَمِنْ آيَاتِهِ أَنْ تَقُومَ السَّمَاءُ وَالْأَرْضُ بِأَمْرِهِ)

আল্লাহ তাআলা তাঁর কিতাবে উল্লেখ করেছেন, তিনি আরশের উপরে। আরো বলেছেন যে, তিনি আমাদের সাথে। প্রকৃতপক্ষেই তিনি আরশের উপরে এবং প্রকৃতপক্ষেই তিনি আমাদের সাথে। এইসব কথার তাহরীফ (পরিবর্তন ও বিকৃতি সাধন) করার প্রয়োজন নেই। তবে আল্লাহ তাআলার কালামকে বাতিল ধারণা থেকে সংরক্ষণ করতে হবে। যেমন في السماء অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা আসমানে, -এই কথা থেকে কেউ ধারণা করতে পারে যে, আসমান আল্লাহ তাআলাকে বহন করে আছে অথবা আসমান আল্লাহকে ঢেকে রেখেছে ও ছায়া দিচ্ছে। আলেম ও মুমিনদের সর্ব সম্মতিক্রমে এই কথা বাতিল। কেননা আল্লাহ তাআলার কুরসী সমস্ত আসমান ও যমীন পরিব্যাপ্ত হয়ে আছে। (সূরা বাকারাঃ ২৫৫) তিনি (আল্লাহ) সেই সত্তা, যিনি আকাশ ও পৃথিবীকে অনড় রেখেছেন, যাতে ওরা স্থানচ্যুত না হয়। (সূরা ফাতিরঃ ৪১) আর তিনিই আকাশকে এমনভাবে ধরে রেখেছেন, যার ফলে তাঁর হুকুম ছাড়া তা পৃথিবীর উপর পতিত হয়না’’। (সূরা হজ্জঃ ৬৫) ‘‘তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে যে, আকাশ ও পৃথিবী তাঁর হুকুমেই সুপ্রতিষ্ঠিত’’৷ (সূরা রূমঃ ২৫)


ব্যাখ্যা: আল্লাহ তাআলা তাঁর নিজের সম্পর্কে যেই সংবাদ দিয়েছেন যে, তিনি আরশের উপরে এবং তিনি আমাদের সাথেও, -এ বিষয়ে যা বিশ্বাস করা আবশ্যক, শাইখুল ইসলাম এখানে তা বর্ণনা করেছেন। সুতরাং আল্লাহ তাআলা যেমন সংবাদ দিয়েছেন যে, তিনি আরশের উপরে এবং তিনি আমাদের সাথেও, উহার উপর ঈমান আনয়ন করা ওয়াজিব। এই কথার তাবীল (ব্যাখ্যা) করা জায়েয নয় এবং উহার বাহ্যিক অর্থকে পরিবর্তন করাও বৈধ নয়। যেমন ব্যাখ্যা করে থাকে জাহমীয়াদের মুআত্তিলা সম্প্রদায় এবং মুতাযেলা ও তাদের অনুরূপ ফির্কার লোকেরা। তারা ধারণা করে যে, আল্লাহ তাআলা প্রকৃতপক্ষে আরশের উপরে সমুন্নত নন; বরং আরশের উপর সমুন্নত হওয়া মাজায তথা রূপকার্থবোধক। তাই তারা الاستواء على العرش আরশের উপর আল্লাহ তাআলার সমুন্নত হওয়ার ব্যাখ্যা এভাবে করে থাকে যে,الاستيلاء على الملك অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা তাঁর রাজত্ব দখল করেছেন।

আল্লাহ তাআলা সৃষ্টির উপরে রয়েছেন, এই কথার ব্যাখ্যায় তারা বলে যে, এর দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে علو القهر والقدرة অর্থাৎ আল্লাহর প্রতাপ, শক্তি ও তাঁর ক্ষমতা সকলের উপরে। তারা অনুরূপ আরো এমন বাতিল ব্যাখ্যা করে থাকে, যা আল্লাহ তাআলার কালামকে তার আসল অর্থ থেকে স্থানান্তরের শামিল।

বিদআতীদের কেউ কেউ বলে থাকে যে, আল্লাহ তাআলা আমাদের সাথে, -এই কথার অর্থ হচ্ছে তিনি সর্বত্র বিরাজমান, উপস্থিত এবং তিনি প্রত্যেক স্থানেই রয়েছেন। যেমন বলে থাকে জাহমীয়াদের সর্বেশ্বরবাদী সম্প্রদায় এবং অন্যরা। আল্লাহ তাআলা তাদের কথার অনেক উর্ধ্বে।

আল্লাহ তাআলার এ সম্পর্কিত কালামকে বাতিল ধারণা থেকে সংরক্ষণ করতে হবে। যেমন في السماء অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা আসমানে, -এই কথা থেকে কেউ ধারণা করতে পারে যে, আসমান আল্লাহ তাআলাকে বহন করে আছে অথবা আসমান আল্লাহকে ঢেকে রাখছে ও ছায়া দিচ্ছেঃ এখানে تقله অর্থ হচ্ছে تحمله ‘তাকে বহন করছে’। আর تظله মানে تستره ‘তাকে ঢেকে রেখেছে’। الظلة ‘ছায়া’ বলা হয় ঐ জিনিষকে, যা তোমাকে উপরের দিক থেকে ঢেকে রাখে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আসমানে থাকার অর্থ এই নয় যে, আসমান তাঁকে বহন করছে, (নাউযুবিল্লাহ) এবং আসমান তাঁকে ঢেকে রেখেছে ও ছায়া দিচ্ছে। যে ব্যক্তি এই ধারণা পোষণ করবে, সে দুই কারণে মারাত্মক ভুলের মধ্যে পতিত হবে।

প্রথম কারণঃ আসমান আল্লাহ তাআলাকে বহন করছে অথবা আল্লাহ তাআলাকে ঢেকে রেখেছে, -এই ধারণা আলেমদের ও ঈমানদারদের ইজমার পরিপন্থী।[1] আলেমদের সর্বসম্মতিক্রমে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আরশের উপরে এবং তাঁর সৃষ্টির বাইরে বা তাঁর সৃষ্টি থেকে আলাদা। তাঁর পবিত্র সত্তার মধ্যে মাখলুকের কোন স্বভাব নেই এবং সৃষ্টির মধ্যেও তাঁর যাতের কিছুই নেই। আল্লাহ তাআলার বাণীঃ

﴿أَأَمِنتُمْ مَنْ فِي السَّمَاءِ أَنْ يَخْسِفَ بِكُمْ الأَرْضَ﴾

‘‘তোমরা কি নিরাপত্তা পেয়েছ যে, আসমানে যিনি রয়েছেন তিনি তোমাদেরসহ ভূমিকে ধসিয়ে দিবেন না? (সূরা মুলকঃ ১৬-১৭)[2] এই আয়াতের ব্যাখ্যা পূর্বে অতিক্রান্ত হয়েছে যে, এখানে আসমান দ্বারা যদি আমাদের উপরে নির্মিত আসমান উদ্দেশ্য হয়, তাহলে এখানে في হরফে জারটি على অর্থে ব্যবহৃত হবে। অর্থাৎعلى السماء ‘আল্লাহ তাআলা আসমানের উপরে’। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেছেনঃ وَلَأُصَلِّبَنَّكُمْ فِي جُذُوعِ النَّخْلِ ‘‘এবং আমি তোমাদেরকে খেজুর গাছের কান্ডের মধ্যে শুলিবিদ্ধ করবো’’। এখানেও في হারফে জারটি على অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। অর্থাৎ আমি তোমাদেরকে খেজুর গাছের কান্ডের উপর শুলিবিদ্ধ করবো।

আর যদি السماء দ্বারা العلو (উপর) উদ্দেশ্য হয়, তাহলে في السماء অর্থ হবে في العلو অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা উপরে। (আল্লাহই সর্বাধিক জানেন)

দ্বিতীয় কারণঃ আসমান আল্লাহ তাআলাকে বহন করছে এবং আসমান তাঁকে ঢেকে রেখেছে, -এই ধারণা কুরআনের ঐসব সুস্পষ্ট দলীলের পরিপন্থী, যা আল্লাহ তাআলার বড়ত্ব ও সৃষ্টির প্রতি তাঁর অমূখাপেক্ষীতার প্রমাণ করে। বরং সকল সৃষ্টিই আল্লাহর প্রতি মুখাপেক্ষী। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেনঃ ﴿وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ ‘‘আল্লাহ তাআলার কুরসী সমস্ত আসমান ও যমীন পরিব্যাপ্ত হয়ে আছে’’। আরশের মধ্যে কুরসী একটি বিশাল সৃষ্টি। ইহা আসমান ও যমীনের চেয়ে বড়। আরশ কুরসীর চেয়েও অনেক বড়। আসমান ও যমীনসমূহ যদি কুরসীর চেয়ে ছোট হয়, কুরসী যদি আরশের চেয়ে ছোট হয় এবং আল্লাহ তাআলা যেহেতু সবকিছু থেকে বড়, তাহলে আসমান কিভাবে আল্লাহকে তার নিজের মধ্যে পুরে রাখবে বা তাঁকে বহন করবে অথবা ছায়া দিবে কিংবা ঢেকে রাখবে?

আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

﴿إِنَّ اللَّهَ يُمْسِكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ أَن تَزُولَا ۚ وَلَئِن زَالَتَا إِنْ أَمْسَكَهُمَا مِنْ أَحَدٍ مِّن بَعْدِهِ ۚ إِنَّهُ كَانَ حَلِيمًا غَفُورًا﴾

‘‘আসলে আল্লাহই আকাশ ও পৃথিবীকে অটল ও অনড় রেখেছেন। আসমান ও যমীন যদি স্বীয় স্থান থেকে সরে যায়, তাহলে আল্লাহর পরে আর কেউ তাদেরকে স্থির রাখার ক্ষমতা রাখেনা৷ নিঃসন্দেহে আল্লাহ বড়ই সহিষ্ণু ও ক্ষমাশীল’’। (সূরা ফাতিরঃ ৪১) আল্লাহ তাআলা আরো বলেনঃ

﴿وَمِنْ آيَاتِهِ أَن تَقُومَ السَّمَاءُ وَالْأَرْضُ بِأَمْرِهِ ۚ ثُمَّ إِذَا دَعَاكُمْ دَعْوَةً مِّنَ الْأَرْضِ إِذَا أَنتُمْ تَخْرُجُونَ﴾

‘‘আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে এও রয়েছে যে, আকাশ ও পৃথিবী তাঁর হুকুমেই সুপ্রতিষ্ঠিত৷ অতঃপর যখনই তিনি পৃথিবী থেকে তোমাদের আহবান জানাবেন তখন একটি মাত্র আহবানেই তোমরা বের হয়ে আসবে’’। (সূরা ফাতিরঃ ২৫) আল্লাহ তাআলা আরো বলেনঃ

﴿أَلَمْ تَرَ أَنَّ اللَّهَ سَخَّرَ لَكُم مَّا فِي الْأَرْضِ وَالْفُلْكَ تَجْرِي فِي الْبَحْرِ بِأَمْرِهِ وَيُمْسِكُ السَّمَاءَ أَن تَقَعَ عَلَى الْأَرْضِ إِلَّا بِإِذْنِهِ إِنَّ اللَّهَ بِالنَّاسِ لَرَءُوفٌ رَّحِيمٌ﴾

‘‘তুমি কি দেখোনা, তিনি পৃথিবীর সবকিছুকে তোমাদের জন্য অনুগত করে রেখেছেন এবং নৌযান সমুদ্রে তাঁর হুকুমেই চলাচল করে। আর তিনিই আকাশকে এমনভাবে ধরে রেখেছেন, যার ফলে তাঁর হুকুম ছাড়া তা পৃথিবীর উপর পড়ে যায়না। আসলে আল্লাহ লোকদের জন্য বড়ই স্নেহশীল ও মেহেরবান’’। (সূরা হজ্জঃ ৬৫)উপরোক্ত আয়াতগুলো প্রমাণ করে যে, আসমান ও যমীন আল্লাহর প্রতি মুহতাজ। আল্লাহই আসমানকে ধরে রেখেছেন, যাতে উহা স্বীয় স্থান থেকে সরে না যেতে পারে এবং তিনি আসমানকে আটকিয়ে রেখেছেন, যাতে উহা যমীনের উপর পড়ে না যায়। একমাত্র আল্লাহর আদেশেই আসমান দাঁড়িয়ে আছে। সুতরাং ইহা জানার পর এই কথা বোধগম্য নয় যে, আল্লাহ তাআলা আসমানের প্রতি মুখাপেক্ষী এবং আসমান তাঁকে বহন করছে কিংবা ছায়া দিচ্ছে। আল্লাহ তাআলা এই বাতিল ধারণার অনেক উর্ধ্বে।[3]

[1] - কেননা মাখলুকের মধ্যে এই স্বভাব দিয়েই সৃষ্টি করা হয়েছে যে, সে অনুভব করে, তার স্রষ্টা তার ভিতরে নয় এবং তার সাথে মিশ্রিত ও মিলিতও নয়; বরং তার বক্তিসত্তা থেকে আলাদা ও ভিন্ন। সে যখন আল্লাহকে ইয়া আল্লাহ! বলে ডাক দেয়, তখন বিশ্বাস করে যে আল্লাহ তাআলা তার সত্তা থেকে আলাদা। সে কখনই ধারণা করেনা যে, আল্লাহ তার ভিতরেই রয়েছেন। সুতরাং আল্লাহ মাখলুকের মধ্যে আছেন, মিশে আছেন, এই ধারণা সম্পূর্ণ বাতিল। এই ধারণা শরীয়তের দলীল, মানুষের বোধশক্তি এবং স্বভাব-প্রকৃতির দাবীর পরিপন্থী।

[2] - আল্লাহ্ তাআলা যে সমস্ত মাখলুকের উপরে, -এ মর্মে আরো অনেক দলীল রয়েছে। আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ يَخَافُونَ رَبَّهُمْ مِنْ فَوْقِهِمْ ‘‘তারা তাদের প্রতিপালককে ভয় করে, যিনি তাদের উপরে আছেন’’। (সূরা নাহ্লঃ ৫০) আল্লাহ্ তাআলা আরো বলেনঃ تَعْرُجُ الْمَلاَئِكَةُ وَالرُّوحُ إِلَيْهِ ‘‘ফেরেশতা এবং রূহ (জিবরীল) তাঁর দিকে উর্ধ্বগামী হয়’’। (সূরা মাআরেজঃ ৪) আল্লাহ তাআলা আরো বলেনঃ يُدَبِّرُ الأَمْرَ مِنَ السَّمَاءِ إِلَى الأَرْضِ ‘‘আল্লাহ্ তাআলা আকাশ থেকে পৃথিবী পর্যন্ত সকল বিষয় পরিচালনা করেন’’। (সূরা সাজদাহঃ ৫) কুরআন ও সুন্নাহয় এ রকম আরো অনেক দলীল রয়েছে। কোনো কোনো আলেম এ বিষয়ে একহাজার দলীল উল্লেখ করেছেন। সৃষ্টির উপরে হওয়া আল্লাহর সত্তাগত সিফাত। কোন অবস্থায়ই তা আল্লাহ থেকে আলাদা হয়না।

[3] - সুতরাং এই ধারণা বাতিল যে, আরশের প্রতি আল্লাহর প্রয়োজন রয়েছে বলেই তিনি আরশের উপর সমুন্নত হয়েছেন এবং আসমানের প্রতি তিনি মুখাপেক্ষী বলেই আসমান তাকে বহন করে রেখেছে। এই রকম ধারণা যারা করে, তারা আল্লাহর যথাযথ ক্ষমতাকে উপলব্ধি করতে পারেনি। কোন মাখলুকের প্রতি আল্লাহর প্রয়োজন পড়বে তো দূরের কথা; বরং আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহেই সব মাখলুক টিকে আছে। আরশ, আসমান-যমীনসহ সকল মাখলুকই তার প্রতি মুখাপেক্ষী। তিনিই এগুলোর মালিক ও প্রভু।