কাফিরদের সাথে আমাদের আবশ্যকীয় নীতি তিনটি

প্রথম: তাদের সাথে শত্রুতা রাখা। কেননা তারা আল্লাহ ও তার রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শত্রু।

দ্বিতীয়: তাদেরকে ঈমান ও রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আনুগত্যের দাওয়াত দেয়া। এটা মুসলিমদের উপর ওয়াজিব-আবশ্যক।

তৃতীয়: কাফিরদেরকে দাওয়াত দেয়ার পর তারা ইসলাম গ্রহণ না করলে তাদের সাথে জিহাদ করা। এক্ষেত্রে জিহাদ আবশ্যক। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

(وَقَاتِلُوهُمْ حَتَّى لا تَكُونَ فِتْنَةٌ وَيَكُونَ الدِّينُ كُلُّهُ) [الأنفال: 39]

তোমরা তাদের বিরুদ্ধে লড়াই কর যতক্ষণ না ফিতনার অবসান হয় এবং দীন পূর্ণরূপে আল্লাহর জন্য হয়ে যায় (সূরা আল আনফাল ৮:৩৯)।

মুসলিমদের শক্তি সামর্থ থাকলে তারা শেষ পর্যায়ে তাদের সাথে যুদ্ধ করবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

فَاقْتُلُوا الْمُشْرِكِينَ حَيْثُ وَجَدْتُمُوهُمْ وَخُذُوهُمْ وَاحْصُرُوهُمْ وَاقْعُدُوا لَهُمْ كُلَّ مَرْصَدٍ) [التوبة: 5]

তোমরা মুশরিকদেরকে যেখানেই পাও হত্যা কর এবং তাদেরকে পাকড়াও কর, তাদেরকে অবরোধ কর এবং তাদের জন্য প্রতিটি ঘাঁটিতে বসে থাক (সূরা আত তাওবাহ ৯:৫)।

এ আয়াতে ইসলামে জিহাদের কৌশল বর্ণনা করা হয়েছে। আর তা হলো শিরক দূরীভূত করা যতক্ষণ না ফিতনার মূলৎপাটন হয়। যে ফিতনার মাধ্যমে মুরতাদ (দীন ত্যাগ করা) হয় তা হচ্ছে শিরক। এজন্য সম্পূর্ণভাবে শিরকী ফিতনা দূরীভূত করতে হবে। আর যুদ্ধ করতে হবে যতক্ষণ না দীন পরিপূর্ণরূপে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটিই জিহাদের উদ্দেশ্য। কর্তৃত্ব গ্রহণ ও প্রভাব বিস্তার করা জিহাদের উদ্দেশ্য নয়। আর জিহাদের মাধ্যমে ধনসম্পদ অর্জনও উদ্দেশ্য নয়, বরং উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর কালিমাকে উড্ডীন করা ও শিরকের মূলৎপাটন করা।

সুতরাং কাউকে প্রতিহত করা ইসলামে জিহাদের উদ্দেশ্য নয়। যেমন কতিপয় জ্ঞানপাপী বলেন, প্রতিহত করার জন্যই দীন ইসলাম সাব্যস্ত। অর্থাৎ তারা যখন আমাদের সাথে বাড়াবাড়ি করবে তখন তাদের শত্রুতা রুখে দেয়ার জন্য কেবল যুদ্ধ করবো। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, (فَاقْتُلُوا الْمُشْرِكِينَ) তোমরা মুশরিকদেরকে যেখানেই পাও হত্যা কর (সূরা আত তাওবাহ ৯:৫)। আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,

وَقَاتِلُوهُمْ حَتَّى لا تَكُونَ فِتْنَةٌ وَيَكُونَ الدِّينُ كُلُّهُ

আর তোমরা তাদের বিরুদ্ধে লড়াই কর যতক্ষণ না ফিতনার অবসান হয় এবং দীন পূর্ণরূপে আল্লাহর জন্য হয়ে যায় (সূরা আল আনফাল ৮:৩৯)।

ইসলামে দাওয়াত-প্রচার (نشر الدعوة) ও দীনের প্রসারতা (نشر الدين) এবং শিরকের মূলৎপাটন (إزالة الشرك) করাই যুদ্ধের উদ্দেশ্য। সূরা আনফালের উপরোক্ত (৮:৩৯) আয়াত থেকে উক্ত উদ্দেশ্য সাব্যস্ত হয়।

ইসলামে যুদ্ধ দু’প্রকার:

(১) প্রতিরোধমূলক যুদ্ধ যা মুসলিমদের নিরুপায় অবস্থায় প্রযোজ্য

(২) প্রভাব বিস্তারমূলক যা মুসলিমদের শক্তি সামর্থ থাকলে প্রযোজ্য হয়।