ইসলামী জীবন-ধারা কুরআনের প্রতি আদব আবদুল হামীদ ফাইযী
সিজদার আয়াত পাঠ করলে সিজদা করা সুন্নাত

ভক্তির এই সিজদায় সুন্নাতী দু‘আ পড়ুনঃ (ক)

سَجَدَ وَجْهِىَ لِلَّذِيْ خَلَقَهُ وَشَقَّ سَمْعَهُ وَبَصَرَهُ بِحَوْلِهِ وَقُوَّتِهِ

উচ্চারণ- সাজাদা অজহিয়া লিল্লাযী খালাক্বাহু অশাক্ব্ক্বা সামআহু অবাস্বারাহু বিহাউলিহী অক্বুউওয়াতিহ।

অর্থঃ আমার মুখম-ল তাঁর জন্য সিজদাবনত হল যিনি ওকে সৃষ্টি করেছেন এবং স্বীয় শক্তি ও ক্ষমতায় ওর চক্ষু ও কর্ণকে উদ্গত করেছেন।[1]

(খ)

اَللّهُمَّ اكْتُبْ لِيْ بِهَا عِنْدَكَ أَجْراً، وَّضَعْ عَنِّيْ بِهَا وِزْراً وَّاجْعَلْهَا لِيْ عِنْدَكَ ذُخْراً، وَّتَقَبَّلْهَا مِنِّيْ كَمَا تَقَبَّلْتَهَا مِنْ عَبْدِكَ دَاوُوْدَ

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মাকতুব লী বিহা ইন্দাকা আজরা, অয্বা’ আন্নী বিহা বিযরা, অজ্আলহা লী ইন্দাকা যুখরা, অতাক্বাববালহা মিন্নী কামা তাক্বাববালতাহা মিন আবদিকা দাঊদ।

অর্থঃ হে আল্লাহ! এর (সিজদার) বিনিময়ে তোমার নিকট আমার জন্য পুণ্য লিপিবদ্ধ কর, পাপ মোচন কর, তোমার নিকট এ আমার জন্য জমা রাখ এবং এ আমার নিকট হতে গ্রহণ কর যেমন তুমি তোমার বান্দা দাঊদ (আঃ) থেকে গ্রহণ করেছ।[2] তিলাওয়াতের সিজদায় গিয়ে প্রথমে সিজদার দু‘আ পাঠ করে অতঃপর তিলাওয়াতের সিজদার দু‘আ পাঠ করুন।[3]

মনোযোগ সহকারে ধ্যান দিয়ে যে ক্বারীর কুরআন শোনে তার জন্যও তিলাওয়াতের সিজদা সুন্নাত। অবশ্য ক্বিরাআত চলা অবস্থায় ব্যস্ত থাকলে অথবা সেদিকে পার হতে গিয়ে ক্বিরাআতের শব্দে তিলাওয়াতের আয়াত কানে পড়লে সিজদা করতে হবে না।[4]

তিলাওয়াতের সিজদার জন্য ওযূ শর্ত নয়। লজ্জাস্থান ঢাকা থাকলে কেবলামুখে এই সিজদাহ করা যায়। যেহেতু ওযূ শর্ত হওয়ার ব্যাপারে কোন সহীহ বর্ণনা পাওয়া যায় না।[5] নামাযের ভিতর ঐ সিজদার আদব জানতে ‘স্বালাতে মুবাশশির’ দেখুন।

[1]. সহীহ তিরমিযী হা/৪৭৪, আহমদ ৬/৩০

[2]. সহীহ তিরমিযী হা/৮৭, হাকেম১/২১৯, ইবনে মাজাহ আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা. হা/১০৫৩

[3]. তাসহীহুদ দুআ, বাকর আবূ যায়দ ২৯৩পৃঃ

[4]. মুমতে’ ৪/১৩৩

[5]. নাইলুল আউত্বার, মুমতে’ ৪/১২৬, ফিকহুস সুন্নাহ আরবী ১/১৯৬