ইমেইলে পাঠাতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন
security code
ইসলামী জীবন-ধারা রোগীকে সাক্ষাৎ করার আদব আবদুল হামীদ ফাইযী
রোগীর নিকট রোগীর জন্য বিশেষ দু‘আ করুন

রাসুল (ﷺ) বলেছেন, ‘‘মৃত্যু উপস্থিত হয়নি এমন রোগীকে সাক্ষাৎ করে ৭ বার নিম্নের দু‘আ বললে, আল্লাহ ঐ রোগ থেকে ঐ রোগীকে নিরাপত্তা দান করেন;

أَسْأَلُ اَللهَ العَظِيْمَ، رَبَّ العَرْشِ العَظِيْمِ، أَنْ يَشْفِيَكَ

উচ্চারণঃ আসআলুল্লা-হাল আযীম, রাব্বাল আরশিল আযীম, আঁই য়্যাশফিয়াক্।’’

অর্থাৎ, আমি মহান আল্লাহ, মহা আরশের অধিপতির নিকট প্রার্থনা করি যে, তিনি তোমাকে (এই রোগ হতে) নিরাময় করুন।[1]

اَللّهُمَّ اشْفِ عَبْدَكَ فُلاَناً يَنْكَأُ لَكَ عَدُوّاً أَوْ يَمْشِي لَكَ إِلَى الصَّلاَةِ

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মাশফি আবদাকা ফুলানাঁই য়্যানকা’ লাকা আদুউওয়ান আউ য়্যামশী লাকা ইলাস স্বালাহ।

অর্থাৎ, হে আল্লাহ! তুমি অমুককে আরোগ্য দান কর, সে তোমার জন্য কোন দুশমন ধ্বংস করবে অথবা তোমার জন্য নামাযে যাবে।[2]

আরো অন্যান্য দু‘আ ‘দু‘আ ও জিকির’ পুস্তিকায় দেখুন।

অতীব দুঃখের বিষয় যে, আমাদের অনেকেই রোগী দেখতে গিয়ে সঙ্গে পুষ্পস্তবক নিয়ে যায়। তার সাথে কার্ডের উপর রোগমুক্তি বিষয়ক বিভিন্ন মুবারকবাদের বাক্য লিখা থাকে। আর তাই রোগীকে উপহার স্বরূপ পেশ করে থাকে। এমন লোকেরা হয়তো কোন দু‘আ জানেই না। এমন লোকেরা মুসলিম হয়েও ইসলামের অনুসরণ না করে বিজাতির অনুকরণ করে থাকে। অথচ ওদের অনেকেই হয়তো নামাযে বলে থাকে, ‘গাইরিল মাগযূববি আলাইহিম অলায্ যল্লিন।’ কিন্তু তোতা যা বলে, তা কি বোঝে?

[1]. আবু দাঊদ, তিরমিযী, ইবনে হিববান হাকেম, সহীহ আবু দাঊদ ২৬৬৩

[2]. হাকেম, সহীহুল জা’মে হা/৬৮১