তার ফায়ছালার কোনো প্রতিহতকারী নেই। তার হুকুমকে পশ্চাতে নিক্ষেপ করার কেউ নেই এবং তার নির্দেশকে পরাভূত করারও কেউ নেই।

ইমাম ত্বহাবী রহিমাহুল্লাহ বলেন,

لَا رَادَّ لِقَضَائِهِ وَلَا مُعَقِّبَ لِحُكْمِهِ وَلَا غَالِبَ لِأَمْرِهِ

তার ফায়ছালার কোনো প্রতিহতকারী নেই। তার হুকুমকে পশ্চাতে নিক্ষেপ করার কেউ নেই এবং তার নির্দেশকে পরাভূত করারও কেউ নেই।

.............................................................

ব্যাখ্যা: অর্থাৎ কোনো প্রতিহতকারী আল্লাহর ফায়ছালাকে প্রতিরোধ করতে পারে না এবং তার হুকুমকে পিছনে ফেলার কেউ নেই। আল্লাহর আদেশকে পরাজিত করারও কেউ নেই। বরং তিনি এক, অদ্বিতীয়, প্রতাপশালী এবং অপরাজেয়।[1]

[1]. মাখলুক কোনো কোনো ফায়ছালা বা সিদ্বান্ত নিলে তা কখনো পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করতে দেখা যায়। কেননা তার জ্ঞান, ক্ষমতা ও প্রভাবের স্বল্পতার কারণেই এমনটি করতে হয় কিংবা সে কখনো ভুল সিদ্বান্ত নিয়ে থাকে। অপরপক্ষে আল্লাহ তা‘আলা যেহেতু জ্ঞানে পরিপূর্ণ, তার ক্ষমতা যেহেতু অসীম, তিনি যেহেতু মহাপরাক্রমশালী এবং তার সিদ্বামেত্ম যেহেতু কোনো ভুল নেই, তাই তিনি কোনো মাখলুকের অনুকূলে বা প্রতিকূলে কোনো সিদ্বান্ত নিলে তা প্রতিহত করা, রদবদল করা কিংবা পরিবর্তন-পরিবর্ধন করার কোনো শক্তি নেই। বরং তার ঐ সিদ্বান্ত অনড়-অটল থাকে। সুতরাং আল্লাহ তা‘আলা যা কিছু করার ইচ্ছা করবেন এবং যে সময় উহা করতে চাইবেন, হুবহু সে কাজ নির্দিষ্ট সময়েই কার্যকর হবে। এক পলকের জন্যও উক্ত কাজ এদিক-সেদিক হবে না। আল্লাহ তা‘আলা এতই শক্তিশালী ও প্রবল যে, তিনি যে কাজ করার ইচ্ছা করেন, সে কাজ হতে কেউ তাকে হটাতে কিংবা বাধা দিতে পারে না। সকল মাখলুক যেহেতু তার শক্তি-সামর্থ্য ও প্রভাবের নিকট একেবারেই তুচ্ছ, তাই তার কাজে কেউ প্রভাব বিস্তার করতে বা ক্ষমতা প্রয়োগ করার কল্পনাও করতে পারে না।