ফায়েদা: তুমি তোমার নিজের কতটুকু মালিক?

বান্দা তার নিজের ব্যাপারে কতটুকুই বা মালিক? তার কপাল তো আল্লাহর হাতে, তার নফসও আল্লাহর হাতে, তার কলবও আল্লাহ দু আঙ্গুলের মাঝে, তিনি যেভাবে খুশি সেভাবে পরিবর্তন করেন। তার জীবন, মরণ, সুখ-সৌভাগ্য, দুঃখ-বেদনা, চলা-ফেরা, স্থিরতা, কথা-বার্তা, কাজ-কর্ম সবকিছুই তাঁর হাতে, তাঁর অনুমতিক্রমে ও ইচ্ছায় পরিচালিত হয়। তাঁর অনুমতি ব্যতীত একটি বারও সে নড়াচড়া করতে সক্ষম হয় না, তাঁর ইচ্ছা ব্যতীত সে কোনো কাজই করতে পারে না?!

সে যদি নিজেকে নিজের কাছে সমর্পণ করে তাহলে সে নিজের অক্ষমতা, বাড়াবাড়ি, গুনাহ ও ভুল-ত্রুটির দিকে অর্পণ করবে; আর যদি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো কাছে নিজেকে অর্পণ করে তাহলে সে এমন একজনের কাছে নিজেকে অর্পণ করল যে কোনো উপকার, ক্ষতি, জন্ম, মৃত্যু, জীবন ও পুনরুত্থান কিছুই করতে পারে না। আবার তাকে যদি ছেড়ে দেওয়া হয় তাহলে তার শত্রু তার ওপর বিজয়ী হবে এবং তাকে বন্দী করে ফেলবে।

সুতরাং বান্দা আল্লাহর থেকে এক পলকের জন্যও অমুখাপেক্ষী নয় (সর্বদাই আল্লাহর মুখাপেক্ষী); বরং বাহ্যিক ও গোপন সর্বাবস্থায় সর্বক্ষণে তাঁর কাছে নিরুপায়, তাঁর কাছে পূর্ণ অভাবী ও মুখাপেক্ষী। এতদ্বসত্ত্বেও সে তাঁর থেকে পশ্চাদগামী, বিমুখ। সর্বাবস্থায় ও সর্বকাজে তাঁর কাছে প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও তাঁর অবাধ্যতা করে তাঁর ক্রোধে পতিত হচ্ছে। সে তাঁর যিকির ভুলে গেছে, তাঁকে অবহেলা করছে; অথচ তাকে তাঁর কাছেই ফিরে যেতে হবে এবং তাঁর সম্মুখেই হিসেবের জন্য দাঁড়াতে হবে!!