ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) আযান (الأذان) ডঃ মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব ১ টি

তারজী‘ (الترجيع) অর্থ ‘পুনরুক্তি’। আযানের মধ্যে দুই শাহাদাত কালেমাকে প্রথমে দু’বার করে মোট চারবার নিম্নস্বরে, পরে দু’বার করে মোট চারবার উচ্চৈঃস্বরে বলাকে তারজী‘ বা পুনরুক্তির আযান বলা হয়। তারজী‘ আযানের কালেমা সংখ্যা হবে মোট ১৫+৪=১৯টি। তারজী‘ আযানের হাদীছটি হযরত আবু মাহযূরাহ (রাঃ) কর্তৃক আবু দাঊদে বর্ণিত হয়েছে।[23] ছহীহ মুসলিমে একই মর্মে একই রাবী হ’তে বর্ণিত অপর একটি রেওয়ায়াতে আযানে প্রথম তাকবীরের সংখ্যা চার-এর স্থলে দুই বলা হয়েছে।[24] তখন কলেমার সংখ্যা দাঁড়াবে তারজীসহ ১৭টি। আবু মাহযূরাহ বর্ণিত সুনানের হাদীছে এক্বামতের কালেমা ‘ক্বাদ ক্বা-মাতিছ ছালা-হ’ সহ মোট ১৭টি বর্ণিত হয়েছে।[25] এটি মূলতঃ তা‘লীমের জন্য ছিল।[26]

এক্ষণে ছহীহ হাদীছ মতে আযানের পদ্ধতি দাঁড়ালো মোট তিনটি ও এক্বামতের পদ্ধতি দু’টি। (১) আব্দুল্লাহ বিন যায়েদ (রাঃ) বর্ণিত বেলালী আযান ও এক্বামত যথাক্রমে ১৫টি ও ১১টি বাক্য সম্বলিত, যা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর যুগে মক্কা-মদ্বীনাসহ সর্বত্র চালু ছিল। (২) আবু মাহযূরাহ (রাঃ) বর্ণিত তারজী‘ আযানের ১৯টি ও ১৭টি এবং এক্বামতের ১৭টি। সবগুলিই জায়েয। তবে দু’বার করে আযান ও একবার করে এক্বামত বিশিষ্ট বেলালী আযান ও এক্বামত-এর পদ্ধতিটি নিঃসন্দেহে অগ্রগণ্য, যা মুসলিম উম্মাহ কর্তৃক সকল যুগে সমাদৃত।

[23] . আবুদাঊদ হা/৫০০, ৫০৩; (‘আওনুল মা‘বূদ সহ) হা/৪৯৬, মিশকাত হা/৬৪৫।

[24] . মুসলিম হা/৩৭৯।

[25] . ‘আওনুল মা‘বূদ হা/৪৯৬-এর আলোচনা দ্রষ্টব্য, ২/১৭৬।

[26] . আহমাদ, তিরমিযী, আবুদাঊদ প্রভৃতি, মিশকাত হা/৬৪৪।