পরিচ্ছেদ: অনুতপ্ত হওয়ার আগেই অনুতপ্ত হও

তোমার নিজকে আজই ক্রয় করে নাও, বাজার বসেছে, মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে, পণ্যসামগ্রী খুবই সস্তা। এ বাজারে ও এর পণ্য-সামগ্রিতে এমন একদিন আসবে যখন তুমি অল্প বা বেশি কিছুই পাবে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿ذَٰلِكَ يَوۡمُ ٱلتَّغَابُنِ٩﴾ [التغابن : ٩]

“ঐ দিনই হচ্ছে লাভ-ক্ষতির দিন।” [সূরা আত-তাগাবুন, আয়াত: ৯]

আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেছেন,

﴿وَيَوۡمَ يَعَضُّ ٱلظَّالِمُ عَلَىٰ يَدَيۡهِ٢٧﴾ [الفرقان: ٢٧]

“আর সেদিন যালিম নিজের হাত দু’টো কামড়াবে।” [সূরা আল-ফুরকান, আয়াত: ২৭]

কবি বলেছেন,

তুমি যদি তাকওয়ার পাথেয় সংগ্রহ না করে পরপারে যাত্রা করো, দেখবে হাশরের দিনে অন্যরা পাথেয় সংগ্রহ করে সেদিন উপস্থিত হয়েছে।।

তখন তুমি অনুতপ্ত হবে কেনো তুমি তাদের মতো হলে না, তারা যেভাবে রসদ-সামগ্রী নিয়ে এসেছে কেনো তুমি সেসব রসদ নিয়ে এলে না।।

ইখলাস ও রাসূল সাল্লাল্লাহু ‌‌‌‌‌আলাইহিস সালামের অনুসরণ ব্যতীত আমল হলো সে মুসাফিরের কর্মের ন্যায়, যিনি মাটি দ্বারা থলে ভর্তি করে অযথা ভারী করে বহন করছে যা তার কোনো উপকারে আসে না।

যখন তুমি অন্তরে দুনিয়ার দুশ্চিন্তা ও এর বোঝা ভর্তি করে রাখবে আর এর আসল খাদ্য ও জীবন (কুরআন তিলাওয়াত ও যিকির ইত্যাদি) প্রদান করার ব্যাপারে অলসতা করবে, তখন তোমার উদাহরণ সে মুসাফিরের ন্যায় যিনি তার বাহনের পশুর পিঠে এর সাধ্যাতীত বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে এবং তাকে খাদ্য-পানীয়ও দিচ্ছে না, তাহলে অতি দ্রুতই সে দেখবে যে, তার বাহন ঠায় দাঁড়িয়ে গেছে।

কবি বলেছেন,

বিক্ষিপ্ত সংকল্পের আধিকারী ব্যক্তি তার জীবন দিশেহারায় ব্যয় করে, তার নেই কোনো সফলতা, নেই কোনো ব্যর্থতা।