কঠিন সময়ে কেউ যদি নিজের অবস্থার প্রতি সন্তুষ্ট থাকে তবে সে শান্ত ও সুস্থ থাকতে পারে, অধিকন্তু সে আল্লাহ এবং তার রাসূলের অঙ্গীকারের প্রতি সত্যিকারের বিশ্বাস দেখাতে পারে। এ যেন তার আত্মা শব্দ করে বলে—

“আল্লাহ ও তার রাসূল এ ওয়াদাই দিয়েছিলেন এবং আল্লাহ ও তার রাসূল সত্যই বলেছিলেন, আর এতে শুধু তাদের ঈমান ও আত্মসমর্পণ বৃদ্ধি পায়।” (৩৩-সূরা আল আহযাবঃ আয়াত-২২)

অন্যদিকে, অসন্তুষ্ট চিত্ত, অসুস্থতা, সন্দেহ ও অস্থিরতাপূর্ণ এ ধরনের আত্মা বিদ্রোহী ও সমস্যাগ্রস্ত থাকে। এ আত্মাও যেন শব্দ করে বলে তবে এটা যা বলে তা খুবই ভিন্নরকম,

“আল্লাহ ও তার রাসূল আমাদেরকে প্রতারণা ছাড়া অন্য কোন অঙ্গীকার দেননি।” (৩৩-সূরা আল আহযাবঃ আয়াত-১২)

যাদের আত্মা এ ধরনের, তারা তাদের কাজকর্মে বিপরীতধর্মী। অন্যের নিকট যদি তাদের কোন অধিকার থাকে, তবে তারা সে অধিকার দাবি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। যদি তাদেরকে তাদের অবশ্যই কর্তব্য কাজ করতে বলা হয় তবে তারা তাচ্ছিল্য করে ফিরে যায়। তাদের যখন কোন কল্যাণ হয় তখন শান্ত ও পরিতৃপ্ত বোধ করে। কিন্তু যখন তাদেরকে পরীক্ষা করা হয় তখন কত শীঘ্রই না মন্দের জন্য তাদের পরিবর্তন ঘটে। তারা শুধুমাত্র ইহকাল নয় পরকালও হারিয়েছে।

ذَٰلِكَ هُوَ الْخُسْرَانُ الْمُبِينُ

“এ হলো স্পষ্ট ক্ষতি।” (২২-সূরা আল হাজ্জঃ আয়াত-১১)

অতএব এগুলো হলো দুটি বিপরীত অবস্থা যার ফলও স্বভাবত বিপরীত। তুষ্টি শান্তির পথে পরিচালিত করে, যা অবশেষে সমৃদ্ধির পথে পরিচালিত করে। আল্লাহর বিধানের (তকদীরের) প্রতি অসন্তোষ দুশ্চিন্তার পথে পরিচালিত করে, যা অবশেষে ব্যর্থতার দিকে ঠেলে দেয়। আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, আল্লাহ তার বান্দাকে (এ দুনিয়ায়) যে সর্বশ্রেষ্ঠ নেয়ামত দান করতে পারেন তা হলো তাকে সৌম্যতা দান করা আর সৌম্যতা (মনের শান্তভাব) অর্জন করার সর্বশ্রেষ্ঠ এক পন্থা হলো সর্বদা আল্লাহর প্রতি পরিতুষ্ট ও সন্তুষ্ট থাকা।