শরহুল আকীদাহ আল-ওয়াসেতীয়া بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم ِ এর ব্যাখ্যা ডঃ সালেহ ফাওযান [অনুবাদ: শাইখ আব্দুল্লাহ শাহেদ আল-মাদানী] ১ টি
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم ِ এর ব্যাখ্যা

শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমীয়া রাহিমাহুল্লাহ বলেন,

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ

পরম করুণাময় এবং দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।

ব্যাখ্যা: শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমীয়া (রঃ) আল্লাহ তাআলার কিতাবের অনুসরণ করে বিসমিল্লাহ দ্বারা পুস্তকটি লিখা শুরু করেছেন। সূরা তাওবা ব্যতীত প্রত্যেক সূরার শুরুতে বিসমিল্লাহ লিখা রয়েছে। বিসমিল্লাহ দ্বারা শুরু করার মাধ্যমে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাতেরও অনুসরণ হয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন রাজা-বাদশাহদের কাছে পত্র লিখতেন তখন শুরুতে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম লিখতেন।

بسم الله বিসমিল্লাহ এর ব্যাখ্যা: এখানে با হরফে জারটি استعانة (ইস্তেআনা) তথা সাহায্য প্রার্থনার জন্য ব্যবহৃত হয়েছে। আভিধানিক অর্থে যে শব্দ কোনো ব্যক্তি, বস্ত্ত বা বিষয়ের প্রতি নির্দেশনা প্রদান করে, তাকে ইসম বলা হয়। আরবী ব্যাকরণ বিদদের পরিভাষায় যে শব্দ কোন কালের সাথে যুক্ত না হয়েই সরাসরি নিজের অর্থ প্রকাশ করে, তাকে اسم (ইসম) বলা হয়।

جر (জার) এবং مجرور মাজরুর মিলে একটি উহ্য বিষয়ের সাথে متعلق (সম্পৃক্ত) হয়েছে। সেই উহ্য বিষয়টি ‘আল্লাহ’ শব্দের পরে হওয়া উচিত। যাতে করে এটি ‘হাসর’ তথা সীমিত অর্থ প্রদান করে। অর্থাৎ অর্থটি যেন এমন হয় যে, আমি আল্লাহর নামেই শুরু করছি, অন্য কারো নামে নয় এবং তাঁর কাছেই কাজটি সম্পাদনের ব্যাপারে সাহায্য চাচ্ছি, অন্য কারো কাছে নয়।

কেউ কেউ বলেছেনঃ এখানে উহ্য শব্দটি হচ্ছে فعل বা ক্রিয়া। অর্থাৎ بسم الله أقرأ أو أكتب ‘‘আমি আল্লাহর নামে পড়ছি বা লিখছি। এমনি যখন যে কাজ শুরু করা হবে, তখন সেই কাজের অর্থবোধক একটি فعل (ক্রিয়া) উহ্য থাকবে।

আবার কেউ কেউ মাসদার উহ্য মেনে থাকেন। অথাৎ بسم الله ابتدائي তথা আল্লাহ তাআলার নামেই আমার শুরু