লা-তাহযান [হতাশ হবেন না] লা-তাহযান - অনুচ্ছেদ সূচি ড. আয়িদ আল করনী
৩৪১. অন্যদের থেকে আপনি যেরূপ আচরণ কামনা করেন অন্যদের সাথে আপনি সেরূপ আচরণই করুন

একজন জ্ঞানী ব্যক্তি বলেছেন যে, যে লোক অন্যের দোষ খুঁজে বের করে সে মাছির মতো- যা নাকি পচা-দুর্গন্ধ জিনিসের উপর বসে। কিছু লোক ‘কিন্তু’ শব্দ দ্বারা আক্রান্ত। যখনই আপনি তাদের নিকট কারো কথা বলবেন তখন তারা “তার মধ্যে কিছু ভালো গুণ আছে, কিন্তু ....” এ বাক্যের সাথে তার সম্বন্ধে কিছু বলবে। এই কিন্তু এরপর যা বলবে তা সর্বদাই সমালোচনা, দোষারোপ ও তিরষ্কার।

وَيْلٌ لِّكُلِّ هُمَزَةٍ لُّمَزَةٍ

“সামনে ও পিছনে নিন্দাকারী প্রত্যেক লোকের জন্য রয়েছে দুর্ভোগ, ধ্বংস ও জাহান্নামের শাস্তি।” (১০৪-সূরা আল হুমাযাহঃ আয়াত-১)

“সে তো গীবতকারী ও ঘুরে ঘুরে চোগলখোরী করে।” (৬৮-সূরা আল কালামঃ আয়াত-১১)

“তোমাদের একে যেন অপরের গীবত না করে।” (৪৯-সূরা আল হুজরাতঃ আয়াত-১২)

অন্যের প্রতি আমরা যতটা মধ্যমপন্থী হবো আমাদের প্রতি তাদের ভক্তি ততো বেশি হবে, বিপরীতটাও সত্য (অর্থাৎ অন্যের প্রতি আমরা যত অন্যায় করব অন্যেরা আমাদেরকে তত অভক্তি করবে)। কোন বুদ্ধিমান লোক

একথা ভাবতে পারে না যে, সে মানুষকে খর্ব করে, হেয় করে বা অবজ্ঞা করে তাদের শ্রদ্ধা ও প্রশংসা অর্জন করতে পারবে।

“মুতাফ্‌ফিফ্‌দের জন্য ধ্বংস, দুর্ভোগ ও জাহান্নামের শাস্তি রয়েছে।” (৮৩-সূরা মুতাফফিফীনঃ আয়াত-১) (মুতাফফিফ হলো সে, যে নাকি পরিমাপে কম দেয়, ওজনে কম দেয় তথা অন্যের অধিকার খর্ব করে।)