فلَا يَنْفُونَ عَنْهُ مَا وَصَفَ بِهِ نَفْسَهُ আল্লাহ তাআলা নিজেকে যেই সুমহান গুণে গুণান্বিত করেছেন, তাকে তারা অস্বীকার করেন না

فلَا يَنْفُونَ عَنْهُ مَا وَصَفَ بِهِ نَفْسَهُ আল্লাহ তাআলা নিজেকে যেই সুমহান গুণে গুণান্বিত করেছেন, তাকে তারা অস্বীকার করেন না: শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমীয়া (রঃ) এই কথার মাধ্যমে বুঝিয়েছেন যে, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামআতের লোকেরা বিশ্বাস করেন যে, সৃষ্টি জগতের কোন কিছুই আল্লাহ তাআলার সদৃশ নয়। এই বিশ্বাস তাদেরকে আল্লাহর সিফাতকে অস্বীকারের দিকে নিয়ে যায়না। যেমনটি করে থাকে আল্লাহ তাআলাকে মাখলুকের সিফাত থেকে পবিত্র করার ক্ষেত্রে বাড়াবাড়িতে লিপ্ত এক শ্রেণীর লোক। এমনকি তাদের বাড়াবাড়ি এই পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছে যে, তারা আল্লাহ তাআলাকে তাঁর সকল উত্তম গুণাবলী থেকে শুণ্য করে ফেলেছে। তাদের খোঁড়া যুক্তি হচ্ছে, আল্লাহর জন্য সিফাত সাব্যস্ত করলে মাখলুকের সাথে আল্লাহর তুলনা হয়ে যায়। তাই তারা এ থেকে পালানোর জন্য কুরআন ও সহীহ হাদীছে বর্ণিত আল্লাহর সকল সিফাতকে অস্বীকার করেছে।

আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের লোকেরা বলেঃ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার জন্য রয়েছে এমনসব সুউচ্চ গুণাবলী, যা তাঁর পবিত্র সত্তার জন্য শোভনীয় ও প্রযোজ্য। আর মাখুলকের জন্যও রয়েছে এমন সিফাত ও কাজ, যা তার জন্য প্রযোজ্য ও শোভনীয়। মূলতঃ মহান স্রষ্টার সুউচ্চ সিফাত ও সৃষ্টির সাধারণ ও নগণ্য সিফাতের মধ্যে কোন প্রকার সাদৃশ্যতা নেই। সুতরাং হে মুআত্তেলা (আল্লাহর সিফাতকে বাতিলকারী) সম্প্রদায়! তোমরা যেই আশঙ্কায় (স্রষ্টার সাথে সৃষ্টির তুলনা হয়ে যাওয়ার ভয়ে) আল্লাহর সিফাতকে অস্বীকার করছো, তা মোটেই আবশ্যক নয়।