লগইন করুন
ইমাম মালেক (র.) বলেছেন, একশ বছরেরও বেশি সময় ধরে লোকেরা ৩৬ রাকআত তারাবীহ পড়েছে। শাফেঈ মাযহাবের ইমাম শাফেঈ (রহ.) বলেছেন যে, তিনি তারাবীহ মদীনায় ৩৬ এবং মক্কায় ২০ রাকআত পড়তে দেখেছেন। শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়্যা (র.) বলেছেন, অধিক সংখ্যক রাকআত পড়াই উত্তম। আর যদি কেউ কম সংখ্যক রাকআত পড়তে চায় তাহলে তার উচিত হবে তিলাওয়াত, কিয়াম, রুকু ও সিজদা দীর্ঘ করা।
তিনি আরো বলেছেন যে, তারাবীহকে রাকআত সংখ্যার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বরং সময় ব্যয়ের পরিমাণ দিয়ে মূল্যায়ন করা উচিত। কারণ রাসূল (সা.) শুধু ১১ রাকাআতের মধ্যে ৫ ঘণ্টা সময় অতিবাহিত করেছেন। সালাতের কিয়ামে এত দীর্ঘ সময় কেটে যেত যার কারণে সাহাবীগণ লাঠির উপর ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেন। সৌদি আরবের সর্বজন শ্রদ্ধেয় মুজতাহিদ মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল উসাইমীন (র.) এ বিষয়ের সকল হাদীস যাচাই-বাছাই করে ১০ ও ৮ রাকআত তারাবীহ পড়ার মাসআলাকে অধিকতর বিশুদ্ধ বলে ফাতাওয়া প্রদান করেছেন। তবে অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এই যে, আমাদের দেশে তারাবীহ যেভাবে তাড়াহুড়া করে পড়া হয় তা পরিহার করে বিশুদ্ধ ও ধীরস্থির তিলাওয়াত, রুকূ' থেকে উঠার পর এবং দুই সিজদার মাঝে আরো একটু সময়ক্ষেপণ করা, সুন্নাত মোতাবেক ও ধীরস্থিরভাবে রুকু-সিজদাহ ইত্যাদি সুন্দর করে তারাবীহ আদায় করা অত্যাবশ্যক। যে পদ্ধতিতে রাসূলুল্লাহ (সা.) রাতের সালাত আদায় করতেন আমাদেরও উচিত সে তরীকামতো আদায় করা।