ইমেইলে পাঠাতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন
security code
তাওহীদ পন্থীদের নয়নমণি ৩৫তম অধ্যায় - রিয়ার ব্যাপারে যা বর্ণিত হয়েছে (باب ماجاء في الريا) শাইখ আব্দুর রাহমান বিন হাসান বিন মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহাব (রহঃ)
রিয়ার ব্যাপারে যা বর্ণিত হয়েছে

আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

قُلْ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ مِثْلُكُمْ يُوحَى إِلَيَّ أَنَّمَا إِلَهُكُمْ إِلَهٌ وَاحِدٌ فَمَنْ كَانَ يَرْجُو لِقَاءَ رَبِّهِ فَلْيَعْمَلْ عَمَلًا صَالِحًا وَلَا يُشْرِكْ بِعِبَادَةِ رَبِّهِ أَحَدًا

‘‘বলোঃ আমি তোমাদের মতই একজন মানুষ। আমার নিকট অহী পাঠানো হয় এই মর্মে যে, তোমাদের ইলাহ মাত্র এক। অতএব যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সাক্ষাত কামনা করে সে যেন সৎ আমল করে এবং তার পালনকর্তার এবাদতে কাউকে শরীক না করে’’। (সূরা কাহাফঃ ১১০)

ব্যাখ্যাঃ রিয়া তথা মানুষকে দেখানোর জন্য আমল করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা এসেছে এবং তা থেকে সতর্ক করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ হে নবী! তুমি বলো, আমি তোমাদের মতই একজন মানুষ। অর্থাৎ রুবুবীয়াতে ও উলুহীয়াহতে আমার কোন অংশ নেই। বরং রুবুবীয়াত ও উলুহীয়াত শুধু আল্লাহর জন্যই। এতে তাঁর কোনো শরীক নেই। অহীর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা আমাকে এ কথাই বলেছেন। فَمَنْ كَانَ يَرْجُو لِقَاءَ رَبِّهِ ‘‘যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সাক্ষাত কামনা করে ও তার প্রভুকে ভয় করে, সে যেন সৎ আমল করে এবং তার প্রভুর এবাদতে যেন অন্য কাউকে শরীক না করে’’।

শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমীয়া (রঃ) বলেনঃ আয়াতে উল্লেখিত لقاء (সাক্ষাৎ) শব্দের তাফসীর পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী কালের একদল আলেম এমন বাক্যের মাধ্যমে করেছেন, যাতে বুঝা যায় চোখের দেখাও সাক্ষাতের মধ্যে শামিল। তারা বলেনঃ কিয়ামতের দিন আল্লাহর সাক্ষাতের মধ্যে আল্লাহকে দেখাও অন্তর্ভূক্ত। তারা এর উপর অনেক দলীলও বর্ণনা করেছেন।

ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রঃ) আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেনঃ আল্লাহ যেমন একাই মাবুদ, তিনি ব্যতীত আর কোনো সত্য মাবুদ নেই। তাই এবাদত কেবল তাঁর জন্যই হওয়া উচিত। এবাদতে যেন তাঁর কোনো শরীক না বানানো হয়। মাবুদ হওয়ার ক্ষেত্রে যেমন তিনি একক ও অদ্বিতীয়, তাই এবাদতের মাধ্যমে তাঁকে একক করা আবশ্যক। উহাই সৎ আমল বলে গণ্য হবে, যা রিয়া থেকে মুক্ত এবং যা সুন্নাত মুতাবেক। শাইখুল ইসলামের কথা এখানেই শেষ।

সুতরাং জানা গেল যে, উক্ত আয়াতে সকল প্রকার এবং কমবেশী সকল শির্ক থেকেই নিষেধ করা হয়েছে।

আবু হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে মারফু হাদীছে বর্ণিত আছে, আল্লাহ তাআলা বলেন

«أَنَا أَغْنَى الشُّرَكَاءِ عَنِ الشِّرْكِ مَنْ عَمِلَ عَمَلاً أَشْرَكَ فِيهِ مَعِى غَيْرِى تَرَكْتُهُ وَشِرْكَهُ»

‘‘যে সমস্ত মাবুদকে আমার সাথে শরীক বলে ধারণা করা হয়, আমি তাদের সকলের শির্ক থেকে অধিক মুক্ত। যে ব্যক্তি কোনো আমল করে এবং ঐ আমলে আমার সাথে অন্য কাউকে শরীক করে, আমি ঐ ব্যক্তিকে এবং তার শির্ককে প্রত্যাখ্যান করি’’।[1]

ব্যাখ্যাঃ আমার সাথে অন্য কাউকে শরীক করে অর্থাৎ আমলের মাধ্যমে আমাকে বাদ দিয়ে অন্য কোন সৃষ্টির সন্তুষ্টি কামনা করে, আমি তাকে তার শির্কের সাথেই ছেড়ে দেই।

ইমাম তিবী (রঃ) বলেনঃ تركته এর মধ্যে যেই যমীরে মানসুব রয়েছে, তা আমলের দিকে প্রত্যাবর্তন করেছে।

ইমাম ইবনে রজব (রঃ) বলেনঃ আল্লাহ ছাড়া অন্যের জন্য কৃত আমল কয়েক প্রকার হতে পারে।

১) আমল কখনো শুধু মানুষকে দেখানোর জন্যই হয়ে থাকে। যেমন মুনাফেকদের আমল। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

إِنَّ الْمُنَافِقِينَ يُخَادِعُونَ اللَّهَ وَهُوَ خَادِعُهُمْ وَإِذَا قَامُوا إِلَى الصَّلَاةِ قَامُوا كُسَالَى يُرَاءُونَ النَّاسَ وَلَا يَذْكُرُونَ اللَّهَ إِلَّا قَلِيلًا

‘‘অবশ্যই মুনাফেকরা ধোঁকাবাজি করছে আল্লাহ্‌র সাথে, অথচ আল্লাহই তাদেরকে ধোঁকার মধ্যে ফেলে রেখেছেন। তারা যখন নামাযে দাঁড়ায় তখন একান্ত শিথিলভাবে লোক দেখানোর জন্যই দাঁড়ায়। আর তারা আল্লাহ্কে অল্পই স্মরণ করে’’। (সূরা নিসাঃ ১৪২) এই রিয়া ফরয নামায এবং ফরয রোযার ক্ষেত্রে যে কোন মুমিনের পক্ষ হতেই প্রকাশ হতে পারেনা। তবে হ্যাঁ, ফরয যাকাত, ফরয হজ্জ কিংবা অনুরূপ অন্যান্য বাহ্যিক এমন আমলের মধ্যে হতে পারে, যার উপকার অন্যের প্রতি পৌঁছে থাকে। কেননা এসব আমলে ইখলাস ধরে রাখা মারাত্মক কঠিন।

এই আমল বাতিল হওয়ার ব্যাপারে কোনো মুসলিমই সন্দেহ করতে পারেনা। এই আমলকারী আল্লাহর ক্রোধ ও শাস্তির হকদার।

২) কখনো আমল আল্লাহর জন্য হয়। তবে তাতে রিয়া মিশ্রিত হয়ে যায়। আমলের শুরু থেকেই যদি শির্ক প্রবেশ করে, তাহলে বিশুদ্ধ দলীলসমূহ প্রমাণ করে যে, সেই আমলও বাতিল। ইমাম ইবনে রজব এ বিষয়ে কয়েকটি হাদীছ উল্লেখ করেছেন। তার মধ্যে অধ্যায়ে বর্ণিত হাদীছটি অন্যতম। শাদ্দাদ বিন আওস রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে মারফু সূত্রে বর্ণিত হয়েছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

«مَنْ صَلَّى يُرَائِي فَقَدْ أَشْرَكَ وَمَنْ صَامَ يُرَائِي فَقَدْ أَشْرَكَ وَمَنْ تَصَدَّقَ يُرَائِي فَقَدْ أَشْرَكَ وَإِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ يَقُولُ أَنَا خَيْرُ قَسِيمٍ لِمَنْ أَشْرَكَ بِي مَنْ أَشْرَكَ بِي شَيْئًا فَإِنَّ حَشْدَهُ عَمَلَهُ قَلِيلَهُ وَكَثِيرَهُ لِشَرِيكِهِ الَّذِي أَشْرَكَهُ بِهِ وَأَنَا عَنْهُ غَنِيٌّ»

‘‘যে ব্যক্তি মানুষকে দেখানোর জন্য নামায আদায় করল সে শির্ক করল, যে ব্যক্তি কাউকে দেখানোর জন্য রোযা রাখল সে শির্ক করল এবং যে ব্যক্তি দেখানো ও শুনানোর জন্য সাদকাহ করল সেও শির্ক করল। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ যারা আমার সাথে শরীক স্থাপন করে, আমি তাদের মধ্যে সর্বোত্তম প্রতিশোধ গ্রহণকারী। যে ব্যক্তি আমার সাথে অন্য কিছুকে শরীক করে, চাই তার আমল কম হোক বা বেশী হোক- তার সমস্ত আমল তার ঐ শরীকের জন্যই হবে, যাকে সে আমার সাথে শরীক বানিয়েছে। আমি তার থেকে সম্পূর্ণ অমূখাপেক্ষী।[2]

যে ব্যক্তি জিহাদ করার বিনিময়ে পারিশ্রমিক গ্রহণ করে, তার ব্যাপারে ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল (রঃ) বলেনঃ সে যদি শুধু পয়সা অর্জনের নিয়তেই না বের হয়ে থাকে, তাহলে কোনো ক্ষতি নেই। এ অবস্থায় সে দ্বীন কায়েমের জন্যই বের হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হবে। এখন যদি তাকে কিছু দেয়া হয়, তাহলে সে তা গ্রহণ করতে পারে।

৩) অতঃপর ইমাম ইবনে রজব (রঃ) বলেনঃ যখন আমল মূলত আল্লাহর জন্য শুরু করা হয়, অতঃপর তাতে রিয়া প্রবেশ করে, এমতাবস্থায় রিয়া যদি অস্থায়ী হয় এবং বান্দা তার মন ও মগজ হতে তাকে বিতাড়িত করে দেয়, সকলের ঐক্যমতে তাতেও কোন ক্ষতি হবেনা। কিন্তু এই রিয়া যদি তার সাথে অব্যাহত থাকে, তাহলে তার আমল বাতিল হবে কি না এবং তার সেই আমলের বিনিময় দেয়া হবে কিনা? সে ব্যাপারে পূর্ব যামানার আলেমদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল ও ইবনে জারীর (রঃ) এটি উল্লেখ করেছেন এবং তারা আমল বাতিল না হওয়াকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। প্রথমে যেহেতু সে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের নিয়তে আমল শুরু করেছিল, তাই সে নিয়তের বিনিময়ে বদলাও পাবে। হাসান বসরী এবং অন্যান্য আলেমদের থেকেও অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।[3]

আবু সাঈদ রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে অন্য এক মারফু হাদীছে বর্ণিত আছে,

«أَلاَ أُخْبِرُكُمْ بِمَا هُوَ أَخْوَفُ عَلَيْكُمْ عِنْدِى مِنَ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ قَالَ قالوا بَلَى قَالَ الشِّرْكُ الْخَفِىُّ أَنْ يَقُومَ الرَّجُلُ فَيُصَلِّى فَيُزَيِّنُ صَلاَتَهُ لِمَا يَرَى مِنْ نَظَرِ رَجُلٍ»

‘‘আমি কি তোমাদের এমন বিষয়ে সংবাদ দেবনা, যে বিষয়টি আমার কাছে মসীহ দাজ্জালের চেয়েও ভয়ঙ্কর?’’ বর্ণনাকারী বলেনঃ সাহাবায়ে কেরাম বললেনঃ হ্যাঁ। তিনি বললেন, তা হচ্ছে শির্কে খফী’ বা গোপন শির্ক। এর উদাহরণ হচ্ছে একজন মানুষ নামাযে দাঁড়ায়। অতঃপর সে শুধু এ মনে করেই তার নামাযকে খুব সুন্দরভাবে আদায় করে যে, কোনো মানুষ তার নামায দেখছে’’।[4] ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল (রঃ) এই হাদীছ বর্ণনা করেছেন।

ব্যাখ্যাঃ রিয়াকে গোপন শির্ক বলার কারণ হচ্ছে, এটি অন্তরের আমল। অন্তরের আমল সম্পর্কে আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেউ জানেনা। কেননা রিয়াকারী বাহ্যিকভাবে দেখাতে চায় যে, তার আমল শুধু আল্লাহর জন্যই। অথচ তার অন্তরের ইচ্ছা অন্য অথবা আল্লাহ ছাড়া অন্যকে দেখানোর জন্যই নামাযকে সুন্দর করার মাধ্যমে সে আল্লাহর সাথে অন্যকে শরীক স্থাপন করেছে।

আমল বিশুদ্ধ ও কবুল হওয়ার জন্য ইখলাস পূর্বশর্ত। এ ব্যাপারে কোনো মতভেদ নেই। ইখলাস আমলের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থাকতে হবে। সেই সাথে আমল কবুল হওয়ার জন্য সুন্নাত মুতাবেক হওয়াও শর্ত।

আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম (রঃ) বলেনঃ ছোট শির্ক হচ্ছে সামান্য রিয়া, মানুষকে দেখানোর জন্য আমলকে সুন্দর করা এবং আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নামে শপথ করা। ছোট শির্কের আরও উদাহরণ হচ্ছে, যেমন কেউ বললঃ ((مَاشَاءَ اللَّهُ وَشِئْتَ তুমি যা চাও এবং আল্লাহ যা চান,(هذا من الله ومنك) এই অনুগ্রহ আল্লাহর পক্ষ হতে এবং আপনার পক্ষ হতে, (أنا بالله وبك) আমি আল্লাহর মদদে এবং তোমার মদদে বেঁচে আছি, (مالي إلا الله وأنت) আমার জন্য আল্লাহ এবং তুমি ব্যতীত অন্য কেউ নেই, ((أنا متوكل على الله وعليك আমি আল্লাহ্ এবং তোমার উপর ভরসা করছি এবং এ কথা বলা যে, আল্লাহ না থাকলে এবং তুমি না থাকলে এরূপ হতনা। এই কথাগুলো যে বলবে, তার অবস্থা ও আকীদাহ অনুপাতে বড় শির্কও হতে পারে।[5] এ অধ্যায় থেকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো জানা যায়ঃ

১) সূরা কাহাফের ১১০ নং আয়াতের তাফসীর জানা গেল। সেখান থেকে বুঝা যাচ্ছে আমলে পূর্ণ ইখলাস না থাকলে এবং আমল সুন্নাত মুতাবেক না হলে তা কবুল হবেনা।

২) নেক আমল প্রত্যাখ্যাত হওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে উক্ত নেক কাজ করতে গিয়ে আল্লাহ ছাড়াও অন্যকে খুশী করার নিয়ত করা।

৩) এহেন শির্ক মিশ্রিত নেক আমল প্রত্যাখ্যাত হওয়ার অনিবার্য কারণ হচ্ছে, আল্লাহ কারো প্রতি মুখাপেক্ষী না হওয়া। এ জন্য আল্লাহর সন্তুষ্টির নিয়তের সাথে অন্য নিয়ত মিশ্রিত কোনো আমলে তাঁর প্রয়োজন নেই।

৪) আরো একটি কারণ হচ্ছে, আল্লাহ তাআলার সাথে যাদেরকে শরীক করা হয়, তাদের সকলের চেয়ে আল্লাহ বহুগুণ উত্তম।

৫) রিয়ার ব্যাপারে সাহাবায়ে কেরামের উপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অন্তরে ভয় ও আশঙ্কা।

৬) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল­াম রিয়ার ব্যাখ্যা এভাবে দিয়েছেন যে, একজন মানুষ মূলত নামায আদায় করবে আল্লাহরই জন্য। তবে নামাযকে সুন্দরভাবে আদায় করবে শুধু এজন্য যে, সে মনে করে মানুষ তার নামায দেখছে।


[1] - সহীহ মুসলিম, অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি আমলে শির্ক করল।

[2] - মুসনাদে আহমাদ এবং অন্যান মুহাদ্দিছগণ এই হাদীছ বর্ণনা করেছেন। এই হাদীছের সনদ দুর্বল। কেননা এর সনদে রয়েছে শাহ্র বিন হাওশাব। ইমাম আলবানী (রঃ) এই হাদীছকে যঈফ বলেছেন। দেখুনঃ যঈফুত তারগীব ওয়াত তারহীব, হাদীছ নং-১৯।

[3] - পক্ষান্তরে অন্যান্য ইমামদের একদল তৃতীয় আরেকটি মত ব্যক্ত করেছেন। আর তা হচ্ছে যদি অর্ধেকের বেশী সময় পর্যন্ত রিয়া অব্যাহত থাকে, তবে উক্ত আমল বাতিল বলে গণ্য হবে; নচেৎ নয়।

[4] - হাদীছের সনদ দুর্বল। তবে হাদীছের অর্থের অনেক সমর্থক রয়েছে। এ কারণেই ইমাম আলবানী (রঃ) হাদীছকে হাসান বলেছেন। দেখুনঃ সহীহুত তারগীব ওয়াত তারহীব, হাদীছ নং- ৩০।

[5] - এতে وَ (এবং) অক্ষরের মাধ্যমে বান্দা ও আল্লাহর ইচ্ছা ও কাজকে সমান করে দেয়া হয়। তাই وَ (এবং) অক্ষর পরিহার করে ثُمَّ (অতঃপর) শব্দটি প্রয়োগ করতে হবে। অর্থাৎ এভাবে বলতে হবে যে, আল্লাহ্ যা চান অতঃপর সে যা চায়। এভাবে বললে শির্ক হবেনা। তখন বান্দার ইচ্ছা আল্লাহর ইচ্ছার অধীন ও অনুগামী বলে গণ্য হবে। (আল্লাহই সর্বাধিক জানেন)