৭৫. বইয়ের মাহাত্ম্য নিয়ে কিছু কথা

আবু উবাইদা বলেছেন- “মুহাল্লাব তার পুত্রকে নিম্নোক্ত উপদেশ দিয়েছেন, ‘হে বৎস! বৰ্ম বিক্রেতা বা পুস্তক বিক্রেতার সাক্ষাৎ ছাড়া বাজারে সময় নষ্ট করবে না।”

হাসান লু’লুয়ী বলেছেন- “চল্লিশ বছর যাবৎ দিনে-রাতে যখনই ঘুমতে যাই না কেন একটা পুস্তক আমার বুকের উপর থাকেই।”

ইবনে যাহম বলেছেন-

“প্রয়োজনের অতিরিক্ত ঘুমানো ক্ষতিকর; ঘুমের সময় আমার যখন তন্দ্রা আসে তখন আমি একটি জ্ঞানগর্ভ ও প্রজ্ঞাপূর্ণ বই হাতে তুলে নেই এবং কোন (প্রজ্ঞার) মুক্তার সাক্ষাৎ বা সন্ধান পেলে আমি কল্যাণ লাভ করি। যখন মনের সুখে বই পড়ায় ডুবে থাকি ও (জ্ঞনগর্ভ কথা) শুনতে থাকি তখন গাধার তীর্যক ডাক ও কোন কিছু ভাঙ্গার তীক্ষ্ণ শব্দ শুনে যতটা সর্তক হই তার চেয়েও বেশি সতর্ক থাকি।”

তিনি আরও বলেছেন-

“যদি আমি কোন বইকে মনোরম ও উপভোগ্য পাই এবং আমি এটাকে উপকারী মনে করি তবে তুমি আমাকে দেখবে যে, আমি ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে খুঁজছি যে কত পৃষ্ঠা বাকি আছে এ ভয়ে যে (এ মজাদার বইটি পড়া) শেষ হয়ে যাচ্ছে কিনা। যদি এটা বহু পৃষ্ঠা সম্বলিত অনেক খণ্ডের পুস্তক হয় তবে আমার জীবনকে (ধন্য) ও সুখকে পরিপূর্ণ পাই।”

كِتَابٌ أُنزِلَ إِلَيْكَ فَلَا يَكُن فِي صَدْرِكَ حَرَجٌ مِّنْهُ لِتُنذِرَ بِهِ وَذِكْرَىٰ لِلْمُؤْمِنِينَ

“(হে মুহাম্মদ!) এ কিতাব যা আপনার প্রতি অবতীর্ণ করা হয়েছে, অতএব এ কিতাব দিয়ে (মানুষকে) সর্তক করতে এর সম্বন্ধে আপনার মনে যেন কোন সঙ্কোচ না থাকে এবং (এ কিতাব) মু’মিনদের জন্য উপদেশ।” (৭-সূরা আল আরাফ: আয়াত-২)