ইমেইলে পাঠাতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন
security code
কিতাবুল মোকাদ্দস, ইঞ্জিল শরীফ ও ঈসায়ী ধর্ম ৯. হে কিতাবীগণ, তাওরাত ও ইঞ্জিল কায়েম করুন ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহ.)
৯. ১. ২. ইঞ্জিলের একটি ভবিষ্যদ্বাণী

“তথাপি আমি তোমাদিগকে সত্য বলিতেছি, আমার যাওয়া তোমাদের পক্ষে ভাল, কারণ আমি না গেলে, সেই সহায় (ফারাক্লীত/ the Comforter/the Counselor) তোমাদের নিকটে আসিবেন না[1]; কিনতু আমি যদি যাই, তবে তোমাদের নিকটে তাঁহাকে পাঠাইয়া দিব। .... পরন্তু তিনি, সত্যের আত্মা (the Spirit of truth), যখন আসিবেন, তখন পথ দেখাইয়া তোমাদিগকে সমস্ত সত্যে লইয়া যাইবেন; কারণ তিনি আপনা হইতে কিছু বলিবেন না, কিনতু যাহা যাহা শুনেন, তাহাই বলিবেন, এবং আগামী ঘটনাও তোমাদিগকে জানাইবেন।...” (যোহন ১৬/৭-১৩)

এখানে যীশু সুস্পষ্টত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আগমনের কথা জানালেন। খৃস্টানগণ দাবি করেন যে, এখানে ‘পাক রূহের’ কথা বলা হয়েছে। অথচ আমরা প্রচলিত ইঞ্জিলে দেখছি যে, যীশুর পৃথিবীতে থাকা অবস্থাতেই পাক রুহ বারবার এসেছেন। কাজেই যীশু না গেলে তিনি আসবেন না কথাটি কখনোই পাক রুহের জন্য প্রযোজ্য নয়। আর খৃস্টানদের বিশ্বাসে পাক রুহ তো নিজেই আল্লাহ; কাজেই ‘তিনি নিজের থেকে কিছুই বলবেন না; যা শুনবেন তা-ই বলবেন’ বলার কোনোই অর্থ নেই। উপরন্তু যীশু বলেছেন যে, তার উপাধি হবে সত্যের আত্মা অর্থাৎ আল-আমীন ও আস-সাদিক। এজন্য এ ভবিষ্যদ্বাণী নিঃসন্দেহে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে। বার্নাবাস লিখিত ইঞ্জিলে তিনি বারংবার মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নাম উল্লেখ করেছেন। (বার্নাবাসের ইঞ্জিল (The Gospel of Barnabas) ১১২, ১৩৬, ১৬৩ ও ২২০ অধ্যায়।)প্রচলিত কিতাবুল মোকাদ্দসের মধ্যে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে এরূপ আরো অনেক সুস্পষ্ট ভবিষ্যদ্বাণী এখনো বিদ্যমান। ইয়াহূদী-খৃস্টানগণ যদি এগুলি প্রতিষ্ঠা করতেন তবে তাঁরা এবং মানব সভ্যতা রক্ষা পেত।

>
[1] এ শব্দটি পরবর্তীতে অনুবাদ করে বলা হয়েছে। পূর্ববর্তী কোনো কোনো আরবী সংস্করণে এর পরিবর্তে ‘মাদমাদ’ শব্দটি লেখা হয়েছে। তা মুহাম্মাদ শব্দের বেশি কাছাকাছি শব্দ। তারা সেটাকে তখনি বিকৃত করেছিল। তারপর যখন তারা বুঝতে পারল, এটা দ্বারা অচিরেই তাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ উপস্থাপিত হবে যে এটা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভবিষ্যদ্বাণী, তখন তারা শব্দটিকে বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করে নেয়। এ ব্যাপারে আরও জানার জন্য দেখুন, ড. যিয়াউর রহমান আল-আ‘যামী প্রণীত দিরাসাতুন ফিল ইয়াহূদিয়্যাহ ওয়াল মাসীহীয়্যা, ও ড. সাউদ ইবন আবদুল আযীয আল-খালাফ প্রণীত দিরাসাতুন ফিল ইয়াহূদিয়্যাহ ওয়ান নাসরানিয়্যাহ [সম্পাদক]