ইমেইলে পাঠাতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন
security code
স্বালাতে মুবাশ্‌শির জানাযা আবদুল হামীদ ফাইযী
জানাযার নামায

মুসলিম মাইয়্যেতের উপর জানাযার নামায পড়া ফর্যে কিফায়াহ (অর্থাৎ কিছু লোক তা পালন করলে বাকী লোকের কোন পাপ হয়না এবং কেউই পালন না করলে সকলেই পাপী হয়। কারণ, এ নামায পড়তে আল্লাহর নবী (ﷺ) আদেশ করেছেন। যায়দ বিন খালেদ জুহানী বলেন, ‘খাইবারের দিন নবী (সা.)-এর এক সাহাবী মারা গেলে সকলে তাঁকে খবর দিলেন। কিন্তু তিনি বললেন, “তোমাদের সঙ্গীর জানাযা তোমরা পড়।” এ কথা শুনে সকলের চেহারা বিবর্ণ হয়ে গেল। কারণ বর্ণনা করে তিনি বললেন, “তোমাদের ঐ সাথী আল্লাহর পথে খেয়ানত করে মারা গেছে-----।

অবশ্য দুই প্রকার মাইয়্যেতের জানাযা এ নির্দেশের আওতাভুক্ত নয়। অর্থাৎ তাদের জানাযা পড়া ওয়াজেব নয়; তবে বিধেয় বটে। প্রথম হল, নাবালক শিশু। কারণ, নবী (সা.) তার শিশুপুত্র ইব্রাহীম এর জানাযা পড়েন নি। মা আয়েশা (রা.) বলেন, নবী (সা.)-এর পুত্র ১৮ মাস বয়সে মারা যায়। তিনি তার জানাযা পড়েন নি।

আর দ্বিতীয় হল শহীদ। কেননা, নবী (ﷺ) উহুদ প্রভৃতি যুদ্ধের শহীদদের জানাযা পড়েন নি বলে বর্ণনা পাওয়া যায়। অবশ্য তাঁর নামায পড়াটা উক্ত ধরনের মাইয়্যেতের অবিধেয় হওয়ার নির্দেশ দেয় না।

১. আবু দাউদ ২৩৩৫ নং, নাসাঈ ২৯৩৩ নং, ইবনে মাজাহ ২৮৩৮ নং, আহমাদ ২০৮৬ নং, প্রমুখ।
২. আবু দাউদ ২৭৭২ নং, আহমাদ ২৫১০১ নং, সহীহ আবু দাউদ ২৭২৯ নং