ইমেইলে পাঠাতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন
security code
জাল হাদীছের কবলে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর ছালাত জামা‘আত ও ইমামতি মুযাফফর বিন মুহসিন
(১২) জামা‘আত হয়ে গেলে পুনরায় জামা‘আত করতে নিষেধ করা এবং ছালাত পড়ার সময় ইক্বামত না দেয়া

(১২) জামা‘আত হয়ে গেলে পুনরায় জামা‘আত করতে নিষেধ করা এবং ছালাত পড়ার সময় ইক্বামত না দেয়া :

জামা‘আতের পরে আসা মুছল্লীরা ইক্বামত দিয়ে জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায় করবে। এটাই সুন্নাত।

عَنْ أَبِىْ سَعِيْدٍ الْخُدْرِىِّ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ أَبْصَرَ رَجُلاً يُصَلِّى وَحْدَهُ فَقَالَ أَلاَ رَجُلٌ يَتَصَدَّقُ عَلَى هَذَا فَيُصَلِّىَ مَعَهُ.

আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) একবার জনৈক মুছল্লীকে একাকী ছালাত আদায় করতে দেখে বলেন, কে আছ এই ব্যক্তিকে ছাদাক্বা দিবে? তার সাথে ছালাত আদায় করতে পারে? [1] অন্য হাদীছে এসেছে,

عَنْ مَالِكِ بْنِ الْحُوَيْرِثِ عَنِ النَّبِىِّ قَالَ إِذَا حَضَرَتِ الصَّلاَةُ فَأَذِّنَا وَأَقِيمَا ثُمَّ لِيَؤُمَّكُمَا أَكْبَرُكُمَا.

মালেক বিন হুওয়াইরিছ (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) বলেন, যখন ছালাতের সময় উপস্থিত হবে, তখন তোমাদের দুইজনের কেউ আযান ও ইক্বামত দিবে। অতঃপর তোমাদের মধ্যে যে বড় সে ইমামতি করবে।[2] ইমাম বুখারী (রহঃ) উক্ত হাদীছ উল্লেখ করার পূর্বে অনুচ্ছেদ রচনা করেছেন যে, بَابُ اثْنَانِ فَمَا فَوْقَهُمَا جَمَاعَةٌ ‘দুই বা দুইয়ের অধিক সংখ্যকের জামা‘আত’।[3]

অন্য হাদীছে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, একজনের সাথে আরেকজন ছালাত আদায় করা অধিক উত্তম, একাকী ছালাত আদায়ের চাইতে এবং একজনের সাথে দু’জন ছালাত আদায় করা আরও উত্তম। এভাবে মুছল্লীর সংখ্যা যত বেশী হবে, ততই তা আল্লাহর নিকটে প্রিয়তর হবে’।[4] এই সময় ইক্বামত দিয়ে জামা‘আত শুরু করতে হবে।[5]

[1]. আবুদাঊদ হা/৫৭৪, ১/৮৫ পৃঃ, ‘এক মসজিদে দু’বার জামা‘আত করা’ অনুচ্ছেদ-৫৬; মিশকাত হা/১১৪৬; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/১০৭৮, ৩/৮২, ‘ছালাত’ অধ্যায়, ‘মুক্তাদীর কর্তব্য ও মাসবূকের করণীয়’ অনুচ্ছেদ।

[2]. বুখারী হা/৬৫৮, ১/৯০ পৃঃ, (ইফাবা হা/৬২৫, ২/৬২ পৃঃ); মুসলিম হা/১৫৭০, ১/২৩৬ পৃঃ, (ইফাবা হা/১৪০৭); তিরমিযী হা/২০৫; মিশকাত হা/২৮২।

[3]. বুখারী হা/৬৫৮, ১/৯০ পৃঃ -এর আলোচনা দ্রঃ ‘আযান’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৩৫।

[4]. আবুদাঊদ হা/৫৫৪, ১/৮২ পৃঃ, ‘জামা‘আতে ছালাতের ফযীলত’ অনুচ্ছেদ-৪৮, সনদ হাসান।

[5]. মুসলিম হা/১৫৯২, ১/২৩৮ পৃঃ, (ইফাবা হা/১৪৩১); মিশকাত হা/৬৮৪; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৬৩৩, ২/২০৮ পৃঃ।