ব্যাখ্যা: জাহিলী সমস্যা হচ্ছে তাওরাত, ইনজিল, যাবুর ও কুরআনে আল্লাহ তা‘আলা তার রসূলগণের উপর যে আয়াত নাযিল করেছেন তা এবং অন্যান্য আসমানী কিতাব অস্বীকার করা। যারা এরূপ করবে, তাদের ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা ভীতি প্রদর্শন করে বলেন,

(إِنَّ الَّذِينَ كَذَّبُوا بِآياتِنَا وَاسْتَكْبَرُوا عَنْهَا لا تُفَتَّحُ لَهُمْ أَبْوَابُ السَّمَاءِ) [الأعراف: 40]

নিশ্চয় যারা আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছে এবং তার ব্যাপারে অহঙ্কার করেছে, তাদের জন্য আসমানের দরজাসমূহ খোলা হবে না (সূরা আরাফ ৭ : ৪০)।

(وَالَّذِينَ كَفَرُوا بِآياتِ اللَّهِ وَلِقَائِهِ أُولَئِكَ يَئِسُوا مِنْ رَحْمَتِي) [العنكبوت: 23]

আর যারা আল্লাহর আয়াতসমূহ ও তাঁর সাক্ষাৎ অস্বীকার করে তারা আমার রহমত হতে হতাশ হয় (সূরা আনকাবূত ২৯:২৩)।

বিভিন্ন আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, কাফিররা আল্লাহ তা‘আলার আয়াতকে অস্বীকার করে। আর বিকৃত বুদ্ধি ও মিথ্যা সন্দেহ-সংশয়ের কারণে তারা আল্লাহর আয়াতের বিরোধিতা করে।

রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে যে ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে, তা আল্লাহর নিদর্শন। কেননা তা আল্লাহর পক্ষ থেকে অহীয়ে গাইরে মাতলু। কিছু প্রবঞ্চিত মানুষ ও শিক্ষকের চিন্তা-চেতনা এবং বিবেক-বুদ্ধি অনুকূল না হলে তারা কতিপয় ছহীহ হাদীছকে মিথ্যা মনে করে। যেমনভাবে বিবেক সম্পন্নরা মিথ্যা মনে করে। এটা মূলতঃ আল্লাহ তা‘আলার আয়াতকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করার অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহর আয়াতের প্রতি বিশ্বাস রাখা, সত্যায়ন এবং আমল করা মুমিনের উপর আবশ্যক। কেননা আল্লাহর আয়াতকে বাতিল আক্রমন করতে পারে না। আল্লাহর বাণী:

لا يَأْتِيهِ الْبَاطِلُ مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ وَلا مِنْ خَلْفِهِ تَنْزِيلٌ مِنْ حَكِيمٍ حَمِيدٍ

বাতিল এতে অনুপ্রবেশ করতে পারে না, না সামনে থেকে, না পেছন থেকে, এটি প্রজ্ঞাময়, স্বপ্রশংসিতের পক্ষ থেকে অবতারিত (সূরা হা-মিম সাজদা ৪১:৪২)।

আর সন্দেহ- সংশয়ের কাছেও যেতে পারে না।