ইসলামী জীবন-ধারা মেহমান নেওয়াযীর আদব আবদুল হামীদ ফাইযী
মেযবানের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ

পানাহারের পর মেহমানের উচিত, মেযবানের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা এবং তার জন্য দু‘আ করা। যেমনঃ

ক)

اَللّهُمَّ بَارِكْ لَهُمْ فِيْمَا رَزَقْتَهُمْ وَاغْفِرْ لَهُمْ وَارْحَمْهُمْ

উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা বা-রিক লাহুম ফীমা রাযাক্বতাহুম অগফির লাহুম অরহামহুম।

অর্থঃ হে আল্লাহ! ওদের তুমি যা দান করেছ তাতে ওদের জন্য বরকত দান কর। ওদেরকে ক্ষমা করে দাও এবং ওদের প্রতি রহম কর।[1]

খ)

أَكَلَ طَعَامَكُمْ الأَبْرَارُ وَصَلَّتْ عَلَيْكُمُ الْمَلاَئِكَةُ وَأَفْطَرَ عِنْدَكُمُ الصَّائِمُوْنَ

উচ্চারণ- আকালা ত্বাআ-মাকুমুল আবরা-র, অস্বাল্লাত আলাইকুমুল মালা-ইকাহ, অ আফত্বারা ইনদাকুমুস্ব স্বা-য়িমূন।

অর্থঃ সজ্জনরা আপনাদের খাবার খাক, ফিরিশ্তাবর্গ আপনাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন এবং আপনাদের নিকট রোযাদাররা ইফতার করুক।[2] অপরের নিকট পান করার পর দু‘আ ঃ

اَللّهُمَّ أَطْعِمْ مَنْ أَطْعَمَنِيْ وَاسْقِ مَنْ سَقَانِيْ

উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা আত্বইম মান আত্বআমানী অসক্বি মান সাক্বা-নী।

অর্থঃ হে আল্লাহ! তাকে তুমি খাওয়াও যে আমাকে খাওয়াল এবং তাকে পান করাও যে আমাকে পান করাল।[3]

কুটুম বা মেযবানের নিকট রোযা ইফতার করলে বলতে হয়ঃ

أَفْطَرَ عِنْدَكُمُ الصَّائِمُوْنَ، وَأَكَلَ طَعَامَكُمُ الأَبْرَارُ وَصَلَّتْ عَلَيْكُمُ الْمَلاَئِكَةُ

উচ্চারণ- আফত্বারা ইনদাকুমুস্ব স্বা-য়িমূন, অ আকালা ত্বাআ-মাকুমুল আবরা-র, অস্বাল্লাত আলাইকুমুল মালা-ইকাহ।

অর্থঃ আপনাদের নিকট রোযাদাররা ইফতার করুক, সজ্জনরা আপনাদের খাবার খাক এবং ফিরিশ্তাবর্গ আপনাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন।[4]

[1]. আহমাদ ১৭২২০, মুসলিম আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা হা/২০৪২, আবূ দাঊদ ৩৭২৯, তিরমিযী হা/৩৫৭৬, দারেমী ২০২২

[2]. মুঃ আহমাদ ৩/১৩৮, বাইহাক্বী ৭/২৮৭

[3]. মুসনাদে আহমাদ আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা. হা/ ২৩৩০০, মুসলিম আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা হা/২০৫৫, তিরমিযী হা/২৭১৯

[4]. মুসনাদে আহমাদ আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা. হা/ ১১৭৬৭, আবু দাঊদ ৩৮৫৪, দারেমী আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা. হা/ ১৭৭২