ইমেইলে পাঠাতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন
security code
রমাযানের ফাযায়েল ও রোযার মাসায়েল দশম অধ্যায় - রমাযানে যে যে কাজ করা রোযাদারের কর্তব্য আবদুল হামীদ ফাইযী
খতমের দুআয় শরীক হওয়া

ইমাম নামাযে কুরআন খতমের দুআ করলে মুক্তাদীও সে দুআতে শরীক হয়ে ‘আমীন-আমীন’ বলতে পারে। যদিও নামাযের মধ্যে কুরআন-খতমের মুনাজাত করার ব্যাপারে সুন্নাহ থেকে কোন দলীল নেই, তবুও যেহেতু মুসলিমদের কিছু আয়েম্মায়ে কেরাম তা করা মুস্তাহাব বলেছেন এবং তা হল একটি বৈধ ইজতিহাদী অভিমত, আর তা ভুল হলেও হতে পারে; কিন্তু তা হারাম কিছু নয়, সেহেতু সে কাজে ইমামের অনুসরণ করায় কোন বাধা নেই। যেমন ইমাম দুআ করলে সে দুআ বিদআত মনে করে অথবা সুন্নাহতে নেই বলে ঐ নামায ত্যাগ করে বেরিয়ে যাওয়া কারো জন্য উচিৎ নয়। কারণ, তাতে জামাআতের মাঝে অনৈক্য ও পারস্পরিক বিদ্বেষ পরিদৃষ্ট হবে। আর এ কাজ হবে আয়েম্মায়ে কেরামদের আমলের প্রতিকূল। যেমন ইমাম আহমাদ (রঃ) ফজরের নামাযে কুনূত পড়াকে মুস্তাহাব মনে করতেন না; বরং তা বিদআত মনে করতেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি বলতেন, ‘যদি তুমি এমন ইমামের পশ্চাতে ফজরের নামায পড় যে কুনূত পড়ে, তাহলে তুমি তার কুনূতেও তার অনুসরণ কর এবং তার দুআয় আমীন বল।’ আর তা হল জামাআতের মাঝে সংহতি ও ঐক্য বজায় রাখার জন্য; যাতে একে অপরের প্রতি ঘৃণা ও বিদ্বেষ পোষণ না করে।[1]

[1] (আশ্শারহুল মুমতে’ ৪/৮৬-৮৭, সামানিয়া ওয়া আরবাঊন সুআলান ফিস্-সিয়াম ৫৯-৬০পৃঃ)