ইমাম আহমদ (রহঃ)-কে যখন কঠিন সময়ে শাস্তি দেয়া হচ্ছিল ও অত্যাচার করা হচ্ছিল তখন তাকে দুটি কথা বলা হয়েছিল যা তিনি বর্ণনা করেছেন।

মদ পান করার কারণে এক লোককে জেলখানায় বন্দী করা হয়েছিল। যখন সে ইমাম আহমদ (রহঃ)-এর সাথে সাক্ষাৎ করেছিল তখন সে তাকে বলেছিল

“হে আহমদ, দৃঢ় চিত্ত হয়ে থাকুন, কেননা আপনি সত্যের (আরবী কিতাবে আছে- ‘সুন্নতের’) উপর প্রতিষ্ঠিত থাকার কারণে চাবুকের বাড়ি খাবেন। আর আমি শরাব পান করার কারণে বহুবার চাবুকের বাড়ি খেয়েছি অথচ ধৈর্য ধরেছি।”

(অর্থাৎ আমি অন্যায়ের কারণে শাস্তি পেয়েও ধৈর্য ধরেছি; সুতরাং ন্যায়ের কারণে আপনি শাস্তি পেলে অবশ্যই ধৈর্য ধারণ করবেন যেন- অনুবাদক।) আর এটিই সে দুটি কথার প্রথমটি।

فَاصْبِرْ إِنَّ وَعْدَ اللَّهِ حَقٌّ وَلَا يَسْتَخِفَّنَّكَ الَّذِينَ لَا يُوقِنُونَ

“অতএব ধৈর্য ধরুন, নিশ্চয় আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য। আর যারা দৃঢ় বিশ্বাস করে না, তারা যেন আপনাকে বিচলিত না করে।” (৩০-সূরা আর রূমঃ আয়াত-৬০)

“যদি তোমরা যন্ত্রণা ভোগ কর তবে তারাও তো তোমাদের মতো যন্ত্রণা ভোগ করে অথচ তারা যা আশা করতে পারে না তোমরা আল্লাহর পক্ষ থেকে তা (পুরস্কার তথা জান্নাত) আশা করতে পার।” (৪-সূরা আন নিসাঃ আয়াত-১০৪)

আর দ্বিতীয় বাণীটি হলো- যখন ইমাম আহমদ (রহঃ)-কে শিকল পরিয়ে জেলখানায় আনা হচ্ছিল তখন একজন বেদুঈন তাকে দেখে বলেছিল “হে আহমদ। ধৈর্য ধরুন কেননা, এ দুর্ঘটনায় যদি আপনার মৃত্যু হয় তবে এ ঘটনার কারণেই আপনি জান্নাতে যাবেন।”

“তাদেরকে তাদের প্রভু নিজের পক্ষ থেকে একটি করুণা, সন্তুষ্টি ও তাদের জন্য অনেক জান্নাতের সুসংবাদ দিচ্ছেন যেখানে (তাদের জন্য) রয়েছে চিরস্থায়ী সুখ শান্তি।” (৯-সূরা আনফালঃ আয়াত-২১)