আর-রাহীকুল মাখতূম বনু মুসত্বালাক্ব যুদ্ধ বা গাযওয়ায়ে মুরাইসী’ (৫ম অথবা ৬ষ্ঠ হিজরী) (غَزْوَةُ بَنِيْ الْمُصْطَلِقِ أَوْ غَزْوَةُ الْمُرَيْسِيْعِ (في شعبان سنة ٥ أو ٦ هـ)) আল্লামা সফিউর রহমান মোবারকপুরী (রহঃ)
১. মদীনা হতে নিকৃষ্ট ব্যক্তিদের বহিস্কার প্রসঙ্গ

বনু মুসত্বালাক্ব গাযওয়ার পর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখনো মুরাইসী’ ঝর্ণার নিকট অবস্থান করছিলেন, এমন সময় কতগুলো লোক পানি সংগ্রহের উদ্দেশ্যে সেখানে আগমণ করে। আগমণকারীদের মধ্যে উমার (রাঃ)-এর একজন শ্রমিকও ছিল। তাঁর নাম ছিল জাহজাহ গিফারী। ঝর্ণার নিকট আরও একজন ছিল যার নাম ছিল সিনান বিন অবর জুহানী। কোন কারণে এ দুজনের মধ্যে বাক বিতন্ডা হতে হতে শেষ পর্যায়ে ধস্তাধস্তি ও মল্লযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। এক পর্যায়ে জুহানী চিৎকার শুরু করে দেয়, ‘হে আনসারদের দল! (আনসারী লোকজন) সাহায্যের জন্য দ্রুত এগিয়ে এস। অপরপক্ষে জাহজাহ আহবান করতে থাকে, ‘ওগো মুহাজিরিনের দল! (মুহাজিরগণ) আমাকে সাহায্য করার জন্য তোমরা শীঘ্র এগিয়ে এস।’

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এ সংবাদ পেয়ে তৎক্ষণাৎ তথায় গমন করলেন এবং বললেন,

(‏أَبِدَعْوَي الْجَاهِلِيَّةِ وَأَنَا بَيْنَ أَظْهُرِكُمْ‏؟‏ دَعَوْهَا فَإِنَّهَا مُنْتِنَةٌ‏)

‘আমি তোমাদের মধ্যে বর্তমান আছি অথচ তোমরা জাহেলী যুগের মত আচরণ করছ। তোমরা এ সব পরিহার করে চল, এ সব হচ্ছে দুর্গন্ধযুক্ত।’

আব্দুল্লাহ বিন উবাই এ ঘটনা অবগত হয়ে ক্রোধে একদম ফেটে পড়ল এবং বলল, ‘এর মধ্যেই এরা এ রকম কার্যকলাপ শুরু করেছে? আমাদের অঞ্চলে আশ্রয় গ্রহণ করে তারা আমাদের সঙ্গেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু করেছে এবং আমাদের সমকক্ষ হতে চাচ্ছে? আল্লাহর কসম! আমাদের এবং তাদের উপর সে উদাহরণ প্রযোজ্য হতে যাচ্ছে যেমনটি পূর্ব যুগের লোকেরা বলেছেন যে, ‘নিজের কুকুরকে লালন-পালন করিয়া হৃষ্টপুষ্ট কর যেন সে তোমাকে ফাড়িয়ে খাইতে পারে।’ শোন, আল্লাহর কসম! যদি আমি ফিরে যেতে পারি তাহলে দেখবে যে আমাদের সম্মানিত ব্যক্তিগণই নিকৃষ্ট ব্যক্তিদের মদীনা থেকে বহিস্কার করেছে।’

অতঃপর উপস্থিত লোকজনদের লক্ষ্য সে বলল, ‘এ বিপদ তোমরা নিজেরাই ক্রয় করেছ। তোমরা তাকে নিজ শহরে অবতরণ করেছ এবং আপন সম্পদ বন্টন করে দিয়েছ। দেখ! তোমাদের হাতে যা কিছু আছে তা দেয়া যদ্ধি বন্ধ করে দাও তবে সে তোমাদের শহর ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যাবে।’

ঐ সময় এ বৈঠকে যায়দ বিন আরক্বাম নামক এক যুবক সাহাবী উপস্থিত ছিলেন। তিনি ফিরে এসে তাঁর চাচাকে ঐ সমস্ত কথা বলে দেন। তাঁর চাচা তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে সব কিছু অবহিত করেন। ঐ সময় সেখানে উমার (রাঃ) উপস্থিত ছিলেন। তিনি বললেন, ‘হুজুর (ﷺ) আববাদ বিন বিশরকে নির্দেশ দিন, সে ওকে হত্যা করুক।’

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন,

‏(‏فَكَيْفَ يَا عُمَرُ إِذَا تَحَدَّثَ النَّاسُ أَنَّ مُحَمَّداً يَقْتُلُ أَصْحَابَهُ‏؟‏ لَا وَلٰكِنْ أَذِّنْ بِالرَّحِيْلِ‏)

‘উমার! এটা কী করে সম্ভব? লোকে বলবে যে, মুহাম্মাদ (ﷺ) নিজের সঙ্গী সাথীদের হত্যা করছে। না, তা হতে পারে না তবে তোমরা যাত্রার কথা ঘোষণা করে দাও।’

সময় ও অবস্থাটা তখন এমন ছিল, যে সময়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কোন কথা বলতেন না। লোকজনেরা যাত্রা শুরু করেছে। এমনি সময়ে ওসাইদ বিন হোযাইর (রাঃ) নাবী কারীম (ﷺ)-এর খিদমতে উপস্থিত হলেন। তিনি তাঁকে সালাম জানানোর পর আরজ করলেন, ‘অদ্য এমন অসময়ে যাত্রা আরম্ভ করা হল।’ নাবী (ﷺ) বললেন,(‏أَوْ مَا بَلَغَكَ مَا قَالَ صَاحِبُكُمْ‏؟‏‏)‏ ‘তোমাদের সাথী (অর্থাৎ ইবনু উবাই) যা বলেছে, তার সংবাদ কি তুমি পাওনি? জিজ্ঞেস করলেন, ‘সে কী বলেছে?’ নাবী (ﷺ) বললেন, ‏(‏زَعَمَ أَنَّهُ إِنْ رَّجَعَ إِلٰى الْمَدِيْنَةِ لَيُخْرِجَنَّ الْأَعَزُّ مِنْهَا الْأَذَلَّ‏) ‘তার ধারণা হচ্ছে, সে যদি মদীনায় ফিরে আসে তাহলে সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ নিকৃষ্ট ব্যক্তিবর্গকে মদীনা থেকে বহিস্কার করে দেবে।’

তিনি বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ) আপনি যদি চান তাহলে তাকে মদীনা থেকেম বের করে দেয়া হবে। আল্লাহর শপথ! সে নিকৃষ্ট এবং আপনি পরম সম্মানিত।

অতঃপর সে বলল, ‘হে আল্লাহর রাসূল! তার সঙ্গে সহনশীলতা প্রদর্শন করুন। কারণ আল্লাহই ভাল জানেন। তিনি আপনাকে আমাদের মাঝে এমন এক সময় নিয়ে আসেন, যখন তার গোত্রীয় লোকেরা তাকে মুকুট পরানোর জন্য মণিমুক্তা সমূহের মুকুট তৈরি করছিল। এ কারণে এখন সে মনে করছে যে আপনি তার নিকট থেকে তার রাজত্ব কেড়ে নিয়েছেন।

অতঃপর তিনি সন্ধ্যা পর্যন্ত পূর্ণ দিবস এবং সকাল পর্যন্ত পূর্ণ রাত্রি পথ চলতে থাকেন এবং এমন কি পরবর্তী দিবস পূর্বাহ্নে ঐ সময় পর্যন্ত ভ্রমণ অব্যাহত রাখেন যখন রৌদ্রের প্রখরতা বেশ কষ্টদায়ক অনুভূত হচ্ছিল। এর পর অবতরণ করে শিবির স্থাপন করা হয়। রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সফরসঙ্গীগণ এত ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন যে, ভূমিতে দেহ রাখতে না রাখতেই সকলে ঘুমে অচেতন হয়ে পড়লেন। এ একটানা দীর্ঘ ভ্রমণের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর উদ্দেশ্য ছিল, লোকজনেরা যেন আরামে বসে গল্প গুজব করার সুযোগ না পায়।

এদিকে আব্দুল্লাহ বিন উবাই যখন জানতে পারল যে যায়দ বিন আরক্বাম তার সমস্ত কথাবার্তা প্রকাশ করে দিয়েছে তখন সে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর খিদমতে উপস্থিত হল এবং বলল যে, আল্লাহর শপথ! যায়দ আপনাকে যে সকল কথা বলেছে আমি তা কখনই বলি নি এবং এমন কি মুখেও আনি নি।

ঐ সময় আনসার গোত্রের যারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন তারাও বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! এখন ও নাবালক ছেলেই আছে এবং হয়তো তারই ভুল হয়েছে। সে ব্যক্তি যা বলেছিল হয়তো সে ঠিক ঠিক ভাবে তা স্মরণ রাখতে পারে নি।

এ কারণে নাবী (ﷺ) ইবনু উবাইয়ের কথা সত্য বলে মেনে নিলেন। অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে যায়দ (রাঃ) বলেছেন, ‘এর পর এ ব্যাপারে আমি এতই দুঃখিত হয়ে পড়েছিলাম যে ইতোপূর্বে আর কখনই কোন ব্যাপারে আমি এতটা দুঃখিত হই নি। সে চিন্তাজনিত দুঃখে আমি বাড়িতেই বসে রইলাম।

শেষ পর্যন্ত আল্লাহ তা‘আলা সূরাহ মুনাফিক্ব নামে একটি সূরাহ অবতীর্ণ করলেন যার মধ্যে উভয় প্রসঙ্গেরই উল্লেখ রয়েছে:

(إِذَا جَاءَكَ الْمُنَافِقُوْنَ قَالُوْا نَشْهَدُ إِنَّكَ لَرَسُوْلُ اللهِ وَاللهُ يَعْلَمُ إِنَّكَ لَرَسُوْلُهُ وَاللهُ يَشْهَدُ إِنَّ الْمُنَافِقِيْنَ لَكَاذِبُوْنَ - اتَّخَذُوْا أَيْمَانَهُمْ جُنَّةً فَصَدُّوْا عَنْ سَبِيْلِ اللهِ إِنَّهُمْ سَاءَ مَا كَانُوْا يَعْمَلُوْنَ - ذٰلِكَ بِأَنَّهُمْ آمَنُوْا ثُمَّ كَفَرُوْا فَطُبِعَ عَلٰى قُلُوْبِهِمْ فَهُمْ لَا يَفْقَهُوْنَ - وَإِذَا رَأَيْتَهُمْ تُعْجِبُكَ أَجْسَامُهُمْ وَإِنْ يَقُوْلُوا تَسْمَعْ لِقَوْلِهِمْ كَأَنَّهُمْ خُشُبٌ مُسَنَّدَةٌ يَحْسَبُوْنَ كُلَّ صَيْحَةٍ عَلَيْهِمْ هُمُ الْعَدُوُّ فَاحْذَرْهُمْ قَاتَلَهُمُ اللهُ أَنَّى يُؤْفَكُوْنَ - وَإِذَا قِيْلَ لَهُمْ تَعَالَوْا يَسْتَغْفِرْ لَكُمْ رَسُوْلُ اللهِ لَوَّوْا رُؤُوْسَهُمْ وَرَأَيْتَهُمْ يَصُدُّوْنَ وَهُمْ مُسْتَكْبِرُوْنَ - سَوَاءٌ عَلَيْهِمْ أَسْتَغْفَرْتَ لَهُمْ أَمْ لَمْ تَسْتَغْفِرْ لَهُمْ لَنْ يَغْفِرَ اللهُ لَهُمْ إِنَّ اللهَ لَا يَهْدِيْ الْقَوْمَ الْفَاسِقِيْنَ - هُمُ الَّذِيْنَ يَقُوْلُوْنَ لَا تُنْفِقُوْا عَلٰى مَنْ عِنْدَ رَسُوْلِ اللهِ حَتّٰى يَنْفَضُّوْا وَلِلهِ خَزَائِنُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَلَكِنَّ الْمُنَافِقِيْنَ لَا يَفْقَهُوْنَ - يَقُوْلُوْنَ لَئِنْ رَجَعْنَا إِلَى الْمَدِيْنَةِ لَيُخْرِجَنَّ الْأَعَزُّ مِنْهَا الْأَذَلَّ وَلِلهِ الْعِزَّةُ وَلِرَسُوْلِهِ وَلِلْمُؤْمِنِيْنَ وَلَكِنَّ الْمُنَافِقِيْنَ لَا يَعْلَمُوْنَ)

‘১. মুনাফিক্বরা যখন তোমার কাছে আসে তখন তারা বলে- ‘আমরা সাক্ষ্য দিচিছ যে, আপনি অবশ্যই আল্লাহর রসূল।’ আল্লাহ জানেন, অবশ্যই তুমি তাঁর রসূল আর আল্লাহ সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, মুনাফিক্বরা অবশ্যই মিথ্যেবাদী। ২. তারা তাদের শপথগুলোকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে আর এ উপায়ে তারা মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে নিবৃত্ত করে। তারা যা করে তা কতই না মন্দ! ৩. তার কারণ এই যে, তারা ঈমান আনে, অতঃপর কুফুরী করে। এজন্য তাদের অন্তরে মোহর লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। যার ফলে তারা কিছুই বুঝে না ৪. তুমি যখন তাদের দিকে তাকাও তখন তাদের শারীরিক গঠন তোমাকে চমৎকৃত করে। আর যখন তারা কথা বলে তখন তুমি তাদের কথা আগ্রহ ভরে শুন, অথচ তারা দেয়ালে ঠেস দেয়া কাঠের মত (দেখন- সুরত, কিন্তু কার্যক্ষেত্রে কিছুই না)। কোন শোরগোল হলেই তারা সেটাকে নিজেদের বিরুদ্ধে মনে করে (কারণ তাদের অপরাধী মন সব সময়ে শঙ্কিত থাকে- এই বুঝি তাদের কুকীর্তি ফাঁস হয়ে গেল)। এরাই শত্রু, কাজেই তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাক। এদের উপর আছে আল্লাহর গযব, তাদেরকে কিভাবে (সত্য পথ থেকে) ফিরিয়ে নেয়া হচ্ছে! ৫. তাদেরকে যখন বলা হয়, ‘এসো, আল্লাহর রসূল তোমাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবেন, তখন তারা মাথা নেড়ে অস্বীকৃতি জানায়, তখন তুমি দেখতে পাও তারা সদম্ভে তাদের মুখ ফিরিয়ে নেয়। ৬. তুমি তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর আর না কর, উভয়ই তাদের জন্য সমান। আল্লাহ তাদেরকে কক্ষনো ক্ষমা করবেন না। আল্লাহ পাপাচারী জাতিকে কক্ষনো সঠিক পথে পরিচালিত করেন না। ৭. তারা বলে- ‘রসূলের সঙ্গী সাথীদের জন্য অর্থ ব্যয় করো না, শেষে তারা এমনিতেই সরে পড়বে।’ আসমান ও যমীনের ধন ভান্ডার তো আল্লাহরই, কিন্তু মুনাফিক্বরা তা বুঝে না। ৮. তারা বলে- ‘আমরা যদি মাদীনায় প্রত্যাবর্তন করি, তাহলে সম্মানীরা অবশ্য অবশ্যই হীনদেরকে সেখানে থেকে বহিষ্কার করবে।’ কিন্তু সমস্ত মান মর্যাদা তো আল্লাহর, তাঁর রসূলের এবং মু’মিনদের; কিন্তু মুনাফিক্বরা তা জানে না।’ [আল-মুনাফিকূন (৬৩) : ১-৮]

যায়দ বলেছেন, ‘এর পর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে ডেকে পাঠালেন এবং এ আয়াতগুলো পাঠ করে শোনালেন। অতঃপর বললেন,‏(‏إِنَّ اللهَ قَدْ صَدَقَكَ) ‘আল্লাহ তা‘আলা তোমার কথার সত্যতা প্রমাণিত করেছেন।’[1]

উল্লেখিত মুনাফিক্বের সন্তানের নামও ছিল আবদুল্লাহ। সন্তান ছিলেন পিতার সম্পূর্ণ বিপরীত, অত্যন্ত সৎ স্বভাবের মানুষ এবং উত্তম সাহাবাদের অন্তর্ভুক্ত। তিনি পিতার নিকট থেকে পৃথক হয়ে গিয়ে উন্মুক্ত তরবারী হস্তে দন্ডায়মান হলেন মদীনার দরজায়। যখন তার পিতা সেখানে গিয়ে পৌঁছেন তখন তিনি বললেন, ‘আল্লাহর শপথ! আপনি এখান থেকে আর অগ্রসর হতে পারবেন না যতক্ষণ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অনুমতি না দিবেন। কারণ নাবী (ﷺ) প্রিয়, পবিত্র ও সম্মানিত এবং আপনি নিকৃষ্ট।’ এরপর নাবী কারীম (ﷺ) যখন সেখানে উপস্থিত হয়ে তাকে মদীনায় প্রবেশের অনুমতি প্রদান করলেন তখন পুত্র পিতার পথ ছেড়ে দিলেন। আব্দুল্লাহ বিন উবাইয়ের ঐ ছেলেই রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট এ বলে আরজ করলেন, ‘আপনি তাকে হত্যা করার ইচ্ছা পোষণ করলে আমাকে নির্দেশ প্রদান করুন। আল্লাহর কসম! আমি তার মস্তক দ্বিখন্ডিত করে আপনার খিদমতে এনে হাজির করব।’[2]

[1] সহীহুল বুখারী ১ম খন্ড, ৪৯৯ পৃঃ, ২য় খন্ড ২২৭-২২৯ পৃঃ, ইকনু হিশমা ২য় খন্ড ২৯০-২৯২ পৃঃ।

[2] ইবনু হিশাম ২য় খন্ড ২৯০-২৯২ পৃঃ, শাইখ আব্দুল্লাহ রচিত মুখতাসারুস সীরাহ ২৭৭ পৃঃ।