ইমেইলে পাঠাতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন
security code
ফির্‌কাহ নাজিয়া শির্ক আসগর ও তার প্রকারভেদ আবদুল হামীদ ফাইযী
শির্ক আসগর ও তার প্রকারভেদ

প্রত্যেক সেই মাধ্যম ও উপায় (কর্ম) যা শির্কে আকবরের কাছে পৌছে দেয়। আর যা ইবাদতের মর্যাদায় না পৌছে তা শির্কে আসগর (ছোট শির্ক)। এ ধরনের শির্ককারী ইসলাম হতে বহির্ভূত হয়ে যায় না। তবে তা কাবীরাহ গোনাহ (মহাপাপ) অবশ্যই বটে। যেমনঃ

১ কিঞ্চিৎ রিয়া (লোক প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে ইবাদত করা) ও সৃষ্টির দৃষ্টি ও মন আকর্ষণের উদ্দেশ্যে ইবাদতকে সুশোভিত করা। যেমন এক মুসলিম আল্লাহর উদ্দেশ্যে সৎকর্ম করে, আল্লাহর জন্য নামায পড়ে। কিন্তু লোকের সামনে তাদের প্রশংসা লুটার উদ্দেশ্যে তার সৎকর্ম ও নামাযকে সুন্দররূপে সুশোভিত করে - এরূপ কর্ম ছোট শির্ক। আল্লাহ তাআলা বলেন,

فَمَن كَانَ يَرْجُو لِقَاءَ رَبِّهِ فَلْيَعْمَلْ عَمَلًا صَالِحًا وَلَا يُشْرِكْ بِعِبَادَةِ رَبِّهِ أَحَدًا

অর্থাৎ, সুতরাং যে তার প্রতিপালকের সাক্ষাৎ কামনা করে সে যেন সৎকর্ম। করে এবং তার প্রভুর ইবাদতে কাউকে শরীক না করে। (সূরা কাহফ ১১০

মহানবী (সা.) বলেন, “আমি তোমাদের জন্য যা অধিক ভয় করি, তা হল ছোট শির্ক; রিয়া। আল্লাহ কিয়ামতে যখন সকল মানুষকে তাদের নিজ নিজ আমলের প্রতিদান দেবেন তখন তিনি বলবেন, তাদের নিকট যাও যাদেরকে প্রদর্শন করে তোমরা কর্ম করতে অতঃপর দেখ, তাদের নিকট কোন প্রতিদান পাও কি না!’ (সহীহ মুসনাদে আহমদ)

২। আল্লাহ বতীত অন্য কারো নামে কসম (শপথ, হলফ বা কিরে) করা। নবী (সা.) ঐ বলেন, “যে ব্যক্তি গায়রুল্লাহর নামে কসম করে সে শির্ক করে।” (সহীহ মুসনাদে আহমদ)

আবার গায়রুল্লাহর নামে শপথ করা শির্কে আকবরও হতে পারে যদি শপথকারী এই বিশ্বাস রাখে যে, ওলী (বা যার নামে শপথ করেছে তার) এমন ইচ্ছাশক্তি আছে যে, তাঁর নামে মিথ্যা শপথ করলে তিনি তার ক্ষতি করবেন।

৩৷ শির্ক খাফী (অস্পষ্ট বা গুপ্ত শির্ক) আর তা ইবনে আব্বাসের ব্যাখ্যানুযায়ী কোন ব্যক্তির তার সঙ্গীকে ‘আল্লাহ ও আপনি যা চেয়েছেন (তাই হয়েছে)’ বলা।

তদনুরূপ যদি আল্লাহ এবং অমুক না থাকত (তাহলে আমার এই হত) বলা। অবশ্য যদি আল্লাহ তারপর অমুক না থাকত (তাহলে আমার এই হত) বলা বৈধ।

রসূল (সা.) বলেন, “তোমরা আল্লাহ এবং অমুক যা চেয়েছে’ বলো না বরং ‘আল্লাহ তারপর অমুক যা চেয়েছে’ বল।” (সহীহ মুসনাদে আহমদ প্রভৃতি)