রাহে বেলায়াত তৃতীয় অধ্যায় - দৈনন্দিন যিকর ওযীফা ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহ.) ১ টি
প্রথম পর্বঃ সকালের যিকর-ওযীফা - ৪. ওযুর পরে সালাত বা তাহিয়্যাতুল ওযু

মূলত সালাতের জন্যই ওযু করা হয়। বিশেষ করে ওযুর পরেই দুই রাক’আত সালাতের গুরুত্ব হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। বিভিন্ন হাদীসে কষ্ট হলেও সুন্দর ও পরিপূর্ণরূপে সুন্নাতের পূর্ণ অনুসরণ করে ওযু করার বিশেষ ফযীলত ও সাওয়াব বর্ণিত হয়েছে। এরপর যখন মুমিন সালাত পড়েন তখন তার গোনাহ ক্ষমা করা হয়। উকবা ইবনু আমির (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ

مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَتَوَضَّأُ فَيُحْسِنُ وُضُوءَهُ ثُمَّ يَقُومُ فَيُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ مُقْبِلٌ عَلَيْهِمَا بِقَلْبه وَوَجْهِهِ (فيعلم ما يقول) إلاَّ وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ

“যে কোনো মুসলিম যদি সুন্দরভাবে ওযু করে এরপর নিজের সমগ্র মন ও মুখ সালাতের দিকে ফিরিয়ে (দেহ-মনের সমগ্র অনুভূতি কেন্দ্রীভূত করে) এবং এভাবে সালাতে কী পাঠ করছে তা জেনে বুঝে দুই রাক’আত সালাত আদায় করে, তার সকল গোনাহ এমনভাবে ক্ষমা করা হয় যে, সে নবজাত শিশুর মতো নিষ্পাপ হয়ে যায়।”[1]

এই অর্থে আরো অনেকগুলি হাদীস বর্ণিত হয়েছে, যে সকল হাদীসে ওযুর পরে মনোযোগ সহকারে দুই রাক’আত সালাতের এইরূপ অতুলনীয় ও অভাবনীয় পুরস্কারের সুসংবাদ প্রদান করা হয়েছে।[2]

[1] সহীহ মুসলিম ১/২০৯, নং ২৩৪, মুসতাদরাক হাকিম ২/৪৩৩, সহীহুত তারগীব ১/১৫৫।

[2] সহীহুত তারগীব ১/১৬৭-১৬৮।