নবী (সা.) এর ছলাত সম্পাদনের পদ্ধতি সালাত বিষয়ে বিস্তারিত মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দিন আলবানী (রহ.) ১ টি
الإقعاء بين السجدتين দুই সাজদার মধ্যে পায়ের গোড়ালির উপর বসা

নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কখনও ইক’আ করে তথা উভয় গোড়ালি ও পায়ের বক্ষদেশের উপর দাঁড় করিয়ে তার উপর বসতেন।[1]

[1] মুসলিম, আবু উওয়ানা, আবুশ শাইখ ‘মা-রাওয়াহু আবুয যুবাইর আন জাবির গ্রন্থে (নং ১০৪-১০৬), বাইহাকী। ইবনুল কাইয়িম ভুল বশত, দুই সাজদার মধ্যখানে পা বিছিয়ে বসার কথা উল্লেখ করে বলেছেনঃ “নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে এ বৈঠকে এ পদ্ধতি ছাড়া অন্য কোন পদ্ধতি বর্ণিত হয়নি। আমি বলতে চাইঃ কথাটি কিভাবে সঠিক হতে পারে যেখানে ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে ছহীহ মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযীতে এই হাদীছ বর্ণিত হয়েছে এবং তিরমিযী একে ছহীহ বলেছেন। অন্যান্যরাও এই হাদীছ বর্ণনা করেছেন দেখুন ‘আছছাহীহা’ (৩৮৩)। বাইহাকীতেও হাসান সনদে ইবনু উমার থেকে হাদীছটি বর্ণিত হয়েছে যাকে ইবনু হাজার ছহীহ বলেছেন। আবু ইসহাক আল-হারাবী ‘গারীবুল হাদীছ’ (খণ্ড ৫/১২/১) তাউস থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি ইবনু উমার ও ইবনু আব্বাসকে ইক’আ করতে দেখেছেন, এর সনদ বিশুদ্ধ। আল্লাহ ইমাম মালিককে রহম করুন তিনি বলেছিলেন- “আমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যিনি কারো কোন কথা অগ্রাহ্য করেন না এবং তার কোন কথা অগ্রাহ্য হবে না কেবল এই কবরবাসী ব্যতীত; এ কথা বলে তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর কবরের দিকে ইঙ্গিত করতেন। এই সুন্নতের উপর ছাহাবা, তাবিইন ও অন্যান্যদের একদল আমল করেছেন। এ বিষয়ে আমি মূল কিতাবে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। আমার আরেকটি কথা হচ্ছে এই যে, এখানে উল্লেখিত ইক’আ নিষিদ্ধ ইকআ থেকে ভিন্ন, যা তাশাহহুদের বৈঠকের আলোচনায় আসবে।