ইমেইলে পাঠাতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন
security code
স্বালাতে মুবাশ্‌শির নামায জমা করা আবদুল হামীদ ফাইযী
জমা বিষয়ক অন্যান্য জরুরী মাসায়েল

জ্ঞাতব্য যে, ত্বরান্বিত জমা (তাক্বদীম) অপেক্ষা (কষ্ট না হলে) বিলম্বিত (তা’খীর) জমাই উত্তম। এ ছাড়া যখন যার জন্য যেমন সুবিধা তার জন্য সেই জমাই উত্তম। (আলমুমতে’, শারহে ফিক্‌হ, ইবনে উষাইমীন ৪/৪৬১-৫৬৪) অবশ্য প্রথম অক্তে জমা না করলে সে সময়ে জমার নিয়ত জরুরী। নচেৎ, জমার নিয়ত ছাড়া বিনা ওযরে কোন নামাযকে যথাসময় থেকে পার করে দেওয়া হারাম। (আলমুমতে’, শারহে ফিক্‌হ, ইবনে উষাইমীন ৪/৫৭৪)

বলা বাহুল্য, প্রথম অক্তে জমার নিয়ত না রেখে সময় পার হওয়ার পর পরের ওয়াক্তের সাথে জমার নিয়ত সহীহ নয়। বরং এই সময় প্রথম নামায কাযা ও দ্বিতীয় নামায আদায়ের নিয়তে পড়া জরুরী। (ঐ ৪/৫৭৫)

প্রকাশ থাকে যে, কোন ওযরে প্রথম অক্তে দুই নামায জমা করে নেওয়ার পর দ্বিতীয় ওয়াক্ত আসার আগেই যদি সে ওযর দূর হয়ে যায়; যেমন রোগ ভাল হয়ে যায়, মুসাফির ঘরে ফিরে আসে অথবা বৃষ্টি থেমে যায়, তবুও জমা নামায বাতিল হবে না এবং দ্বিতীয় অক্তে ঐ পড়া নামায আর ফিরিয়ে পড়তে হবে না। এমন কি দ্বিতীয় নামায শেষ হওয়ার আগেই যদি ওযর দূর হয়ে যায় তবুও জমা বাতিল নয়। (ঐ ৪/৫৭৪, মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ্‌ ১৭/৫৫, ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ্‌, সঊদী উলামা-কমিটি ১/২৬১-২৬২)

মুসাফিরের জন্য জমা ও কসর একই সাথে করা জরুরী নয়। সুতরাং সে জমা না করে কেবল কসর এবং কসর না করে জমাও করতে পারে। (মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ্‌ ১২/৮৮)