ইমেইলে পাঠাতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন
security code
দল, সংগঠন, ইমারত ও বায়‘আত সম্পর্কে বিশিষ্ট উলামায়ে কেরামের বক্তব্য (২২) শায়খ আহমাদ ইবনে ইয়াহ্‌ইয়া আন-নাজমী ইসলামহাউজ.কম
প্রশ্নঃ যে সব দা‘ঈ দা‘ওয়াতের পদ্ধতিতে ভুল করেন, কিছু কিছু ছাত্র তাদের সমালোচনা করেন। তাদের এ সমালোচনা কি গীবতের অন্তর্ভুক্ত হবে?

উত্তরঃ মহান আল্লাহ তাঁর নবীগণকে দা‘ওয়াতী ক্ষেত্রে যে পথ নির্দেশ দিয়েছেন, সকল দা‘ঈর উচিৎ, সে পথে পরিচালিত হওয়া। মহান আল্লাহ বলেন,

﴿ وَلَقَدۡ بَعَثۡنَا فِي كُلِّ أُمَّةٖ رَّسُولًا أَنِ ٱعۡبُدُواْ ٱللَّهَ وَٱجۡتَنِبُواْ ٱلطَّٰغُوتَۖ فَمِنۡهُم مَّنۡ هَدَى ٱللَّهُ وَمِنۡهُم مَّنۡ حَقَّتۡ عَلَيۡهِ ٱلضَّلَٰلَةُۚ فَسِيرُواْ فِي ٱلۡأَرۡضِ فَٱنظُرُواْ كَيۡفَ كَانَ عَٰقِبَةُ ٱلۡمُكَذِّبِينَ ٣٦ ﴾ [النحل: ٣٦]

‘অবশ্যই আমরা প্রত্যেক উম্মতের নিকটেই রাসূল প্রেরণ করেছি এই নির্দেশনা দিয়ে যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর এবং তাগূত থেকে বেঁচে থাক। অতঃপর তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যককে আল্লাহ হেদায়েত করেছেন এবং কিছু সংখ্যকের জন্য পথভ্রষ্টতা অবধারিত হয়ে গেছে। সুতরাং তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ কর এবং দেখ, মিথ্যারোপকারীদের কিরূপ পরিণতি হয়েছে’ (আন-নাহ্‌ল ৩৬)

মহান আল্লাহ তাঁর প্রিয় নবীকেও দা‘ওয়াতের পথ ও পদ্ধতি শিখিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন,

﴿ قُلۡ هَٰذِهِۦ سَبِيلِيٓ أَدۡعُوٓاْ إِلَى ٱللَّهِۚ عَلَىٰ بَصِيرَةٍ أَنَا۠ وَمَنِ ٱتَّبَعَنِيۖ وَسُبۡحَٰنَ ٱللَّهِ وَمَآ أَنَا۠ مِنَ ٱلۡمُشۡرِكِينَ ١٠٨ ﴾ [يوسف: ١٠٨]

‘হে নবী! আপনি বলে দিন, ইহাই আমার পথ। আমি ও আমার অনুসারীগণ আল্লাহর দিকে ডাকি জাগ্রত জ্ঞান সহকারে। আর আল্লাহ পবিত্র এবং আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই’ (ইউসুফ ১০৮)

অতএব, কেউ যদি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পদ্ধতি বাদ দিয়ে দা‘ওয়াতী ময়দানে অন্য কোনো পদ্ধতি অবলম্বন করে, তাহলে উলামায়ে কেরামের উচিৎ, তার ভুল-ত্রুটি ধরিয়ে দিয়ে সঠিক পদ্ধতি বলে দেওয়া। আর যে ব্যক্তি সঠিক পদ্ধতি জানার পরও ভুল ধরিয়ে দিবে না, সে গুনাহগার হবে। তবে কেউ ভুল ধরিয়ে দেওয়ার এ দায়িত্ব পালন করলে অন্য সবাই দায়মুক্ত হয় যাবে, অন্যদের আর গোনাহ হবে না। কিন্তু ভুল ধরিয়ে দিতে গিয়ে যদি কেউ অন্যদের সহযোগিতার প্রয়োজন মনে করে, তাহলে সকলের উচিত, তাকে সহযোগিতা করা। কেউ যদি মনে করে, যারা দা‘ওয়াতের পথ ও পদ্ধতির ক্ষেত্রে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পদ্ধতির বিরোধী কোনো পদ্ধতি অবলম্বন করছে, তাদের ব্যপারে কথা বলতে যাওয়া উচিৎ নয়, তবে সে চরম ভুল করবে। এর মাধ্যমে সে আসলে সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজ থেকে নিষেধ, হক প্রচার এবং নেকী ও আল্লাহ ভীতির কাজে পরস্পর সহযোগিতা করাকে অকেজো করতে চায়। সে যদি অন্তর থেকে এটি নাও চায়, তবুও যারা চায়, সে তাদের প্রতারণার শিকার হয়েছে। অতএব, তার উচিৎ, হকের পথে ফিরে আসা।([1])

([1]) আল-ফাতাওয়া আল-জালিইয়াহ আনিল মানাহিজ আদ-দা‘বিইয়াহ, পৃ: ১২।