প্রশ্ন: যখন তোমাকে জিজ্ঞেস করা হয়, যাদু শেখা বা সে অনুযায়ী আমল করার হুকুম কি?

উত্তর: বল, যাদু শেখা ও শেখানো জায়েয নয়। আর যাদু করা কুফরি। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

وَٱتَّبَعُواْ مَا تَتۡلُواْ ٱلشَّيَٰطِينُ عَلَىٰ مُلۡكِ سُلَيۡمَٰنَۖ وَمَا كَفَرَ سُلَيۡمَٰنُ وَلَٰكِنَّ ٱلشَّيَٰطِينَ كَفَرُواْ يُعَلِّمُونَ ٱلنَّاسَ ٱلسِّحۡرَ وَمَآ أُنزِلَ عَلَى ٱلۡمَلَكَيۡنِ بِبَابِلَ هَٰرُوتَ وَمَٰرُوتَۚ وَمَا يُعَلِّمَانِ مِنۡ أَحَدٍ حَتَّىٰ يَقُولَآ إِنَّمَا نَحۡنُ فِتۡنَةٞ فَلَا تَكۡفُرۡۖ فَيَتَعَلَّمُونَ مِنۡهُمَا مَا يُفَرِّقُونَ بِهِۦ بَيۡنَ ٱلۡمَرۡءِ وَزَوۡجِهِۦۚ وَمَا هُم بِضَآرِّينَ بِهِۦ مِنۡ أَحَدٍ إِلَّا بِإِذۡنِ ٱللَّهِۚ وَيَتَعَلَّمُونَ مَا يَضُرُّهُمۡ وَلَا يَنفَعُهُمۡۚ وَلَقَدۡ عَلِمُواْ لَمَنِ ٱشۡتَرَىٰهُ مَا لَهُۥ فِي ٱلۡأٓخِرَةِ مِنۡ خَلَٰقٖۚ [البقرة: ١٠٢]

“তারা অনুসরণ করেছে, যা শয়তানরা সুলাইমানের রাজত্বে পাঠ করত। আর সুলাইমান কুফরি করেননি; বরং শয়তানরাই কুফরি করেছে। তারা মানুষকে যাদু শেখাত এবং যা নাযিল করা হয়েছিল বাবেলের ফিরিশতাদ্বয় হারূত ও মারূতের প্রতি। তারা কাউকে শেখাত না যে পর্যন্ত না বলত, আমরা পরীক্ষা স্বরূপ মাত্র। সুতরাং তোমরা কুফরি করো না। এরপরও তারা এদের কাছ থেকে তাই শিখত, যার মাধ্যমে তারা পুরুষ ও তার স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটাত। অথচ তারা আল্লাহর অনুমতি ছাড়া এ দ্বারা কারো ক্ষতি করতে পারত না । আর তারা শিখত যা তাদের ক্ষতি করত, তাদের উপকার করত না এবং তারা অবশ্যই জানত, যে তা ক্রয় করবে, আখিরাতে তার কোন অংশ নেই”। [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ১০২] অনুরূপ তার বাণী: يُؤۡمِنُونَ بِٱلۡجِبۡتِ وَٱلطَّٰغُوتِ [النساء : ٥١] “তারা যিবত ও তাগুতের প্রতি ঈমান আনে”। [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৫১]

জিবতের ব্যাখ্যায় কেউ কেউ বলেছেন, উহা হলো যাদু। আল্লাহ তাগুতের সাথে যাদুকে মিলিয়ে উল্লেখ করেছেন। তাই তাগুতের প্রতি ঈমান আনয়ন করা যেমন কুফরি তেমনি যাদু অনুযায়ী আমল করাও কুফরি। তাই তাগুতকে অস্বীকার করার দাবি হচ্ছে যাদুর অসারতায় বিশ্বাস করা এবং যাদু একটি নিকৃষ্ট ও দীন-দুনিয়া বিধ্বংসী বিদ্যা বলে জানা, যা থেকে দূরে থাকা এবং যাদু ও যাদুকর থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করা ওয়াজিব।

হাদীসে এসেছে, “যে ঘিরা বাঁধল অতঃপর তাতে ফুঁ দিল সে যাদু করল, আর যে যাদু করল সে শির্ক করল”। এটি নাসায়ী ও বাযযার বর্ণনা করেছেন, “যে কুলক্ষণ গ্রহণ করল ও যার জন্যে তা করা হল অথবা যে গণনা করল অথবা যার জন্যে গণনা করা হল অথবা যে যাদু করল অথবা যার জন্যে যাদু করা হল সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়”। যাদুকরের শাস্তি হচ্ছে হত্যা করা। উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু তার গভর্নরদের লিখে পাঠিয়েছেন, “প্রত্যেক যাদুকর পুরুষ ও নারীকে হত্যা কর”। (সহীহ বুখারী) জুনদুব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যাদুকরের শাস্তি হচ্ছে তলোয়ারের আঘাতে হত্যা করা”। (তিরমিযী)। হাফসা রাদিয়াল্লাহু আনহা তার এক দাসীকে হত্যা করেছেন, যে তাকে যাদু করেছিল।