রাসূল (সা.) যেভাবে এ রাত কাটাতেন এর পূর্ণ অনুসরণ করাই হবে আমাদের প্রধান টার্গেট। এ লক্ষ্যে আমাদের নিম্নবর্ণিত কাজগুলো করা আবশ্যক:

১. নিজে রাত জেগে ইবাদত করা এবং নিজের অধীনস্ত ও অন্যান্যদেরকেও জাগিয়ে ইবাদতে উদ্বুদ্ধ করা।
২. লম্বা সময় নিয়ে তারাবীহ্ ও তাহাজ্জুদ পড়া। এসব সালাতে কিরাআত ও রুকু-সিজদা লম্বা করা। রুকু থেকে উঠে এবং দুই সিজদার মধ্যে আরো একটু বেশি সময় অতিবাহিত করা, এ সময় কিছু দুআ আছে সেগুলো পড়া।
৩. সিজদার মধ্যে তাসবীহ পাঠ শেষে দু'আ করা। কেননা সিজদাবনত অবস্থায় মানুষ তার রবের নিকটে চলে যায়। ফলে তখন দুআ কবুল হয়।
৪. বেশি বেশি তাওবা করবে আস্তাগফিরুল্লাহ পড়বে। ছগীরা-কবীরা গোনাহ থেকে মাফ চাইবে। বেশি করে শিরক গোনাহ থেকে খালেছ ভাবে তাওবা করবে। কারণ ইতঃপূর্বে কোন শিরক করে থাকলে নেক আমল তো কবুল হবেই না বরং অর্জিত অন্য ভালো আমলও বরবাদ হয়ে যাবে। ফলে হয়ে যাবে চিরস্থায়ী জাহান্নামী।
৫. কুরআন তিলাওয়াত করবে। অর্থ ও ব্যাখ্যাসহ কুরআন অধ্যয়নও করতে পারে। তাসবীহ তাহলীল ও যিকর-আযকার করবে। তবে যিকর করবে চুপিসারে, নিরবে ও একাকী এবং কোন প্রকার জোরে আওয়াজ করা ছাড়া। এভাবে যিকর করার জন্যই আল্লাহ কুরআনে বলেছেন,

“সকাল ও সন্ধ্যায় তোমার রবের যিকর কর মনে মনে, বিনয়ের সঙ্গে, ভয়ভীতি সহকারে এবং জোরে আওয়াজ না করে এবং কখনো তোমরা আল্লাহর যিকর ও স্মরণ থেকে উদাসীন হয়ো না।" (সূরা ৭; আরাফ ২০৫)।
অতএব, দলবেধে সমস্বরে জোরে জোরে উচ্চৈস্বরে যিকর করা বৈধ নয়। এভাবে সম্মিলিত কোন যিকর করা কুরআনেও নিষেধ আছে, নবীজি (সা.) ও তা করেননি। যিকরের শব্দগুলো হলো: সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার ইত্যাদি।

৬. একাগ্রচিত্তে দু'আ করা। বেশি বেশি ও বার বার দুআ করা। আর এসব দুআ হবে একাকী ও বিনম্রচিত্তে কবুল হওয়ার প্রত্যাশা নিয়ে। দু'আ করবেন নিজের ও আপনজনদের জন্য, জীবিত ও মৃতদের জন্য, পাপমোচন ও রহমত লাভের জন্য, দুনিয়ার শান্তি ও আখিরাতের মুক্তির জন্য। তাছাড়া নবী করীম (সা.) এ রাতে নিম্নের এ দু'আটি বেশি বেশি করার জন্য উৎসাহিত করেছেন,

“হে আল্লাহ! তুমি তো ক্ষমার আধার, আর ক্ষমা করাকে তুমি ভালোবাসো। কাজেই তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও।” (তিরমিযী: ৩৫১৩)