ইমেইলে পাঠাতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন
security code
নবীদের কাহিনী ২৫. হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) - মাক্কী জীবন ডঃ মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
সংশয় নিরসন (إزالة الشك عن عمر عائشة عند النكاح)

আয়েশা (রাঃ) এর বিবাহের সময়কার বয়স নিয়ে কেউ কেউ সন্দেহ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘আরব দেশের ইতিহাসে ও সাহিত্যে এরূপ কোন ঘটনার কথা জানা যায় না। আরব দেশের কোন মেয়েই নয় বছর বয়সে সাবালিকা হয় না। সুতরাং নবীজী সম্বন্ধে এরূপ বলা মানে তাঁর চরিত্র হনন করা’। বস্ত্ততঃ তাঁদের এই দাবী অনৈতিহাসিক ও অযৌক্তিক বটে। কেননা এটাই স্বাভাবিক যে, গ্রীষ্ম প্রধান দেশের মেয়েরা শীত প্রধান দেশের তুলনায় আগেই সাবালিকা হয়। তারা রাবী হিশাম বিন উরওয়া বিন যুবায়ের সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। উরওয়া ছিলেন আয়েশা (রাঃ)-এর বোন আসমা (রাঃ)-এর পুত্র এবং খ্যাতনামা ছাহাবী আব্দুল্লাহ বিন যুবায়ের (রাঃ)-এর ছোট ভাই। খালা হওয়ার সুবাদে আয়েশা (রাঃ) সম্পর্কিত বহু বর্ণনা আমরা তাঁর মাধ্যমে পেয়েছি। অত্র বর্ণনায় সন্দেহ প্রকাশ করলে তাঁর অন্যান্য বর্ণনাও বাদ দিতে হবে। অথচ ইমাম বুখারী সহ কোন মুহাদ্দিছই এরূপ বলেননি। বরং উক্ত বিষয়ে ইমাম বুখারী বর্ণিত হাদীছটির ব্যাখ্যায় ইবনু হাজার আসক্বালানী বলেন, খাদীজার মৃত্যুর পর রাসূল (ছাঃ) আয়েশাকে বিবাহ করেন। যখন তাঁর বয়স ছিল ৬ বছর। অতঃপর তাঁর সাথে বাসর যাপন করেন মদীনায় আসার পর। যখন তাঁর বয়স ছিল ৯ বছর। আর এই বর্ণনায় কোনরূপ সন্দেহ নেই (وَهَذَا السِّيَاقُ لاَ إِشْكَالَ فِيهِ)।[1] অতএব কষ্ট কল্পনা বাদ দিয়ে ছহীহ হাদীছ সমূহের উপরে বিশ্বাস রাখাই মুমিনের কর্তব্য।

[1]. বিস্তারিত দ্রঃ ফাৎহুল বারী হা/৩৮৯৬-এর আলোচনা।