তেমনিভাবে সমাজের যুবক-যুবতীদের মধ্যে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পথ ও পন্থাকে সহজসাধ্য করবে হবে এবং যুবক-যুবতীদেরকে বিবাহ বন্ধন ও পরিবার গঠনের প্রতি উৎসাহিত করতে হবে। তাদের জন্য সঠিক পরিবার গঠনের উপযোগী বিশেষ সভা সেমিনার আলোচনা পর্যালোচনার ব্যবস্থা করতে হবে।

তেমনিভাবে পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং বিশেষ করে যুবক যুবতীদেরকে সঠিকভাবে সন্তান উৎপাদন, লালন-পালন, তা‘লীম-তরবিয়তের বিষয়াবলী সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। তাদের সে বিষয়াবলীর প্রতি সচেতন করে তুলতে হবে। যুবক-যুবতী, পরিবার এবং শিশুদের জন্য বিশেষ বিশেষ বই পুস্তক ইত্যাদি রচনা করতে হবে। তাদের সার্বিক বিষয়ের সকল সমস্যার কারণ নির্ণয় করে সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে হবে।

এখানে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে যে, সাধারণত শিশুদের আত্মিক মানসিক ও জৈবিক দিকগুলো অনুধাবন না করে, তাদের বয়সের স্তর অনুযায়ী তা‘লীম-তরবিয়তের ব্যবস্থা না করে, শুধুমাত্র ভালোবাসা আর স্নেহ-মমতা দিলেই চলবে না। এতে তাদের আত্মিক ও মানসিক গঠন পূর্ণ হবে না। বরং কোনো কোনো সময় হিতে বিপরীত হতে পারে। এ অযৌক্তিক ভালোবাসাই সন্তানদের ক্ষতি সাধনের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাদেরকে ফিতনা-ফ্যাসাদ, পাপ-পঙ্কিলতা আর অপরাধ-প্রবণতার দিকে নিয়ে যেতে পারে। তাদের অনুভূতি ও চিন্তা-চেতনায় বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারে।

এজন্য সঠিক ফলপ্রসূ দয়া-অনুগ্রহ, স্নেহ-মমতা আর ভালোবাসা হচ্ছে সন্তান ও শিশুদের বয়সের স্তর অনুযায়ী তাদের আত্মিক মানসিক, জৈবিক এবং শারীরিক অবস্থা ও যোগ্যতা অনুযায়ী তাদের প্রতি দয়া অনুগ্রহ, স্নেহ-মমতা ও ভালোবাসা প্রদান করা। তাদের পর্যায়ক্রমে স্তরে স্তরে উন্নতি ও অগ্রগতি সাধনের চেষ্টা করা। তাহলেই তাদের প্রতি সঠিক ভালোবাসা হবে এবং সে ভালোবাসা ফলপ্রসূ হবে।