দ্বীনের দায়ী যার দিকে মানুষকে দাওয়াত করবেন তা হচ্ছে "দ্বীন ইসলাম"। ইসলাম একমাত্র আল্লাহর মনোনীত দ্বীন। আল্লাহ তা'য়ালার বাণী:
إِنَّ الدِّيْنَ عِنْدَ اللهِ الْإِسْلَامُ
“আল্লাহর মনোনীত দ্বীন হলো ইসলাম।" [সূরা আলে ইমরান: ১৯]
আল্লাহ তা'য়ালা আরো বলেন:
وَمَنْ يَبْتَغِ غَيْرَ الْإِسْلَامِ دِيْنًا فَلَنْ يُقْبَلَ مِنْهُ وَهُوَ فِي الْآخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِيْنَ
“আর যে ইসলাম ছাড়া অন্য কোন দ্বীন তালাশ করে তা গ্রহণযোগ্য নয় এবং সে আখেরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত।" [সূরা আল-ইমরান: ৮৫]
ইসলামই হলো একমাত্র আল্লাহর রাস্তা সেরাতে মুস্তাকীম। ইসলাম ছাড়া অন্য কিছুর দিকে দাওয়াত করা চলবে না। চাই তা কোন মাজহাব হোক বা রাই-কিয়াস ইজতেহাদ হোক কিংবা বিশেষ কোন তরীকা হোক অথবা দল বা সংগঠন বা জামাত কিংবা ফের্কা হোক।
১. আল্লাহ তা'য়ালার বাণী:
ادْعُ إِلىٰ سَبِيْلِ رَبِّكَ بِالْحِكْمَةِ وَالْمَوْعِظَةِ الْحَسَنَةِ وَجَادِلْهُمْ بِالَّتِيْ هِيَ أَحْسَنُ إِنَّ رَبَّكَ هُوَ أَعْلَمُ بِمَنْ ضَلَّ عَنْ سَبِيْلِهِ وَهُوَ أَعْلَمُ بِالْمُهْتَدِيْنَ
“আপনার পালনকর্তার পথের প্রতি আহবান করুন জ্ঞানের কথা বুঝিয়ে ও উপদেশ শুনিয়ে উত্তমরূপে এবং তাদের সাথে বিতর্ক করুন পছন্দযুক্ত পন্থায়। নিশ্চয় আপনার পালনকর্তাই ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে বিশেষভাবে জ্ঞাত রয়েছেন, যে তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে এবং তিনিই ভাল জানেন তাদেরকে, যারা সঠিক পথে আছে।” [সূরা নাহল: ১২৫]
২. আল্লাহ তা'য়ালার বাণী:
اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيْمَ صِرَاطَ الَّذِيْنَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّيْنَ
"আমাদেরকে সরল পথ দেখাও, সে সমস্ত লোকের পথ যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যারা গজবপ্রাপ্ত এবং যারা পথভ্রষ্ট।" [সূরা ফাতেহা : ৬-৭]
৩. আল্লাহ তা'য়ালার বাণী:
وَادْعُ إِلىٰ رَبِّكَ وَلَا تَكُوْنَنَّ مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ
"আপনি আপনার পালনকর্তার প্রতি দাওয়াত দিন এবং কিছুতেই মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হবেন না।" [সূরা কাসাস: ৮৭]
৪. আল্লাহ তা’য়ালার বাণী:
قُلْ هَذِهِ سَبِيْلِيْ أَدْعُوْا إِلَى اللهِ عَلَىٰ بَصِيْرَةٍ أَنَا وَمَنِ اتَّبَعَنِيْ وَسُبْحَانَ اللهِ وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ
“বলে দিন, এই আমার পথ। আমি আল্লাহর দিকে বুঝে সুঝে দাওয়াত দেই আমি এবং আমার অনুসারীরা। আল্লাহ পবিত্র। আমি অংশীবাদীদের অন্তর্ভুক্ত নই।” [সূরা ইউসুফ: ১০৮]
দাওয়াত ইলাল্লাহ অর্থ আল্লাহর তাওহীদ ও তাঁর প্রতি ঈমান আনার আহ্বান। আল্লাহর দ্বীন, সেরাতে মুস্তাকীম ও শরিয়তে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশ করার জন্য দা'ওয়াত।
ইসলাম শব্দের আভিধানিক অর্থ: পূর্ণ আত্মসমর্পণ করা। = ইসলামের পরিভাষায় ইসলাম অর্থ: এবাদতের মাধ্যমে একমাত্র আল্লাহর নিকট পূর্ণভাবে আত্মসমর্পণ করা এবং সর্বপ্রকার শিরক ও মুশরিক থেকে মুক্ত থাকা।
এ ইসলাম হচ্ছে আল্লাহর কিতাব ও রসূলুল্লাহ ﷺ এর সহীহ হাদীস। এ ছাড়া প্রয়োজনে সমস্ত উম্মতের আলেমগণের ইজমা' ও বিশুদ্ধ কিয়াস বাতিল কিয়াস নয়।
দাওয়াতের বিষয় ইসলাম অর্থাৎ মানুষকে প্রতিটি কল্যাণের প্রতি আহ্বান ও তার প্রতি উৎসাহিত করা এবং সর্বপ্রকার অনিষ্টকর জিনিস থেকে সতর্ক ও তার প্রতি ঘৃণা সৃষ্টি করা। দ্বীন ইসলামের হকিকত হলো: একমাত্র আল্লাহর জন্য নবী ﷺ এর বিশুদ্ধ সুন্নতী পন্থায় এবাদত করা, যাঁর কোন শরিক নেই। আর আল্লাহ ছাড়া যত কিছুর এবাদত করা হয় তা প্রত্যাখ্যান করা। আল্লাহর আদেশ-নিষেধসমূহকে অবনত মস্তকে মেনে নেওয়া। আর এ জন্যই জিন ও মানুষ জাতির সৃষ্টি।
১. আল্লাহ তায়ালার বাণী:
وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنْسَ إِلَّا لِيَعْبُدُوْنِ مَا أُرِيْدُ مِنْهُمْ مِنْ رِزْقٍ وَمَا أُرِيْدُ أَنْ يُطْعِمُوْنِ إِنَّ اللهَ هُوَ الرَّزَّاقُ ذُو الْقُوَّةِ الْمَتِيْنُ
"আমার এবাদত করার জন্যই জিন ও মানব জাতি সৃষ্টি করেছি। আমি তাদের কাছে জীবিকা চাইনা এবং এটাও চাই না যে, তারা আমাকে আহার্য যোগাবে। আল্লাহই তো জীবিকাদাতা শক্তির আধার, পরাক্রান্ত।" [সূরা যারিয়াত: ৫৬-৫৮]
২. আল্লাহ তা'য়ালার বাণী:
قُلْ إِنَّ صَلَاتِيْ وَنُسُكِيْ وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِيْ لِلهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ لَا شَرِيْكَ لَهُ وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا أَوَّلُ الْمُسْلِمِيْنَ
“বলুন, আমার সালাত, আমার কুরবানি এবং আমার জীবন ও মরণ প্রতিপালক আল্লাহরই জন্যে। তাঁর কোন শরিক নেই। আমি তারই -বিশ্ব আদিষ্ট হয়েছি এবং আমি প্রথম আনুগত্যশীল। "[সূরা আন'আম: ১৬২-১৬৩]
দ্বীন ইসলাম পরিপূর্ণ একটি জীবন বিধান।
আল্লাহ তা'য়ালার বাণী:
الْيَوْمَ يَئِسَ الَّذِيْنَ كَفَرُوا مِنْ دِيْنِكُمْ فَلَا تَخْشَوْهُمْ وَاخْشَوْنِ الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِيْنَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِيْ وَرَضِيْتُ لَكُمُ الْإِسْلَامَ دِيْنًا فَمَنِ اضْطُرَّ فِيْ مَخْمَصَةٍ غَيْرَ مُتَجَانِفٍ لِإِثْمٍ فَإِنَّ اللهَ غَفُوْرٌ رَحِيْمٌ
"আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম।"[সূরা মায়েদা: ৩]
দ্বীন ইসলাম কুরআন ও সুন্নাহর মধ্যে সংরক্ষিত যার দায়িত্ব স্বয়ং মহান আল্লাহ গ্রহণ করেছেন।
আল্লাহ তা'য়ালার বাণী:
إِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا الذِّكْرَ وَإِنَّا لَهُ لَحَافِظُوْنَ
"আমি স্বয়ং এ ওহি নাজিল করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক।" [সূরা হিজর: ৯]
ইসলামের বিধানসমূহ বিস্তারিত। ইহা পাঁচ প্রকার: ফরজ, মুস্তাহাব, জায়েজ, হারাম ও মকরুহ। ইসলামের যে কোন (আমল বা আকিদা) এ পাঁচ প্রকারের মধ্যের যে কোন এক প্রকারের হবে এর বাইরে হবে না।
আল্লাহ তা'য়ালার বাণী:
وَنَزَّلْنَا عَلَيْكَ الْكِتَابَ تِبْيَانًا لِكُلِّ شَيْءٍ وَهُدًى وَرَحْمَةً وَبُشْرَىٰ لِلْمُسْلِمِيْنَ
"আমি আপনার প্রতি গ্রন্থ নাজিল করেছি যেটি এমন যে, তা প্রত্যেক বস্তুর সুস্পষ্ট বর্ণনা, হেদায়েত, রহমত এবং মুসলিমদের জন্যে সুসংবাদ।” [সূরা নাহল: ৮৯]
দ্বীন ইসলাম সবযুগে সবার জন্যে প্রযোজ্য।
আল্লাহ তা'য়ালার বাণী:
وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا كَافَّةً لِلنَّاسِ بَشِيْرًا وَنَذِيْرًا وَلَكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُوْنَ
“আমি আপনাকে সমগ্র মানবজাতির জন্যে সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে পাঠিয়েছি; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা জানে না।"[সূরা সাবা : ২৮]
দায়ী পরিপূর্ণ দ্বীনের দিকে দা'ওয়াত করবে। এক দিক ছেড়ে অন্য দিকে আহ্বান করবেন না। আকিদার দিকে ডাকবে আর আহকাম ও আমল ছেড়ে দিবেন কিংবা আহকাম ও আমল নিবেন আকিদা ছেড়ে দিবেন তা চলবে না।
১. আল্লাহ তায়ালার বাণী:
يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوا ادْخُلُوا فِي السِّلْمِ كَافَّةً وَلَا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُبِيْنٌ
"হে ঈমানদারগণ! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ কর এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না নিশ্চিতরূপে সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।” [সূরা বাকারা: ২০৮]
২. আল্লাহ তা'য়ালার বাণী:
أَفَتُؤْمِنُوْنَ بِبَعْضِ الْكِتَابِ وَتَكْفُرُوْنَ بِبَعْضٍ فَمَا جَزَاءُ مَنْ يَفْعَلُ ذَلِكَ مِنْكُمْ إِلَّا خِزْيٌ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَيَوْمَ الْقِيَامَةِ يُرَدُّوْنَ إِلَىٰ أَشَدِّ الْعَذَابِ وَمَا اللهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُوْنَ
"তোমরা কি গ্রন্থের কিছু অংশ বিশ্বাস কর এবং কিছু অংশ অবিশ্বাস কর! যারা এরূপ করে, পার্থিব জীবনে দুর্গতি ছাড়া তাদের আর কোনই পথ নেই। আর কিয়ামতের দিন তাদের কঠোরতম শাস্তির দিকে পৌঁছে দেয়া হবে। আল্লাহ তোমাদের কাজ-কর্ম সম্পর্কে বেখবর নন।" [সূরা বাকারা: ৮৫]
ইসলামের রোকন পাঁচটি:
১. দু'টি সাক্ষ্য প্রদান করা যে: (ক) আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য ইলাহ্-উপাস্য নেই ও (খ) মুহাম্মদ ﷺ আল্লাহর রসূল।
২. সালাত (নামাজ) কায়েম করা।
৩. জাকাত আদায় করা।
৪. রমজান মাসের সিয়াম (রোজা) রাখা।
৫. সামর্থ্যবান ব্যক্তির আল্লাহর ঘরের হজ্ব করা।
দ্বীন ইসলামের কিছু বৈশিষ্ট্য:
১. ইহা আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছে।
২. মানব জীবনের সকল নিয়ম-নীতি ও চলার পথের এক পূর্ণ জীবন ব্যবস্থা, যা দয়া ইনসাফ ও বদান্যতার উপর প্রতিষ্ঠিত। নিয়ম-নীতির মধ্যে যেমন:
(ক) চারিত্রিক তথা ব্যক্তিগত জীবনের নিয়ম কানুন।
(খ) সামাজিক নিয়ম-নীতি।
(গ) রাষ্ট্রীয় বিধান।
(ঘ) অর্থ নীতির বিধান।
(ঙ) ফতোয়ার নীতিমালা।
(চ) সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজের নিষেধের নিয়ম মালা।
(ছ) বিচার বিভাগের আইন।
(জ) জিহাদ ও যুদ্ধের নিয়ম-নীতি।
৩. সকল যুগ ও সকল সময়ের মানব জাতির জন্য প্রযোজ্য।
আল্লাহ আ'য়ালা এরশাদ করেন:
قُلْ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنِّيْ رَسُوْلُ اللهِ إِلَيْكُمْ جَمِيْعًا
“বলুন! হে মানব সমাজ! নিশ্চয়ই আমি তোমাদের সকলের জন্য রসূল।" [সূরা আ'রাফ: ১৫৮]
৪. দুনিয়া ও আখেরাতে প্রতিদান ও শাস্তির ব্যবস্থা।
৫. সম্ভবপর মানবতার পূর্ণ সোপানে পৌঁছার জন্য উৎসাহ প্রদান।
৬. সর্বব্যাপারে যেমন: আকায়েদ, এবাদত ও নিয়ম-নীতিতে মধ্যম পন্থা অবলম্বন করা।
৭. মানব জাতির সর্বপ্রকার কল্যাণকর কাজ প্রতিষ্ঠা ও অকল্যাণকর ও ক্ষতিকর কাজের উৎখাত করা।
৮. সহজ ও মহানুভবতার আদর্শ প্রতিষ্ঠা করা।
৯. সর্বপ্রকার জটিলতা ও সঙ্কীর্ণতা থেকে মুক্ত হওয়া।
১০. অঙ্গীকার ও চুক্তির সংরক্ষণ ও মানবীয় অধিকারগুলোর ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করা।
নোট: ইসলামী শরীয়ত তিনটি কল্যাণের প্রতি প্রতিষ্ঠিত:
(ক) ছয়টি জিনিষ হতে বিপর্যয় ও অকল্যাণকর বিষয়াদি দূর করা আর তা হলো: দ্বীন, জীবন, বিবেক, বংশ, ইজ্জত-আবরু ও সম্পদ।
(খ) সকল ময়দানে সর্বপ্রকার কল্যাণের দরজা উন্মুক্তকরণ এবং সর্বপ্রকার অনিষ্টকর জিনিসের দরজাসমূহ বন্ধকরণ।
(গ) উত্তম চরিত্র ও মহান আদর্শ এবং সুন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে পথ চলা।
দায়ী দাওয়াতের গুরুত্ব বুঝে বিষয়াদির নির্বাচন করবেন। নিম্নে তার কিছু বর্ণনা দেওয়া হলো।
১. সর্বপ্রথম তাওহীদের দাওয়াত করবেন। শাহাদাতাইন তথা দু'টি সাক্ষ্যের অর্থ, গুরুত্ব, চাহিদা, রোকনসমূহ, শর্তসমূহ, তার ধ্বংসকারী জিনিসগুলোর বর্ণনা দেয়া। ইহা ইসলামের মূল ভিত্তি।
২. তাওহীদের প্রকারসমূহ, তার গুরুত্ব এবং মানুষকে তার প্রতি উৎসাহিত করবেন ও এ ব্যাপারে সবচেয়ে বেশী গুরুত্বারোপ করবেন।
৩. ছোট-বড় সকল প্রকার শিরক থেকে সতর্ককরণ: কারণ শিরক সবচেয়ে বড় জুলুম ও জঘন্য পাপ। শিরকের প্রকার ও মাধ্যমগুলো বিস্তারিত বর্ণনা করা।
৪. আল্লাহর পরিপূর্ণ নাম ও গুণসমূহের গুরুত্ব এবং তাওহীদে আসমা ওয়াসসিফাতের বর্ণনা দেয়া।
৫. বিস্তারিতভাবে ঈমান, ইসলাম ও এহসানের রোকানসমূহ বর্ণনা করা।
৬. কবিরা গুনাহসমূহ থেকে মানুষকে সতর্ক করা এবং সর্বপ্রকার ফরজ-ওয়াজিবসমূহের প্রতি উৎসাহিত করা।
৭. সর্বপ্রকার এবাদতের উপর উৎসাহিত করা এবং সকল প্রকার গুনাহ তথা গর্হিত, অশ্লীল, নোংরা ও বেহায়াপনা কার্যাদি থেকে বারণ করা।
দায়ী দাওয়াতের বিষয় মাদউদের অবস্থার আলোকে নির্ধারণ করবেন: কারণ যে বিষয় কোন এক গ্রুপের জন্য প্রযোজ্য তা অন্য গ্রুপের জন্য উপযুক্ত নয়। আর বিষয় উপস্থাপনার সময় নিম্নের ব্যাপারগুলো লক্ষ্য রাখতে হবে।
১. প্রতিটি জিনিসের আসল হলো মুবাহ তথা বৈধ ও জায়েয।
২. প্রতিটি ইবাদতের মূল হলো নিষেধ এবং কুরআন ও সহীহ বিশুদ্ধ হাদীসের দলিল প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত বিরত থাকা।
৩. একত্রে অনেকগুলো উপকার থাকলে সবচেয়ে যার মধ্যে বেশি উপকার তা প্রথমে করা।
৪. একই সাথে অনেকগুলো ক্ষতিকর জিনিস সামনে আসলে তার মধ্যে সবচেয়ে কম ক্ষতিকর জিনিসটিকে প্রাধান্য দেয়া।
৫. বিপর্যয় ও ক্ষতিকর জিনিসকে দূরীকরণ সর্বদা কোন উপকার অর্জনের পূর্বে রাখতে হবে।