ইমেইলে পাঠাতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন
security code
মহিলাদের স্রাব ও প্রসূতি অবস্থার বিধিবিধান সংক্রান্ত ৬০টি প্রশ্ন নামায ও রোযার ক্ষেত্রে ঋতুস্রাবের বিধিবিধান শাইখ মুহাম্মাদ ইবন সালেহ আল-উসাইমীন রহ.
প্রশ্ন ১৪: রমযানের দিবসে গর্ভবতী মায়ের রক্ত বের হলে তা কি তার রোযায় কোন প্রভাব ফেলবে?

উত্তরঃ কোন মহিলা রোযা থাকা অবস্থায় যদি তার ঋতুর রক্ত আসে, তাহলে তার রোযা নষ্ট হয়ে যাবে। রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “মহিলার বিষয়টা কি এমন নয় যে, যখন সে ঋতুবতী হয়, তখন সে নামায আদায় করে না এবং রোযাও রাখে না?”।[1] এজন্য ঋতুস্রাবকে আমরা রোযা ভঙ্গকারী বিষয়সমূহের অন্তর্ভুক্ত গণ্য করি। অনুরূপভাবে প্রসূতি অবস্থার রক্তও।

অতএব, রামাযানের দিবসে বের হওয়া গর্ভবতীর রক্ত যদি ঋতুস্রাব হয়, তাহলে তা সাধারণ মহিলার ঋতুস্রাবের মতই। অর্থাৎ উহা তার রোযায় প্রভাব ফেলবে। [অর্থাৎ রোযা ভঙ্গ হবে, পরবর্তীতে কাযা করতে হবে] পক্ষান্তরে যদি ঋতুস্রাব না হয়, তাহলে প্রভাব ফেলবে না। [অর্থাৎ রোযা ভঙ্গ হবে না, রোযা রাখা জায়েয হবে] আর গর্ভবতীর যে ঋতুস্রাব আসতে পারে, সেটা হলো ধারাবাহিক ঋতুস্রাব- যা গর্ভধারণের পর থেকে চলছে। এমনকি তা প্রত্যেক মাসের নির্ধারিত সময়েও আসতে পারে। অগ্রাধিকারযোগ্য মতানুসারে ইহা ঋতুস্রাব হিসাবে গণ্য হবে এবং সাধারণ ঋতুস্রাবের বিধিবিধান তার ক্ষেত্রেও বলবৎ থাকবে। কিন্তু যদি এমন হয় যে, কিছুদিন রক্ত বন্ধ থাকার পর উক্ত মহিলা আবার রক্ত দেখতে পেল- যা ঋতুস্রাবের রক্ত নয়, তাহলে তা তার রোযায় কোন প্রভাব ফেলবে না। [রোযা শুদ্ধ হয়ে যাবে] কেননা তা ঋতুস্রাব নয়।

1. বুখারী, 'রোযা' অধ্যায়, 'ঋতুবতী নামায ও রোযা পরিত্যাগ করবে' অনুচ্ছেদ হা/১৯৫১।