একদিন আমি কুরআনের বারোটি তফসীর গ্রন্থ জমা করলাম। আর তা ছিলঃ ১. তাবারী, ২. ইবনে কাছীর, ৩. বাগাবী, ৪. যামাখশারী, ৫. কুরতুবী, ৬. আযযিলাল, ৭. আশ শিনকীতি, ৮. আররাযী, ৯, ফতহুল কাদীর, ১০. তফসীরে খাযেন, ১১. আবু মাসউদ ও ১২. কাসেমী। (এ তালিকার মধ্যে কিছু আছে লেখকের নামে আর কিছু আছে প্রকৃত কিতাবের নামে।)

আমি প্রতিদিন কুরআনের একটি আয়াতের ব্যাখ্যা (তফসীর) এসব গ্রন্থ (কিতাব) থেকে পড়তে ইচ্ছা করেছিলাম। আমি প্রতিদিনকার আয়াতটি প্রথম কিতাব, দ্বিতীয় কিতাব এভাবে সব ক'টি কিতাব থেকে পড়ার পরিকল্পনা করলাম। এভাবে আমি কিছুকাল চেষ্টা করলাম, কিন্তু শীঘ্রই আমি ক্লান্ত ও বিরক্ত বোধ করলাম। একথা সত্য যে আমি উদ্যমী ছিলাম; কিন্তু, পরিকল্পনা করতে এবং পড়াশুনার সঠিক পদ্ধতি বাছাই করতে আমি খুব বেশি তাড়াহুড়া করে ফেলেছিলাম।

ইসলামি বিজ্ঞানের ছাত্রদেরকে আমি এই উপদেশ দেই যে, অনেক কিতাব দিয়ে নিজেকে ভারাক্রান্ত করবেন না। উত্তমপন্থা হলো আপনি যা পড়েন, তাকে সতর্কতার সাথে বিন্যাস ও বাছাই করা। সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ হল তা মিলবিশিষ্ট হতে হবে, যদিও আপনি কেবলমাত্র সামান্য কিছু করেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সবচেয়ে প্রিয় কাজ তা ছিল যা নিয়মিত চর্চা বা আমল করা হতো। যদিও সে কাজ ছোট কিছু ছিল।